কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তিন দফায় আরও ৪০ জন মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার তিনটি পয়েন্ট দিয়ে এসব সদস্য অস্ত্র-গোলাবারুদসহ পালিয়ে আসেন।
বিজিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ৩ মে রাত ১টায় টেকনাফের সাবরাং ইউপির আচারবুনিয়া থেকে ১৪ জন বিজিপি সদস্য একটি কাঠের নৌকায় এসে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সাবরাং বিওপিতে আত্মসমর্পণ করেন।
এর পর শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৬টায় টেকনাফ সদর ইউপির নাজিরপাড়া এলাকায় নৌকায় করে বিজিপির আরও ২২ সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নাজিরপাড়া বিওপিতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরে সকাল ৯টায় টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়া এলাকায় আরও চার বিজিপি সদস্য দুটি কাঠের নৌকা ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
বিজিবির দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে তিন দফায় আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
চলতি বছরে মায়ানমারে আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া ছয় শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ার পর সে দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রথমবার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে জাহাজে করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর পর গত ২৫ এপ্রিল আরও ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মুহিবুল্লাহ্/অমিয়/