ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ । খবরের কাগজ
ঢাকা ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

তাপপ্রবাহের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ এপ্রিল বন্ধ থাকবে। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কবির/এমএ/

সালমানের বাড়িতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:৫৫ এএম
সালমানের বাড়িতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া নৈশভোজ-পূর্ব আলোচনায় ডলার পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাড়িতে অনানুষ্ঠানিক এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। আলোচনা ও নৈশভোজের পর্ব রাত ৮টায় শুরু হয়ে চলে প্রায় ১১টা পর্যন্ত। 

নৈশভোজ-পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা রাষ্ট্রীয় কোনো আয়োজন নয়। ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরকালে এ যাবৎ মোট চারবার তার বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছেন। 

তিনি বলেন, একেবারেই আড্ডাচ্ছলে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের কথা উঠে এসেছে। ডোনাল্ড লু বলেছেন ডলার সংকটের কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছে না। তাদের আরও অনেক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে চায়। জবাবে আমরা বলেছি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। আমরা চেষ্টা করছি ডলারের সরবরাহ বাড়াতে। এ লক্ষ্যে টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়বে। 

সালমান এফ রহমান বলেন, নেপাল ও ভুটানে বিদ্যুৎ প্লান্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ যাচ্ছে। বাংলাদেশ ওই বিদ্যুৎ ক্রয়ে যুক্ত হোক এটা তারা চায়। এখানে তো তারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ক্রয় বা চীন প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়নি।

নৈশভোজে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বোর্ড সদস্য রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান এবং ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর চিফ অব স্টাফ নেইট হাফট, রাজনৈতিক ইউনিটের প্রধান সারাহ এল্ডরিস, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স এবং পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথ্যু বেহ।

নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
ছবি : সংগৃহীত

নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে শ্রমিকদের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

কেন্দ্রীয় তহবিলের অর্থ গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কোন কোন খাতে কী পরিমাণ ব্যয় করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/এমএ/

মৃত্যুর মুখ থেকে স্বজনদের কাছে, আনন্দ উচ্ছ্বাস

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০১:৩০ এএম
মৃত্যুর মুখ থেকে স্বজনদের কাছে, আনন্দ উচ্ছ্বাস
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত এক নাবিক। ছবি : মোহাম্মদ হানিফ

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিককে উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে বরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ ৬২ দিন নানা শঙ্কা ও উৎকণ্ঠায় কাটিয়ে অবশেষে চট্টগ্রামের ভূমিতে নেমেছেন নাবিকরা। চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটিতে তাদের স্বজন, জাহাজের মালিকপক্ষ ও বন্দরের কর্মকর্তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাসের অবতারণা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টায় কেএসআরএম গ্রুপের অপর লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মণি-৩ কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে বন্দরে আসে। জাহাজ ভেড়ার আগেই নাবিকরা ব্রিজের ওপর এসে হাত নাড়তে থাকেন। এদিক থেকে স্বজনরা হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানান। পরে ওই জাহাজের সঙ্গে একটি সিঁড়ি যুক্ত করা হলে একে একে ২৩ নাবিক নেমে আসেন। প্রথমেই নামেন জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবদুর রশিদ বলেন, ‘জীবন নিয়ে ফিরে আসব, সেটা কখনো ভাবিনি। নিজের ভেতরে ভয় ছিল, তবু সাহসের সঙ্গে জলদস্যুদের হ্যান্ডেল করেছি। জিম্মি হওয়ার দিন আমার বুকে একে ৪৭ রাইফেল ধরেছিল। আমার অন্য নাবিকরা ভয় পেয়ে যান। প্রথমেই আমি বলেছি আমরা মুসলিম, আমরা রোজা রেখেছি। তোমরা আমাদের ক্ষতি করো না। জলদস্যুরা আমাদের ওপর পরে তেমন খারাপ আচরণ করেনি। তারা সব সময় অস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ছিল, যা দেখলে যে কেউ ভয় পাবে।’

বন্দরের জেটিতে নাবিকদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভির আহমদের মা জ্যোৎসা বেগম ছেলের বউকে নিয়ে উপস্থিত হন। তাদের চোখেমুখে আনন্দের উচ্ছ্বাস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ছেলের জন্য উপস্থিত হয়েছেন মা। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ছেলের জন্য শিমের বিচি, গরুর মাংস, শুঁটকি রান্না করেছেন। কারণ তার ছেলে এগুলো পছন্দ করেন। বাসায় ফিরে তা দিয়ে ভাত খেতে দেবেন ছেলেকে।

বন্দরে উপস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘জিম্মি হওয়ার পর থেকে আমরা খুবই বিচলিত ছিলাম। কখন কী হবে, আমাদের নাবিকরা ফিরে আসতে পারবেন কি না। কখন ফিরে আসবেন? সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে তারা দেশে ফিরে এসেছেন। এটিই আমাদের বড় পাওয়া। সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপের জন্য আজ তারা দেশে ফিরে এসেছেন। আজ আমি আনন্দিত। আবেগ ধরে রাখতে পারিনি বলেই আমি ছুটে এসেছি। আমি নাবিকদের সুস্থতা কামনা করি।’

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এর আগে এত দ্রুত জাহাজ মুক্ত হয়নি। এ জাহাজ মুক্ত করার জন্য বিদেশি জাহাজ বলপ্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা অনুমতি দিইনি। জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপও সেটা চায়নি। এতে জাহাজের নাবিকরা মৃত্যুর শঙ্কায় পড়তে হতো। আমরা নাবিকদের জীবনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ফলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে আজ নাবিকরা আমাদের দেশে ফিরে এসেছেন। এটি আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল। আমি ধন্যবাদ জানাই বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাহাজের মালিক কেএসআরএম গ্রুপকে।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারা একটি বড় অর্জন। কারণ জলদস্যুরা খুব জঘন্য হয়, নির্যাতন ও মারধর করে। এর মধ্যে আমাদের নাবিকরা একেবারেই অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছেন।’

মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাহান বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা দেশে ফিরে এসেছেন। এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। আমরা সমুদ্র জয় করেছি। এবার জিম্মি জাহাজের নাবিকদেরও জয় করেছি। কারণ নাবিকদের ফিরে আনা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার ছিল। তবে আমরা যখন যেটি সরকারকে বলেছি তাতে দ্রুত সাড়া পেয়েছি। নাবিকরা দেশে ফিরেছেন, এটি দেশের জয়।’

কবির গ্রুপের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, ‘জিম্মি হওয়ার পর থেকেই জাহাজ কীভাবে মুক্ত করব, সেই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আন্তর্জাতিক সব অ্যাঙ্গেলে চেষ্টা করেছি জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের। অবশেষে সফল হয়েছি। খুব কম সময়ের মধ্যে নাবিকরা ফিরে এসেছেন।  আল্লাহর কাছে শোকরিয়া।’

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজটি নোঙর করেছিল কুতুবদিয়ায়। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় নাবিকদের। এরপর ২৩ নাবিক চলে যান পরিবারের কাছে।

প্রসঙ্গত, আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। গত ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়।

গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে যায় জাহাজটি। সেখান থেকে চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

প্রায় ৬ মাস পর পরিবারের কাছে ফিরেছেন ২৩ নাবিক। গত ২৯ নভেম্বর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে উঠেছিলেন তারা। কোরিয়া থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকে যায় জাহাজটি। ৪ মার্চ মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ হাইজ্যাক হয় এটি।

৪ মার্চ থেকে টানা ৭০ দিন নাবিকদের সময় কাটে জিম্মিদশায়, নানা দুশ্চিন্তা-দুর্দশায়। নাবিকরা হলেন জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুরুদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিং লিমিটেডের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। সে সময় ৪০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হলেও এবার কত টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। 

শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে কি না, সিদ্ধান্তহীনতায় কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে কি না, সিদ্ধান্তহীনতায় কর্তৃপক্ষ
মেট্রোরেল

যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলেও তা চূড়ান্ত হতে এখনো দেরি হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর কথা জানালেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ডিএমটিসিলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মেট্রোরেলের মাত্র একটি লাইন (এমআরটি-৬) চালু করেছি। ধাপে ধাপে আরও পাঁচটি লাইন চালু হবে। পরে কোনো একসময় শুক্রবারও মেট্রোরেল চললেও চলতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এ ছাড়া মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাস্তবসম্মত নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নজির নেই। প্রতিবেশী দেশে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নজির আছে। বাংলাদেশে এর যৌক্তিকতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’ 

পরে ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তো কত কিছু আলোচনা হয়। কিন্তু শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’

ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে জানাতে আমরা সংবাদ সম্মেলন করব। তবে এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়।’ 

তবে ডিএমটিসিএলের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার মেট্রোরেল চালাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নানা তোড়জোড় শুরু করেছেন। যাত্রী চাহিদা তুঙ্গে থাকায় কর্তৃপক্ষ শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচলে মতামত দিয়েছেন। তবে অন্যান্য দিনের মতো পরিচালনা না করে শুক্রবার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে পরিচালনা করা যায় কি না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের হেডওয়ে টাইম (দুই ট্রেনের আসা-যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়) কিছুটা বাড়তে পারে। অন্যান্য দিনে এই হেডওয়ে টাইম ৮ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫ মিনিটে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে। 

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৯টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, কিছু কুচক্রী, স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুকে তার নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি বিব্রতকর, মানহানিকর ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এতে আরও বলা হয়, ফেসবুকে মন্ত্রীর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব প্রতারণাপূর্ণ বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতি বন্ধে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।