![১৮ কোটি জনগণ পাতানো নির্বাচন করতে দেবে না : রিজভী](uploads/2023/12/02/1701534106.1697602029.Rizvi.jpg)
দেশের ১৮ কোটি জনগণ পাতানো নির্বাচন করতে দেবে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মাটিতে হবে না। এই মুহূর্তে একতরফা, প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন ভোটারদের সঙ্গে তামাশার শামিল।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভাচুর্য়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, ‘মাত্র একজন ব্যক্তির অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার উদগ্র লিপ্সার কারণে বাংলাদেশ এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দেউলিয়া করেনি, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতাও বিপন্ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই লুটেরা চক্র শুধু বর্তমান প্রজন্মকেই নয়, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ঋণে ডুবিয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উজ্জ্বল সম্ভাবনার পথও কঠিন করে দিয়েছে। নিশিরাতের সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। অর্ধাহারে-অনাহারে কাটছে, কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষের দিনকাল। এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘চরম অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিতে প্রহসনের নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করার আয়োজন চলছে। জনগণের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনষ্টের হিসাব বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রীরাও বলতে শুরু করেছেন, এই নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে তারা সন্দিহান।’
রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের সব হুঁশিয়ারি ও আহ্বান উপেক্ষা করে পাতানো ডামি নির্বাচনের সার্কাস করছেন শেখ হাসিনা। তার এই নির্বাচনী প্রহসন জেনে গেছে গোটা বিশ্ব। দেশের জনগণের আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। অচিরেই তার ক্ষমতায় থাকার সাধ চূর্ণ-বিচূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। এখন একমাত্র করুণ পতনই শেখ হাসিনার নিয়তি।’
রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে আটটি। আর এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে।
এমএ/