মায়ানমার সীমান্তরক্ষীর ৪০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

মায়ানমার সীমান্তরক্ষীর ৪০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০২:১০ পিএম
মায়ানমার সীমান্তরক্ষীর ৪০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে
কক্সবাজার

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তিন দফায় আরও ৪০ জন মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার তিনটি পয়েন্ট দিয়ে এসব সদস্য অস্ত্র-গোলাবারুদসহ পালিয়ে আসেন।

বিজিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ৩ মে রাত ১টায় টেকনাফের সাবরাং ইউপির আচারবুনিয়া থেকে ১৪ জন বিজিপি সদস্য একটি কাঠের নৌকায় এসে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সাবরাং বিওপিতে আত্মসমর্পণ করেন।

এর পর শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৬টায় টেকনাফ সদর ইউপির নাজিরপাড়া এলাকায় নৌকায় করে বিজিপির আরও ২২ সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নাজিরপাড়া বিওপিতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরে সকাল ৯টায় টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়া এলাকায় আরও চার বিজিপি সদস্য দুটি কাঠের নৌকা ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

বিজিবির দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে তিন দফায় আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।

চলতি বছরে মায়ানমারে আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া ছয় শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ার পর সে দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রথমবার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে জাহাজে করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর পর গত ২৫ এপ্রিল আরও ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মুহিবুল্লাহ্/অমিয়/

প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: প্রধান বিচারপতি
ছবি: খবরের কাগজ

দেশের প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার সংবিধানে রয়েছে। সেটি নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগ সার্বক্ষণিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার (১৮ মে) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে এই বিশ্রামের স্থান বিচারপ্রার্থীদের জন্য ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে নারী বিচারপ্রার্থীদের জন্য এটি খুবই কার্যকর। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে খুবই আন্তরিক। যার কারণে তিনি আমাদের এ প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন দিয়েছেন।’

ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘প্রত্যেক বিচারপ্রার্থী তার ন্যায়বিচার পাবেন। সেটি বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে। যার কারণে এই বসার স্থান প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হচ্ছে। ন্যায়কুঞ্জ আজকে কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠিত হলো। যার উপকারভোগী কক্সবাজারের মানুষ হবেন। এখানে যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা যদি পর্যায়ক্রমে আরও উন্নয়ন করার প্রয়োজন, সেটিও করা হবে।’

অনুষ্ঠান শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজারের জজ আদালতের বিচারক ও জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা-কর্মীরা।

সাদিয়া নাহার/

মেয়র তাপসের বক্তব্যের জবাব দিলেন সাঈদ খোকন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
মেয়র তাপসের বক্তব্যের জবাব দিলেন সাঈদ খোকন
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাঈদ খোকন

ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন সাবেক মেয়র ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন।  

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এগিয়েছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র তাপস ও তার আমলের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন তিনি। 

সম্মেলনের প্রথমেই ভিডিওর মাধ্যমে সাঈদ খোকনের আমলের উন্নয়ন দেখানো হয়। তারপর তিনি ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের ‘সঠিক তথ্য’ উপস্থাপন করেন।

এর আগে গত ১৫ মে মালিবাগ মোড়সংলগ্ন উড়াল সেতুর নিচে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল।

এর জবাবে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আমাদের। ২০১৯ সালে ঢাকাসহ সারা দেশে এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৯ জন মারা যান। যদিও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশের ইতিহাসে অতীতের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ওই বছর ২০২৩ দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই এক লাখ ১০ হাজার আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। একই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৮০ জন মারা যান।’

রিয়াজ/জোবাইদা/

ধোলাইখালে ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ধোলাইখালে ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহাজান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে।

খাজা/সালমান/

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

তিনি জানান, ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক রয়েছে। সেখানে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। 

খাজা/সালমান/

সমুদ্রে কর্মরত নারীদের সম্মান জানানোর দিন আজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
সমুদ্রে কর্মরত নারীদের সম্মান জানানোর দিন আজ
প্রতীকী ছবি

সমুদ্র এলাকায় কর্মরত নারীদের কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে প্রতিবছর মে মাসের ১৮ তারিখ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর উইমেন ইন মেরিটাইম’ পালন করা হয়। ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কর্তৃক প্রথম এই দিবসটি ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে প্রতিবছর ১৮ মে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়। এই বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর মনোনিবেশ করবে। সেই সঙ্গে এই শিল্পে লিঙ্গভেদে পরিবর্তনশীল মনোভাব তুলে ধরবে।

দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সেফ হরাইজনস: উইমেন শেপিং দ্য ফিউচার অব মেরিটাইম সেফটি’। এই প্রতিপাদ্যটির মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতিতে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। তা সে নাবিক, সামুদ্রিক পেশাজীবী বা যেকোনো নেতৃত্বের ভূমিকায় হোক না কেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) এ উপলক্ষে আইএমওর লন্ডনের হেডকোয়ার্টারে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মেরিটাইম পেশাজীবী, নাবিক ও মেরিটাইম নেতারা। তারা অনুষ্ঠানে একজন নারীর দৃষ্টি দিয়ে সমুদ্রে নিরাপত্তার পুনর্বিন্যাস নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজ বলেন, সবার কল্যাণের জন্য মেরিটাইমশিল্পে নারীশিক্ষা এবং পেশাগত উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন করা, নারীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনের দিকে ধাবিত করা এবং এ শিল্পে নারীদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে সর্বদা সচেষ্ট। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের তথ্যের ভিত্তিতে সামগ্রিক সামুদ্রিক কর্মশক্তির মাত্র ২৯ শতাংশ নারী। যেখানে নারী নাবিকদের বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার অনুপাত ২ শতাংশেরও কম। 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো আইএমও জেন্ডার ইকুয়ালিটি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটি উইমেন ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সাইপ্রাসের ডেসপিনা প্যানাইওতোউ থিওডোসিউর কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা জাহাজের নিরাপত্তা ও জাহাজের দ্বারা সামুদ্রিক এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের জন্য দায়ী। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে সমর্থন করে।