জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। তাই উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করায় ১২টি সেক্টরের ২৯টি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের হাতে এবারের গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের হাতে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট, একটি মেডেল ও একটি সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের কল্যাণে কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হচ্ছে, রপ্তানি বাণিজ্য বিকাশ লাভ করছে এবং তৈরি পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প ও আইসিটি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ দেশের শ্রম আইন ও শ্রম আইন বিধিমালায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক অধিকার। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।’
স্পিকার বলেন, ‘শ্রমিকদের দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে থাকতে হয়। তাদের জন্য কর্মস্থলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও আরামদায়ক পোশাকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ অনুকূল রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্য ভাতা চালু করেছেন। প্রত্যেক দপ্তরে শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারী শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করার দিকে সবার দৃষ্টি দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার-ই সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আব্দুর রহিম খান। আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির, বিজেএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এলিস/এমএ/