ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

পাহাড়ে নতুন ভাবনার উদয় হচ্ছে: সন্তু লারমা

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
পাহাড়ে নতুন ভাবনার উদয় হচ্ছে: সন্তু লারমা
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার চুক্তি মোতাবেক পাহাড় থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীবিষয়ক অধিকার আন্দোলনের নেতারা। তারা বলছেন, চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিক ইন্ধনে গড়ে উঠছে সশস্ত্র বাহিনী। যার বিপরীতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে নতুন আন্দোলনের সূচনা করতে যাচ্ছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম যৌথভাবে এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। এই দুই সংগঠনের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) সভাপতিত্বে আলোচনায় যোগ দেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের কো-চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সমন্বয়কারী অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম এ সবুর, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্নিগ্ধা রেজওয়ানাসহ আরও অনেকে।

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পাহাড়ে আন্দোলন দানা বাঁধছে, এমন আভাস দিয়ে সন্তু লারমা বলেন, বছরের পর বছর পার্বত্য অঞ্চলের অধিকার, জুম্ম জাতির আন্দোলন-সংগ্রামকে নতুনভাবে পর্যালোচনা করা যেতে পারে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চুক্তির আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আদিবাসীরা হয়তো আপাতত ভাবতে পারছে না। কিন্তু মুক্ত সমাজে বেঁচে থাকার যে আকাঙ্ক্ষা তা থেকে কিন্তু পাহাড়িরা সরে যাবে না। অন্যায়-নিপীড়ন-নির্যাতন যেখানে চলতে থাকে, সেখানে আন্দোলন কখনো থেমে যায় না। পার্বত্যাঞ্চলে এখন নতুন ভাবনার উদয় হচ্ছে। 

সুলতানা কামাল বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে গোয়েবলসীয় কায়দায়, বারবার মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি যখন ক্ষমতায়, তখন পাহাড়ি ক্ষুদ্র একটা জনগোষ্ঠীকে কেন সামরিক শাসনের অধীনে রেখে দেব? এটা তো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কথা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিজয়ের পর বলেছিলাম, আমরা আর সামরিক শাসনের অধীনে থাকব না। তাহলে সামরিক শাসনের নামে আমরা পার্বত্যবাসীকে ঠকাচ্ছি।’
পাহাড় বা সমতলে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকের রাষ্ট্রীয়ভাবে যে নৃতাত্ত্বিক পরিচয় দেওয়া হয়েছে তার সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিচয়টি ভিত্তিহীন। আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে উপহার দেওয়া হয়েছে। পাহাড়িরা আজকে নিজ ভূমে পরবাসী হয়ে গেছেন।’ 

পাহাড়ে বা সমতলে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নানাভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেন রবীন্দ্রনাথ সরেন। তিনি বলেন, ‘আজকে আদিবাসীদের নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। বহু এজেন্সি রয়েছে এর পেছনে, নানাভাবে কেড়ে নেওয়া হয় আমাদের আন্দোলন, ধ্বংস করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ২৬ বছর পূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জনসংহতি সমিতির কাউকে যুক্ত না করার সমালোচনা করেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। সরকারের ইন্ধনেই পাহাড়ে বিভিন্ন উগ্র-সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

মেসবাহ কামাল বলেন, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটা উপনিবেশে পরিণত করা হয়েছে। সেখানে যে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে, কাদের উদ্যোগে বা কাদের প্ররোচনায় গড়ে উঠেছে? কুকি চীন নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। মৌলবাদী-উগ্রবাদীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ।’

সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘উন্নয়নের নামে আজকে পাহাড়ি জনপদে দখলদারিত্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে, শান্তির কথা বলে নতুন করে অশান্তি ডেকে আনা হচ্ছে।’

ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে এক নারীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৯ জন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্টোল রুম ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে বরিশালে ২২, চট্টগ্রামে ১, ঢাকা বিভাগে ১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১ এবং ময়মনসিংহে একজন ভর্তি হয়েছেন।

কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৫৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩ এবং এপ্রিলে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরিফ সাওন/এমএ/

শ্রম আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
শ্রম আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: পিআইডি

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, শ্রম আইনে অনেক কিছু পরিবর্তন আসছে। এখনো চূড়ান্ত না হলেও অনেক পরিবর্তন আসছে। কবে নাগাদ আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি থাকতে থাকতে একটা শ্রম আইন পাকাপোক্ত করে দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে দেখেছি, শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের ও মালিকদের একটা গ্যাপ ছিল এবং আছে। এই গ্যাপ আমরা কমাতে চাচ্ছি। সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, এর ৯৯ শতাংশ শ্রমিকদের পক্ষেই গেছে। স্টেটমেন্টগুলা শ্রমিকদের পক্ষে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো মালিক আছেন। না হলে আমাদের দেশের শিল্পগুলো এগোত না। সবাই এক রকম না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের অনেক কিছুই করতে পারিনি। যেমন তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়, তাদের আবাসিক এলাকার বিষয়, যেগুলো হওয়া উচিত, আমরা এখনো করতে পারিনি। তা ছাড়া শ্রম সংস্কার কমিশন কতগুলো প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলোও দেখা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্কার রাইটস যেন সমানভাবে থাকে। শ্রমিক এবং শ্রম আইন নিয়ে প্রতিদিন কাজ করছি। এ জন্য শ্রমিকদের সহযোগিতা দরকার, মালিকদের সহযোগিতা দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাজ না এটা। বেশ কিছু মিনিস্ট্রি আছে। সেখানে কমার্স মিনিস্ট্রি আছে, বিডা আছে, সবাই মিলে কন্ট্রিবিউট করলে শ্রমিকদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বড় প্রশ্ন আসছে অপ্রচলিত শ্রমের কিছু ক্ষেত্রের বিষয়ে। অপ্রচলিত শ্রমিকদের বেশির ভাগ নির্মাণশ্রমিক। এর মধ্যে শিপ বিল্ডিংও আছে, রিয়েল এস্টেটের লোকজন আছে। সরকার সবাইকে একই ফোল্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে চাইছে।’

আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

দেশপ্রেম ও পেশাদারত্ব আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বিমানবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, বিমানবাহিনীতে ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার পরিবহন বিমান, রাডার সংযোজনের জন্য সরকার বিমানবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যগণ নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান দক্ষতাকে যুগোপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমানবাহিনীর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের শহিদদের কথা স্মরণ করে বলেন, শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী এবং সাধারণ জনগণ যারা দেশের অধিকারের প্রশ্নে জীবন ও রক্ত দিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তাদেরকে স্মরণ করছি।

তিনি দেশের বিমান বন্দরসমূহের সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলনই নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমানবাহিনীর পেশাদারি ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও পেশাগত উৎকর্ষের জন্য মহড়ায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকের এই অনুশীলন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আত্মবিশ্বাস, প্রস্তুতি এবং অর্পিত দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপায়ণ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি জাতির আস্থা ও ভালবাসা অটুট থাকুক-এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে বিমান ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। অনুষ্ঠানস্থলে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সূত্র: বাসস

এমএ/

আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সরকারকে পাঠানো হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সরকারকে পাঠানো হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ

নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা সম্ভব- এমন আশু বাস্তবায়নযোগ্য অন্তত ১০-১২টি সুপারিশ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সরকারকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার নির্বাচন ভবনে ‘চতুর্থ কমিশন সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদের ৫৬টি এলাকা ধরে বিশেষ ব‍্যবস্থা নিয়েছে ইসি। এ ছাড়া সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাদের দুটি ভোটার আইডিকার্ড রয়েছে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের একটি কার্ড বাতিল করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনি বাধ্যবাধকতায় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে তাদের গেজেট প্রকাশ করতে হয়েছে। কারণ নির্ধারিত সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তারা মতামত পাননি। এরপর কমিশন বৈঠক করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাস্তবায়নে গেজেট প্রকাশ করা হয়।’

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বাধ্যবাধকতা ছিল ১০ দিনের মধ্যে এটার নিষ্পত্তি করার, আমরা নিষ্পত্তি করেছি। আমরা দ্রুত আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিলাম। গত ২৭ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি, রিপ্লাই না পেয়ে আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে এটা করেছি। আদালতের আদেশের যেন ব্যত্যয় না ঘটে সেটা (গেজেট প্রকাশ) বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’ 

ইসি কেন আপিল করেনি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সংক্ষুব্ধ ‘পার্টি’ না হওয়ায় আপিলেও যায়নি। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় ইসি।”

এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। দেশে কোভিড মহামারি শুরুর পর ১৬ মে দায়িত্ব নেন তাপস। জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রথম সভা হয়। সে হিসেবে এই সিটি করপোরেশনের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে।

এলিস/পপি/

টিকা থেকে একজন বাদ যাওয়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঝুঁকি: ডা. সায়েদুর

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
টিকা থেকে একজন বাদ যাওয়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঝুঁকি: ডা. সায়েদুর
ছবি: খবরের কাগজ

একজন শিশুও যদি টিকা থেকে বাদ পড়ে তাহলে তা রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঝুঁকি তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। টিকা কার্যক্রমকে সফল করার জন্য তিনি সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের নাগরিকের টিকা নিশ্চিতে সরকারের সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। অর্থ, জনবল এবং অন্য যা দরকার সবই সরকার করবে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইপিআই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টিকাদান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত জাতীয় পর্যায়ের সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, যত বেশি মানুষের অংশ গ্রহণ হবে, যত বেশি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা হাত বাড়াবে তত এই ছোট ছোট যে গ্যাপ গুলো আছে সেগুলো পূরণ হবে।

কোথাও ১২ কোথাও ১৬ শতাংশ টিকার আওতায় আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ১২-১৬ এটা আসলে একটা সংখ্যা নয়। ১২ বা ১০ ভাগ বললে খুব একটা ছোট সংখ্যা মনে হয়। কিন্তু মনে করেন ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে যদি ১২ ভাগ মানে হচ্ছে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। তার মানে কি ৫ লাখ শিশু ঝুঁকির মধ্যে থেকে গেল। প্রতিটা সাইকেলে যদি ৪-৫ লাখ শিশুকে টিকা দিতে না পারি তাহলে এই মানুষ গুলো সারাজীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।

একটু বাড়তি এফোর্ট দিলেই এগুলো কাভার সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক জন শিশু কিশোর এবং মা যেন টিকা থেকে বাদ না যান। টিকা থেকে একজন বাদ যাওয়া মানে রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটা ঝুঁকি। ওই ব্যক্তি সারাটা জীবন ঝুঁকি নিয়ে পার করবেন। টিকার মাধ্যমে এই ঝুঁকি গুলো কমাতে পারলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ কমবে। আগামীতে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমবে, গড় আয়ু বাড়বে। সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। 

সাওন/সিফাত/