ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। ছবি : খবরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অনেক এলাকার বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কিছু কিছু এলাকায় গাছ পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালের অধিকাংশ গ্রাহক এবং ফেনী, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক এলাকা ১০ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন ছিল। 

বিপিডিবির মুখপাত্র শামীম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় সারা দেশের অনেক বৈদ্যুতিক পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- মূলত খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হবে।

সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিচালন ও বিতরণ) দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। 

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় সাংবাদিকদের জানান, বাগেরহাট জেলায় ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, রাত থেকেই ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আ স ম রেজাউন নবী বলেন, সোমবার ভোর ৫টা থেকে ৩০ হাজারের অধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। বৃষ্টি বন্ধ হলে লাইন মেরামতের কাজ শুরু হবে। এরপর সংযোগ দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে গতকাল রবিবার রাত দেড়টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এতে অন্তত ৭০ হাজার গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। 

পিরোজপুর জেলা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর, ভাইজোড়া, শারিকতলা, পাড়েরহাটসহ জেলার কাউখালী, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার লোক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) জানায়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা উপকূলীয় এলাকায় বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। 

গুম কমিশনে নিখোঁজ ২০০ জনের তালিকা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
গুম কমিশনে নিখোঁজ ২০০ জনের তালিকা
ছবি:খবরের কাগজ

গুমের শিকার হওয়ার পর থেকে এখনো নিখোঁজ ২০০ জনের একটি তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কাছে।

 বুধবার (৮জুলাই) ইউনাইটেড ফর দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেসের (ইউভিইডি) পক্ষ থেকে ওই তালিকা জমা দেওয়া হয়। এর আগে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন ও ইউভিইডির মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রাজধানীর গুলশানে গুম কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইউভিইডির মুখ্য আহ্বায়ক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন। সেখানে উভয়ের মধ্যে গুমসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে কমিশনের সদস্য মো. নুর খান লিটন, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও ড. নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।

পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে গুমের শিকার হওয়ার পর ফেরত না আসা ২০০ জনের একটি তালিকা দিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থা শনাক্তে গুমসংক্রান্ত কমিশনের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এ সময় গুম অবস্থা থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও আর্থসামাজিক পুনর্বাসনসহ সব ঘটনার বিচারিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পায়। 

নবীন সৈনিকরা দেশের এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না: বিজিবি ডিজি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
নবীন সৈনিকরা দেশের এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না: বিজিবি ডিজি
ছবি: খবরের কাগজ

দেশ মাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষায় নবীন সৈনিকেরা প্রয়োজনে তাদের জীবন দেবে তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের ১০৩তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী তৎকালীন ইপিআরের ৮১৭ জন অকুতোভয় বীর শহিদদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও একইসঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ সব ছাত্র-জনতাকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

বিজিবি মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ মাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষায় নবীন সৈনিকেরা প্রয়োজনে তাদের জীবন দেবে তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। নবীন সৈনিকেরা কখনো দেশবাসীকে হতাশ ও নিরাশ করবে না। তাদের দেওয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই দেশের মানুষের নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করবে। এই নবীন সৈনিকরাই হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক।'

তিনি বলেন, 'সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী'খ্যাত এই বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সুদীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষাসহ সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, মাদক ও অস্ত্রসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোনো ধরণের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রেও বিজিবি অত্যন্ত বিশ্বস্ততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছে।'

নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, 'মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা' বিজিবির এ চারটি মূলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খল ও সুচারুরূপে পালনের করতে হবে।' 

শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিক জীবনের অলংকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। নবীন সৈনিক হিসেবে এই সব পেশাগত ও চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল পূর্বসূরীদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োগ করতে পারবে।'

এ সময় দেশ সেবায় মহান কার্যভার গ্রহণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে নবীন সৈনিকদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। 

নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আজ নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে যথাযথ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আজ নবীন নারী সৈনিকরা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃপ্ত শপথ নিয়ে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। নবীন নারী সৈনিকরা বিজিবির সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনায় আরও গতিশীল ভূমিকা রাখাসহ বাহিনীর সুনাম-সুখ্যাতি বৃদ্ধিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।'

এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক নবীন সৈনিকদের তেজদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। নবীন সৈনিকরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব। প্রতিপক্ষ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে কোনো অবস্থাতেই নমনীয় আচরণ না করার জন্য নবীন সৈনিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান করছি।

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/

যাত্রাবাড়ীতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ তিনজন দগ্ধ

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
যাত্রাবাড়ীতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ তিনজন দগ্ধ
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

বুধবার (৯ জুলাই) রাত পৌনে ২টার দিকে শহীদ ফারুক সড়ক এলাকার খাদেমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসা গলির ৩১/১ নম্বরের ছয়তলা আবাসিক ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের মোহাম্মদ রিপন (৪০), তার স্ত্রী ইতি আক্তার (৩২) ও তাদের সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে রাফিয়াকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নেন।  মনির নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

দগ্ধদের হাসপাতালে নেওয়া প্রতিবেশী তাসলিমা মনি খবরের কাগজকে বলেন, যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক এলাকার ওই ছয়তলা ভবনের নিচ তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন রিপন। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে গভীর রাতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাৎক্ষণিক তাদের শয়নকক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে তারা তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের শব্দ ও চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

তিনি আরও বলেন, 'বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে পাশের ভবনে আমরা ঘুমিয়ে থাকা সত্ত্বেও চমকে উঠি। চিৎকার শুনে বেরিয়ে দেখি ওই কক্ষে আগুন জ্বলছে। ইতির শরীর থেকে চামড়া খসে পড়ছিল, আর হাসপাতালে নিয়ে বাঁচানোর জন্য আর্তনাদ করছিলেন। এ অবস্থায় উপস্থিত কয়েকজনে মিলে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।'

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধ সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এরমধ্যে রিপনের শরীরের ৭০ শতাংশ, ইতির ৪৫ শতাংশ ও শিশু রাফিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে রাফিয়াকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং তার মা-বাবাকে হাই ডিফেন্সিভ ইউনিটে (এইসডিইউ) ভর্তি দেওয়া হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাটের তিনটি কক্ষে তিন পরিবার বসবাস করেন। এর মধ্যে একটিতে একমাত্র শিশুসন্তানসহ মনির-ইতি দম্পতি থাকেন। সকালে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, মনিরের ওই কক্ষের ভেতর দিয়ে বা নীচ দিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন সংযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকেই গ্যাস লিকেজ পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করছেন তারা।

এ ঘটনায় ভবন মালিকের উদাসীনতাকেও দায়ী করছেন স্থানীয়রা। বিস্ফোরণে মনিরের কক্ষের দরজা জানালা ভেঙে ছুটে চলে যায়। এ ছাড়া ওই ফ্ল্যাটের অপর দুটি কক্ষেরও দরজা-জানালা ছুটে পড়লেও ভেতরে থাকা বাসিন্দারা কেউ দগ্ধ বা আহত হননি। 

আলমগীর/মেহেদী/

যতদূর সম্ভব ঐকমত্যের মাধ্যমে জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে: আলী রীয়াজ

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
যতদূর সম্ভব ঐকমত্যের মাধ্যমে জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে: আলী রীয়াজ
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১১তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: খবরের কাগজ

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। 

কমিশনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে সবাইকে নিয়ে যতদূর সম্ভব ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। আমরা বারবার বলেছি যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই জুলাইয়ের মধ্যেই যেন এই কাজ সম্পন্ন করতে পারি। অনেক বিষয়ে অনেক নিষ্পত্তি হয়নি। তবে আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ায় বিষয়গুলোতে আগামী সপ্তাহে মীমাংসার জায়গায় যেতে পারব।’ 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১১তম অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। 

আজকের আলোচ্য সূচি হচ্ছে- প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত কিছুদিনের আলোচনায় আমাদের বেশ কিছু অগ্রগতি হচ্ছে, সেটা লক্ষণীয়। আলোচনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের যেটা দরকার সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কারণ আমাদের সবার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য এক। সেগুলো অর্জন করার চেষ্টাই হচ্ছে আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা একটা জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলছি, যাতে করে ক্ষমতায় এক কেন্দ্রীকরণ না হয়, সেটার কথা বলছি। নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যা কোনো অবস্থাতেই এদেশে আবার কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন তৈরি করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা। এ উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত। ইনটেনশন এবং উদ্দেশ্যের দিক থেকে কোনো ভিন্নতা নেই। কমিশনের কোনো আলাদা উদ্দেশ্য নেই।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।

শফিকুল/পপি/

ইসির ৮ম কমিশন সভা চলছে

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:১২ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
ইসির ৮ম কমিশন সভা চলছে
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভা কক্ষে ইসির ৮ম কমিশন সভা চলছে। ছবি: খবরের কাগজ

প্রস্তাবিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ে আইনি সংস্কার নিয়ে ৮ম কমিশন সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার পর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভা কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি শুরু হয়। 

সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত আছেন।

আজকের সভায়- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ এর (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত হলফনামা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পুনঃঅর্পণ এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

এলিস/পপি/