ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

জিআই অনুমোদন পেল আরও ৪ পণ্য

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২১ এএম
জিআই অনুমোদন পেল আরও ৪ পণ্য
রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজরের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর ও মুক্তাগাছার মন্ডা

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পেল আরও ৪টি পণ্য। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ-সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। 

পণ্য চারটি হলো রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর এবং মুক্তাগাছার মন্ডা। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮টি। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্যাটেন্টস, ডিজাইনস ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। 

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা-মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বাংলাদেশের কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ও আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা। 

সম্প্রতি অনুমোদিত তিনটি পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। 

এ ছাড়া আরও দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলো হলো জামালপুরের নকশিকাঁথা এবং যশোরের খেজুরের গুড়। আগামী সপ্তাহে এই দুটো পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

লাবনী/সালমান/

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সারা দেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী এবং মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

সুমন/

রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনায় পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২১ পিএম
রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনায় পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রস্তাব
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

রাষ্ট্র পরিচালনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি পরিবর্তনে দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে আলাদা-আলাদা ছয়টি ফাইলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ছয়টি কমিশন হলো- সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

সংস্কারের প্রস্তাবে রয়েছে- সংবিধানে ৪ বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন করা, দুদককে ন্যায়পালের আদলে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, সংসদীয় ৩০০ আসন থেকে ৪০০তে উন্নীতকরণ, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে পুলিশ কমিশন গঠন ও জনপ্রশাসনে উপসচিবের পদোন্নতিতে প্রশাসন ৫০ শতাংশ, অন্যান্য ক্যাডার ২৫ শতাংশ নির্ধারণ।

সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব
সংবিধান সংস্কারে ৪ বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ রোধ, ভারসাম্যপূর্ণ বণ্টন, জবাবদিহি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার বিষয়ে বলা হয়- সংসদে নিম্নকক্ষ পরিচিত হবে জাতীয় সংসদ নামে আর উচ্চকক্ষ সিনেট নামে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে ৪ বছর। নিম্নকক্ষ সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। ৪০০ আসন নিয়ে নিম্নকক্ষ গঠিত হবে। এর মধ্যে ৩০০ জন সদস্য একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। আর ১০০ জন নারী নির্ধারিত ১০০ নির্বাচনি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছে। এর কাজ হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতোই। এ ছাড়া সংবিধানে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ এবং রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে ‘বাঙালি’ নয় পরিচিত হবেন ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে। সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে দুজন ডেপুটি স্পিকার থাকবেন, যাদের মধ্যে একজন বিরোধী দল থেকে মনোনীত হবেন। কোনো সংসদ সদস্য একসঙ্গে একটির বেশি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না। পদগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রী, সংসদনেতা এবং রাজনৈতিক দলের প্রধান। অর্থবিল ব্যতীত নিম্নকক্ষের সদস্যরা তাদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা পাবেন। আইনসভার স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি সব সময় বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত হবেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার
দেশের নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে ১৬টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১৮৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন কমিশন উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কারে ২ শতাধিক সুপারিশ করেছে। 

এই কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা- যার মেয়াদ হবে ৪ মাস, না ভোটের প্রচলন, গণভোট, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর শাসনকালের মেয়াদ, নারী আসনসহ সংসদীয় আসন ৪ শতে উন্নীতকরণ, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোট আয়োজনকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা, আইসিটি আইনে সাজাপ্রাপ্তদের কোনো দলের সদস্য না করা, গুম-খুনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের নির্বাচনের বাইরে রাখার বিধান, ব্যালটের পাশাপাশি অনলাইন ভোটিং সিস্টেমের প্রস্তাব, ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে সংশ্লিষ্ট আসনে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনসহ নানা বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। 

বিচার বিভাগ সংস্কার
বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে প্রাধান্য পাওয়া সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত রাখা, প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারকদের নিয়োগ, বিচারক হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতা পরিবর্তন, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো সংশোধন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা, বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্টের জন্য আলাদা সচিবালয়, আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ, আইনের সংস্কার, আইন শিক্ষার সংস্কার, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ এবং আদালত অঙ্গন দলীয়করণমুক্ত রাখা প্রভৃতি। 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ ও শৃঙ্খলার বিষয়ে বলা হয়েছে- সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের প্রাধান্য এবং আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিধান প্রণয়ন। যথাসম্ভব স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের জন্য প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ কমিশন’ গঠনের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়ন। প্রণীত আইনের অধীনে গঠিত কমিশন কর্তৃক উন্মুক্ত আবেদনের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই এবং সুপারিশ।

রাষ্ট্রপতি কর্তৃক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগ। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সাবেক বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য প্রযোজ্য পদ্ধতি ছাড়া অপসারণযোগ্য নন, এমন পদে আসীন ব্যক্তিদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও প্রকাশ। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুরোধ ছাড়াও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করার ক্ষমতা কাউন্সিলকে প্রদান।

দুদক সংস্কার প্রস্তাব
দুর্নীতি দমন কমিশনকে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে বলা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ৪৭ দফা সুপারিশের মধ্যে কমিশনারদের পদ তিন থেকে বাড়িয়ে একজন নারীসহ ৫ সদস্যে উন্নীত এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ থেকে কমিয়ে চার বছর করতে বলা হয়েছে। অবশ্য ২০০৪ সালে প্রণীত দুদক আইনে মেয়াদ ৪ বছরই ছিল। পরে আইনের সংশোধনীতে মেয়াদ ৫ বছর করা হয়। দুদকের ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের পুরো অংশ সরাসরি দুদকের স্বতন্ত্র তহবিলের দেওয়া, কমিশন নিয়োগে সার্চ কমিটির নাম বদলে ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক কমিটি’ গঠন, দুদক আইনের সংস্কার, প্রেষণজনিত আমলানির্ভরতা কমানো, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো ও প্রণোদনার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, কমিশন নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক’ কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।

দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা এড়াতে প্রধান বিচারপতি বাদ দিয়ে তার পরে সুপ্রিম কোর্টে যিনি সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ হবেন, তিনি হবেন বাছাই কমিটির প্রধান, হাইকোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ একজন সদস্য হবেন, প্রধান বিচারপতির নিযুক্ত একজন থাকবেন- যিনি বাংলাদেশের শাসন সম্পর্কে জানেন, মহাহিসাব নিরীক্ষক, পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে একজন, সংসদ নেতা থেকে মনোনীত একজন সদস্য ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা থেকে মনোনীত একজন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে বাছাই কমিটি। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতির যে বিধান করা হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি বিলুপ্ত করতে হবে। 

জনপ্রশাসন সংস্কার প্রস্তাব
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে দেশের পুরোনো ৪টি বিভাগ অনুযায়ী প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করতে বলা হয়েছে। ক্যাপিটাল সিটি সরকার, মন্ত্রণালয়ের কলেবর কমিয়ে ২৫টি মন্ত্রণালয় করা ও সরকারি সেবার প্রাপ্যতা নিয়ে নিয়মিত গণশুনানির আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদবি পরিবর্তন, জেলা পরিষদ বাতিল, উপজেলা পর্যায়ে একজন এএসপিকে ‘জননিরাপত্তা অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন এবং উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করতে বলা হয়েছে। উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ ভাগ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ২৫ ভাগ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পুলিশ সংস্কার প্রস্তাব
বল প্রয়োগ, আটক, গ্রেপ্তার, তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ, প্রভাবমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক বাহিনী গঠন, থানায় জিডি রেকর্ড, মামলা রুজু, তদন্ত ও ভেরিফিকেশনসহ ৬৩ বিষয়ে সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। এতে বলা হয়েছে, ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য একটি বিশেষায়িত দল গঠন করা, যাদের তদন্ত-সংক্রান্ত ইউনিট ও থানা ব্যতীত অন্যত্র বদলি করা যাবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (এনআইডি) চাকরিপ্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা, রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই-বাছাই বন্ধ, ভেরিফিকেশনের কাজ সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে শেষ করা এবং অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনে ১৫ দিন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। পুলিশের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিটি থানা বা উপজেলায় একটি ‘সর্বদলীয় কমিটি’ গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয়েছে। যারা ওয়াচডগ বা ওভারসাইট বডি হিসেবে কাজ করবে এবং দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, পদায়ন, বদলি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে নদীপথের অপরাধ কমাতে ভাসমান থানা গঠন করা, নারী ও জেন্ডার সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, লিগ্যাল অফিসার্স সেল ও লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগ, কর্মঘণ্টার ক্ষেত্রে আট ঘণ্টার বেশি হলে অতিরিক্ত প্রণোদনা, মানসিক চাপ হ্রাসের জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও মেলামেশার সুযোগ, বিনোদন কার্যক্রম গ্রহণ, আবাসন সমস্যা নিশ্চিত করা, নির্দিষ্ট মেয়াদে ছুটি ভোগ বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। জনকেন্দ্রিক ও জনবান্ধব পুলিশিং করার জন্য নিয়মিত টাউন হল সভা, নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠন, এক দিন পুলিশ হয়ে দেখুন শিরোনামে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি, কমিউনিটি পুলিশিংব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারণ, সেবামূলক ও জনবান্ধব কার্যক্রম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করে সরকার।

গত ১১ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়া ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্রসচিব সফর রাজ হোসেনকে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে দুদক সংস্কার কমিশন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়।

গাজীপুরে হামলাকারীদের অনেকেই আটক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ পিএম
গাজীপুরে হামলাকারীদের অনেকেই আটক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত অনেকেই আটক হয়েছে এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িতে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, যারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। 

যতদিন পর্যন্ত দেশ থেকে ডেভিল শেষ না হবে, ততদিন এই অপারেশন চলবে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সুমন/

সাবেক সিইসি ও বিচারপতি আবদুর রউফ আর নেই

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
সাবেক সিইসি ও বিচারপতি আবদুর রউফ আর নেই
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আব্দুর রউফ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আব্দুর রউফ (৯২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

তার একান্ত সহকারী তাওহিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফের বাবা বিচারপতি আব্দুর রউফ দুই মাস যাবত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। 

পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো তিন সদস্যের সিইসি পায় বাংলাদেশ। বিচারপতি সুলতান হোসেন খান সরে যাওয়ার পরদিন সিইসি হিসেবে যোগ দেন বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ।

মেহেদী/

চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতীকী গায়েবানা জানাজা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতীকী গায়েবানা জানাজা
চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এর পর তার প্রতীকী কফিন নিয়ে শিক্ষার্থীরা টানাহেঁচড়া শুরু করেন। কেউ কেউ তাতে কিল-ঘুষি ও জুতা দিয়ে মারতে থাকেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতার একটি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নানা ঠাট্টা, হাসি, মশকরা করতে থাকেন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের একজন রায়হান বলেন, ‘যে জোরে কথা বলতে পারেন না, যখন বিভিন্ন দায় নিয়ে এবং ভবন ঘেরাও নিয়ে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি মেয়েদের মতো উত্তর দেন যে, বিচারিক কাজ চলমান। আমরা এই নির্লজ্জ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বেহায়াপনার জন্য তার গায়েবানা জানাজা আদায় করেছি।’

শিক্ষার্থীরা এ সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে তারা গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগের যারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতীকী জানাজায় ইমামতি করা মাদ্রাসা শিক্ষক ওসমান গণি বলেন, ‘আমি আন্দোলনে গুলি খেয়েছি। অনেক ছাত্র আহত ও শহিদ হয়েছেন। এত এত রক্ত ঝরেছে। এখন আবারও আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কোনোভাবেই এটা বরদাশত করা হবে না। আমরা প্রয়োজনে আবার মাঠে নামব, আন্দোলন করব, গুলি খাব এবং শহিদ হব। কিন্তু আর কোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।’

এ সময় অনেককে বিভিন্ন হাসির অভিনয় করতে দেখা যায়। একদল শিক্ষার্থী গোল হয়ে দাঁড়ান আর মাঝখানে একজন মাইকে উচ্চস্বরে বলেন, ‘আল্লাহ... তোমার কাছে বিচার দিলাম। আমাদের যে ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন তাদের বিচার করার তৌফিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দাও..., এই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যারা বেইমানী করছে, তাদেরকে তুমি তুইলা নাও..., যারা আমাদের ভাইদের খুনিদের সঙ্গে আপস করতেছে, তাদেরকেও তুমি তুইলা নাও.... ইত্যাদি।’ 

এ সময় অন্যরা তার সঙ্গে সুর মেলান। একই সঙ্গে তারা উল্লাস ও কান্নার অভিনয় করেন। 

এর আগে নগরের জামালখান, চেরাগী পাহাড় ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তারা আওয়ামী লীগের মাথাচাড়া দেওয়ার জন্য সরকারের নীরবতাকে দায়ী করেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘এই যে সারা দেশে আওয়ামী লীগ দৃষ্টতা দেখাচ্ছে, সেসব হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে। এই সরকারের আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বোঝাতে চাচ্ছি সরকার ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাদেরকে এখনই পুরো উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং শক্ত হাতে এসব মোকাবিলা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছয় মাসেও সরকার কিছু করতে পারেনি। দৃশ্যমান কোনো বিচারিক অগ্রগতি নেই। কেন আমরা জীবন দিলাম। কেন স্বৈরাচার বিদায় করলাম। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডারা এখন রাস্তায় নামে আর পুলিশ অথর্বের ভূমিকায় আছে। কোনো কাজ করতেছে না।’

এ সময় সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জীবিত অবস্থায় জিন্দা লাশ। সে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিচারকাজ করার চিন্তা-ভাবনা করতেছে। কিন্তু সে পারতেছে না। সে ব্যর্থ, আমরা তার পদত্যাগ চাই।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যখন সাখাওয়াত আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দেয় তখন তাকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীরকে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমরা শুনেছি সে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, অথচ কথা শুনলে মনে হয় সে একজন হাবিলদার বা  কনস্টেবল। সে জোরে কথা বলতে পারে না।’

এ সময় সমন্বয়ক রিদোয়ান সিদ্দিকী, তানভীর শরীফ, আরিফ মঈনুদ্দিন, আশরিফা আক্তার মুনীরা, সাদিয়া আফরিন, জোবায়েরুল মানিক, নাছির উদ্দিন, রাফহান রাফি, নাঈম ও খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সুমন/