উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ জরুরি: স্পিকার । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ জরুরি: স্পিকার

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ জরুরি: স্পিকার
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। তাই উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করায় ১২টি সেক্টরের ২৯টি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের হাতে এবারের গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের হাতে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট, একটি মেডেল ও একটি সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের কল্যাণে কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হচ্ছে, রপ্তানি বাণিজ্য বিকাশ লাভ করছে এবং তৈরি পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প ও আইসিটি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ দেশের শ্রম আইন ও শ্রম আইন বিধিমালায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক অধিকার। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।’

স্পিকার বলেন, ‘শ্রমিকদের দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে থাকতে হয়। তাদের জন্য কর্মস্থলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও আরামদায়ক পোশাকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ অনুকূল রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্য ভাতা চালু করেছেন। প্রত্যেক দপ্তরে শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারী শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করার দিকে সবার দৃষ্টি দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার-ই সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আব্দুর রহিম খান। আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির, বিজেএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এলিস/এমএ/

শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে কি না, সিদ্ধান্তহীনতায় কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে কি না, সিদ্ধান্তহীনতায় কর্তৃপক্ষ
মেট্রোরেল

যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলেও তা চূড়ান্ত হতে এখনো দেরি হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর কথা জানালেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ডিএমটিসিলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মেট্রোরেলের মাত্র একটি লাইন (এমআরটি-৬) চালু করেছি। ধাপে ধাপে আরও পাঁচটি লাইন চালু হবে। পরে কোনো একসময় শুক্রবারও মেট্রোরেল চললেও চলতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এ ছাড়া মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাস্তবসম্মত নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নজির নেই। প্রতিবেশী দেশে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নজির আছে। বাংলাদেশে এর যৌক্তিকতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’ 

পরে ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তো কত কিছু আলোচনা হয়। কিন্তু শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’

ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে জানাতে আমরা সংবাদ সম্মেলন করব। তবে এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়।’ 

তবে ডিএমটিসিএলের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার মেট্রোরেল চালাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নানা তোড়জোড় শুরু করেছেন। যাত্রী চাহিদা তুঙ্গে থাকায় কর্তৃপক্ষ শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচলে মতামত দিয়েছেন। তবে অন্যান্য দিনের মতো পরিচালনা না করে শুক্রবার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে পরিচালনা করা যায় কি না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের হেডওয়ে টাইম (দুই ট্রেনের আসা-যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়) কিছুটা বাড়তে পারে। অন্যান্য দিনে এই হেডওয়ে টাইম ৮ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫ মিনিটে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে। 

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৯টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, কিছু কুচক্রী, স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুকে তার নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি বিব্রতকর, মানহানিকর ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এতে আরও বলা হয়, ফেসবুকে মন্ত্রীর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব প্রতারণাপূর্ণ বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতি বন্ধে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধিদল যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডে

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধিদল যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডে
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যাচ্ছে জাতীয় সংসদের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে তারা সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ‘ফার্স্ট মিটিং অব দ্য প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য সিক্সথ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট (২০২৫)’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সংসদীয় এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সফরে স্পিকার ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অব উইমেন স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট’ সভাতেও অংশগ্রহণ করবেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো. এনামুল হকও সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন। সফর শেষে আগামী ২০ মে প্রতিনিধিদল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এলিস/এমএ/

শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ: আইনমন্ত্রী
ছবি : বাসস

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আইএলও’র ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে টানা তিনদিনের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা তিনদিন ধরে আইএলও প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছি। তাদের প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটা শুধু স্টেক হোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আলোচনায় আমাদের উভয় পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে। আইএলও বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু সাজেশন দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। আইএলও’র কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন, পড়েছেন, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আইএলও-কে যে সহযোগিতা করার কথা, সেটা সরকার করে যাচ্ছে । সেজন্যই মূলত তিনদিন ধরে শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে 'এক্সারসাইজ' করা হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ইস্যুতে তারা সংশোধনের কথা বলেছেন। যেসব ইস্যু গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সেজন্যে এখনই এসব ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে না। 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু বিষয় এসেছিল, যেগুলোর ক্ষেত্রে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া কিছু কিছু বিষয় এসেছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ওইসব বিষয় আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা যে থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটা আমরা ক্রমে ক্রমে নামাবো। কমিটমেন্ট অনুযায়ী আমরা গ্রাজুয়েলি নামাচ্ছি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলও’র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অংশ নেন।

মতলু মল্লিক/এমএ/

স্কুল ও মার্কেটের সামনে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না : ডিএমপি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
স্কুল ও মার্কেটের সামনে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না : ডিএমপি
ছবি : খবরের কাগজ

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘রাজধানীর স্কুল ও মার্কেটের সামনে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে অবৈধভাবে যেসব গাড়ি পার্কিং করা থাকে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

রাস্তা পারাপারে সবাইকে আইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ 

ঢাকার সড়কে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের বেঁধে দেওয়া গতিসীমার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।’

গতিসীমা ভঙ্গ করলে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সে ক্ষেত্রে আটকানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায়, সেগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলত। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।’

মহাখালী বাসমালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে, তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্কিং করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয় তখন থেকেই রাস্তায় পার্কিং করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসছে। এতদিন পরে কাজটি শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান।

প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।

অনুষ্ঠান শেষে আন্তজেলা বাসে নতুনভাবে চালু হওয়া গেটলক সিস্টেম ও মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ডিএমপি কমিশনার।