ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিকল্প ব্যবস্থা না করে রিকশা বন্ধের বিপক্ষে ডেপুটি স্পিকার

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
বিকল্প ব্যবস্থা না করে রিকশা বন্ধের বিপক্ষে ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় কথা বলছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক বন্ধের বিপক্ষে এবার নিজের অবস্থান জানালেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

মঙ্গলবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা এনেছিল বিএনপি সরকারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা। এরপর বাড়তে থাকে। কিন্তু যখন কম ছিল তখনই বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। হুট করে বন্ধ করা যাবে না, এখন বন্ধ করতে হলে বিকল্প ব্যবস্থা দরকার।’

শামসুল হক টুকু বলেন, ‘সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধীরে ধীরে কীভাবে বন্ধ করা যাবে। বাংলাদেশ তো আগের মতো নেই, তারা তো স্মার্ট রিকশাওয়ালা হবে।’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি নাগরিককেও দায়িত্বশীল নাগরিক হতে হবে বলে মন্তব্য করেন ডেপুটি স্পিকার। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চিহ্নিত শত্রু দুটি। এক জামায়াতে ইসলামী, আরেকটা ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করতে চেয়েছে, তারা শুধু সেদিনই নয় আরও একাধিকবার চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা কাউকে ভয় পান না, মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য মনে করে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই বাঙালি জাতিকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক দেশে উন্নীত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।’

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি সফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওলাদ হোসেন।

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

এনআইডির সাবেক ডিজির এনআইডি ব্লকড

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম
এনআইডির সাবেক ডিজির এনআইডি ব্লকড
সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনের এনআইডি ব্লক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সালেহ উদ্দিনের এনআইডি ব্লক করা হয় বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশনায় এটি ব্লক করা হয়।

আরও জানা যায়, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাসহ জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করার আদেশ দিতে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দরখাস্ত মঞ্জুর করে দুদক।

এক্ষেত্রে জনস্বার্থে ওই দুজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচায়পত্র ব্লক করার নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি।

এই নির্দেশনা পাওয়ার পর ইসির অনুমোদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আইটি শাখা সালেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রীর এনআইডি ব্লক করে।

সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন বিএমটিএফ-এর দায়িত্ব নেওয়ার আগে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তার সময়েই স্মার্টকার্ডের জন্য ফরাসি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অবার্থারের সঙ্গে চুক্তি হয়।

এর আগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি ব্লক করে ইসি।

অমিয়/

উত্তরায় প্রাইভেটকারে করে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
উত্তরায় প্রাইভেটকারে করে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় মো. হাসানুজ্জামান শাওন (৩৬) ও মো. আমির হোসেন (৩২) নামে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল  দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানাধীন বিএনএস সেন্টারের বিপরীতে একটি প্রাইভেটকারে কয়েকজন লোক অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশের নজরে আসে। পরে থানার একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের ও অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি শনাক্ত করে। এর পর সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে হাসানুজ্জামান শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী  অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের পূর্ব চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, আসামিরা চারজন মিলে ভিকটিম আরিফকে অপহরণ করে রূপগঞ্জে নিয়ে যায় এবং পাওনা টাকা আদায়ের পর তাকে ছেড়ে দেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে উত্তরা-পূর্ব থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে । মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, অপহরণে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

মেহেদী/

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩০০ ঘর বিতরণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩০০ ঘর বিতরণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের চারটি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত এসব ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব ঘর বিতরণ করেন।

এর মধ্যে ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি এবং চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর বিতরণ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসকরা সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন।

গত বছরের ওই বন্যায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম। অসংখ্য বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। যে সকল পরিবারের বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থাৎ যাদের ঘর নির্মাণের সামর্থ্য নাই এ রকম তিনশটি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রধানের পেশা, আয়, ঘর নির্মাণে আর্থিক অসামর্থ্য, দুঃস্থতা, ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ধরণ ও স্থানীয় অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে উপকারভোগী পরিবার বাছাই করা হয়।

জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য এক বা একাধিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির যৌথ জরিপের মাধ্যমে উপকারভোগীদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

ঘরগুলো যেন দুর্যোগ সহনীয় ও টেকসই হয় সে লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহযোগিতায় দুটি ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়।

প্রতিটি ডিজাইনে দুটি মূল কক্ষসহ কমন স্পেস, টয়লেট, রান্নাঘরসহ বারান্দা রয়েছে। প্রথম ডিজাইনের ঘরের আয়তন ৪৯২ বর্গফুট এবং প্রাক্কলিত টাকার পরিমাণ সাত লাখ ২৫ হাজার ৬৯৪ টাকা এবং দ্বিতীয় ডিজাইনের ঘরের আয়তন ৫০০ বর্গফুট এবং প্রাক্কলিত টাকার পরিমাণ সাত লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ টাকা। 

ঘরগুলো নির্মাণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তিনশটি ঘর নির্মাণে প্রায় ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যরা, এলজিইডির প্রকৌশলী ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা, তাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩০০ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।’

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।

ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী। সূত্র: বাসস

অমিয়/

আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান

আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, ‘আগামী বাজেটে একটা সিগনাল পাবেন। আমরা একটু সহনীয় করার চেষ্টা করছি। তবে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেব।’

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘সামষ্টিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজস্ব ব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (ফিকি) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর রিয়াজ। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফিকির নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবীর প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থনীতির খারাপ সময়ের মধ্যেও রাজস্ব আদায় বাড়ছে। এপ্রিল শেষে আরও ভালোর দিকে যাবে। আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ অনেক কম। যেটা সভ্য দেশের লক্ষণ নয়। আমাদের সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে। দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করতে করের হার অনেক কমিয়েছি। সবার কাছ থেকে যেহেতু কর আদায় করতে পারি না, আবার কর ফাঁকিও যেহেতু হয়, তাই যখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই তখন কমপ্লায়েন্ট করদাতারা অভিযোগ করেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা কর দেয় না তাদের আমরা নোটিশ করছি। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশন করছি। আগামী বছর থেকে করপোরেট কর অনলাইনে আদায় করব।’

অটোমেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বন্ডের ক্ষেত্রে পুরোপুরি অটোমেশন করতে পেরেছি। সেন্ট্রাল বন্ডেড হাউসে নানান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সিঙ্গেল উইন্ডোতে অটোমেশন করছি। এগুলো হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। ব্যবসায়ীরা আমাদের প্রতিনিয়ত কর কমানোর পরামর্শ দেন। তবে আমাদের কর আদায় বাড়াতেই হবে।’ 

আইএমএফের ঋণের কিস্তি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি অনুমোদনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আলোচনা চলছে, আমরা আশাবাদী।’

 তিনি জানান, আগামী ৫ মে ওয়াশিংটনে আইএমএফের স্টাফ লেভেল বৈঠকে ঋণের কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ২৩ মে সংস্থাটির বোর্ড সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে কিছু বিষয়ে এখনো আলোচনা বা দর-কষাকষি চলছে। বিশেষ করে বিনিময় হার উন্মুক্ত করার বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে।’

ইশরাক হোসেনের মামলা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ইশরাক হোসেনের মামলা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ
ইশরাক হোসেন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের রায়কে ‘একতরফা রায়’ বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এমন কার্যক্রম ও তৎপরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে দলটি। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। এ ছাড়া বিবৃতিতে বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এনসিপি। 

বিবৃতিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি উল্লেখিত মামলার প্রথম তিন বছর পাঁচ মাসে ৩২টি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে মাত্র চার মাসে ১৭টি তারিখ দিয়ে মামলাটি তড়িঘড়ি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে এত দ্রুততার সঙ্গে তারিখ ধার্য করা হয়নি। ফলে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল শুধু এই মামলার একটি পক্ষকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তদুপরি, মামলার গুরুত্বপূর্ণ হলফনামাগুলো বেআইনিভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন ও দাখিল করে আরজি সংশোধন করে ভিন্নধর্মী প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল কোনোরূপ বিচার-বিবেচনা ব্যতিরেক তা গ্রহণ ও মঞ্জুর করেছেন। এ ঘটনাগুলো বিচারিক পদ্ধতির স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

এ মামলায় কমিশনের ভূমিকা রহস্যজনক ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এই মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি; যার ফলে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি রায়ের পর তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কমিশনের এমন তৎপরতা অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক। এর আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে, যা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে বলে জনগণ মনে করে।’