ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতে সরকারের সঙ্গী বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতে সরকারের সঙ্গী বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

সরকারের সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতে সরকারের সঙ্গী হয়েছে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের বাঁশখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল (১১ ফেব্রুয়ারি) এর একটি ইউনিট পুরোদমে চালানো হয়। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং ২১ অক্টােবর রাত ১২টা থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। দুই ইউনিট মিলে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারকে দেওয়া হবে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট। 

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে বাঁশখালীর (চট্টগ্রাম) গন্ডামারা এলাকায় বৃহৎ ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। 

এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেডের সিএফও এবাদত হোসেন ভুঁইয়া জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচের লাগাম ধরে রাখতে একটি ফর্মূলা অনুসরণ করা হয়; তা হচ্ছে সবার আগে কম খরচে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয়। এরপর চাহিদার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশি খরচে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয়। একে লিস্ট কস্ট জেনারেশন বলা হয়।

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র লিস্ট কস্ট (সাশ্রয়ী তালিকা) অনুযায়ী, সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। এমনকী ভারত থেকে আমদানি করা আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের তুলনায়ও কম। বাংলাদেশের, পায়রা, রামপাল ও মাতারবাড়িকেও পেছনে ফেলেছে বাঁশখালী। গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৮.২৫৯ ইউএস সেন্টস; যা চুক্তিকালীন (ইউএস ডলার ৭৮ টাকা) গড়ে ৬.৬০ টাকার মতো ছিল।

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই খরচ অনেকটা বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে কয়লার দাম এবং পরিবহন খরচ। তারপরও লিস্ট কস্ট তালিকায় সবার ওপরে থাকছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আর তাই শীতকালে চাহিদা কম থাকার সময়েও চলছে একইভাবে।

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির বলেন, আঞ্চলিক চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় ব্যয়বহুল ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে হতো। এখন আর সেগুলোতে হচ্ছে না। এখন কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবমিলিয়ে খরচ পড়ছে ১০ থেকে ১২ টাকার মতো। আর ডিজেলে ২৫ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলে ১৫ টাকা। ডিজেলের সঙ্গে তুলনা করলে প্রতি ইউনিটের খরচ কম পড়ছে ১৩ টাকার মতো। মাসে প্রায় ৮৮ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ইউনিট প্রতি ১৩ টাকা হারে সাশ্রয় ধরলেও সরকারের মাসে সাশ্রয় হবে ১,১৪৪ কোটি টাকার ওপরে। যে কারণে বড় খরচের হাত থেকেও রক্ষা পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

তাছাড়া, বেসরকারি খাতে এস আলম গ্রুপ এবং সেপকো-থ্রির বিনিয়োগকৃত দেশের সর্ববৃহৎ এই কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০০ কেভি জিআইএস এনারজাইজেশন করা হয়। ৬৬০ মেগাওয়াটের (প্রতি ইউনিট) দুই ইউনিটের এই প্ল্যান্টে ক্যাপাসিটির কয়লাভিত্তিক সুপার ক্রিটিক্যাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হওয়ার কারণে এতে পরিবেশ দূষণ হবে না। 

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বেসরকারি একক বিনিয়োগ হিসেবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আবার বেসরকারি প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগেও রেকর্ড করেছে গ্রুপটি। বেসরকারিখাতে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়নেও রেকর্ড ছুঁয়েছে। প্রায় ১.৭৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থায়ন এসেছে প্রকল্পটিতে। আর এস আলম গ্রুপ নিজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন করেছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ২৭৫ মিটার উচ্চ রঙিন চিমনি অনেক দূর থেকেও দৃশ্যমান, যা বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চতম। সাগর মোহনায় নির্মাণ করা হয়েছে, বিশেষায়িত জেটি, যেখানে ঘণ্টায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা যাবে।

জাহাজ থেকে কয়লা খালাসে আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা হয়েছে। স্ক্রু আনলোডার ব্যবহার করায় কয়লা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দুটি আনলোডার দিয়ে ঘণ্টায় ২ হাজার টন কয়লা জাহাজ থেকে কোল ইয়ার্ডে নেওয়া সক্ষমতা রয়েছে।

কোল ইয়ার্ডের সঙ্গে যুক্ত দুটি কনভেয়ার বেল্টের সক্ষমতা রয়েছে ৪ হাজার মেট্রিক টন। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ঢাকনা যুক্ত কনভেয়ার বেল্ট বসানো হয়েছে। কয়লা ইয়ার্ডের চারপাশে দেওয়া হয়েছে উচু নেটের ঘেরা। দুটি উন্নতমানের এফজিডি (ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজেশন) নির্মাণ হয়েছে, অনেক আগেই। এতে করে ৯৯.৮৭ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ রোধ করা সম্ভব।

অ্যাশ সংরক্ষণের জন্য ২টি সাইলে নির্মাণ করা হয়েছে, যার প্রত্যেকটির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২ হাজার ৬শ মেট্রিক টন। আর ৮০ একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে বিশাল অ্যাশপন্ড। সাইক্লোন কিংবা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতি দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে হেভি ওয়েভ প্রাচীর।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত বছরের ১৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়।

বাঁশখালী পুরোপূরি উৎপাদনে থাকলে দৈনিক প্রায় সোয়া ৩ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। দেশীয় কোম্পানি এস আলমের অংশীদারিত্বের পরিমাণ ৭০ শতাংশ আর চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচ টিজির হাতে রয়েছে ৩০ শতাংশ।

সিএফও এবাদত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার আগে থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। নির্মাণকালেই হাজার কোটি টাকার ওপরে ডিউটি জমা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।

দেশের ভেতর থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনার মতো মহাসংকটের সময় যখন কর্মসংস্থান সংকট তৈরি হচ্ছিল, সেই সময়সহ টানা ৪বছর ধরে ৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরুর আগে প্রকল্প এলাকায় বেকারত্বের হার ছিল ৫০ শতাংশ। এখন বেকারত্বের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানান এবাদত হোসেন ভুঁইয়া।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকর্মীদের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘুরে দেখানো হয়। এতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানিখাতের সাংবাদিকরা অংশ নেন। এ সময় প্রথম সারির গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশাসনিক ভবনে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালক এএসএম আলমগীর কবির, ভারপ্রাপ্ত সিইও ও হেড অব অপরেশন ওয়াই জিয়ানহুয়ান, সিএফও এবাদত হোসেন ভুঁইয়া, এসএমপি ডিপিডি মো. ফায়জুর রহমান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

> বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু শনিবার

বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ এএম
বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেছেন। এসব বিক্ষোভ কারা সংগঠিত করেছে, কারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে তা জানতে দেশগুলোয় বাংলাদেশের মিশনগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের নানা প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকরা সেখানকার সরকারের কাছ থেকে বিক্ষোভের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর ওই তথ্য ঢাকায় পাঠাবেন।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যে আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড হয়েছে।

কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন সামনে রেখে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের বিবৃতি’তে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নাগরিক সমাজের পক্ষে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিক এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

তাদের পক্ষে সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরীহ পথচারী, ছাত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ১৬ জুলাই থেকে এ নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডেটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। আমরা এ ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে, তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’

বিবৃতিতে নাগরিক সমাজ বলেছে, ‘ইতোমধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র, জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, দুই সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও হাসান মাহমুদ খন্দকার, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, চিত্রনায়ক আলমগীর, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ থেকে প্রকাশিত সংবাদ আউটলেট ইন্ডিয়া টুডে এনই ঢাকায় সহিংস সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানযোগে সরিয়ে নেওয়ার দাবি করে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করার পরে আউটলেটটির ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে: ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং এটি আমাদের প্রতিবেশী দেশে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা সৃষ্টি করে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘একটি মর্যাদাপূর্ণ সংবাদ প্রকাশনা হিসেবে আমরা তথ্যনির্ভর ও নৈতিক উভয় সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ খবর বাসসের। 

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ২১ জুলাই ইন্ডিয়া টুডে এনই থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের যথার্থতাকে নাকচ করে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘সহিংস সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা ছাড়ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ সংবাদটি ইন্ডিয়া টুডে এনইর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করা হয়।

এই সংবাদের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, যেকোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গুজবের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের ভুল তথ্য ও প্রতিবেদন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে, এমনকি সংকটে ইন্ধন জোগাতে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। এ ছাড়া সংবেদনশীলতা অনুধাবন না করে, এ ধরনের প্রতিবেদন কেবল জনগণ ও সমাজকে ব্যাপক নেতিবাচকভাবে প্রভাবিতই করে না, বরং যেকোনো সংবাদ আউটলেটের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসতে আহ্বান জানাবে মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ এএম
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসতে আহ্বান জানাবে মন্ত্রণালয়
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বন্ধ থাকা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার জন্য অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো ‘শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা’ শিরোনামে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনসমূহের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ জুলাই রাতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কবির/এমএ/

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল, জুলাইয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল, জুলাইয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৩৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। মৃতদের মধ্যে ৩৩ জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। চলতি বছরের মধ্যে জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৪৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।