![নিরপরাধ মানুষই নিপীড়নের শিকার: মির্জা ফখরুল](uploads/2024/04/17/1713291630.1713007173.Fakhrul.jpg)
দেশে আইনের শাসনের অভাবে নিরপরাধ মানুষই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তাদের সব অপকর্মকে আড়াল করতেই জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া, গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ থানার দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ জন এবং বংশাল থানার একটি মামলায় ছয়জন নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম-অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. মাসুম, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহসভাপতি ইসলাম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন, হাজারীবাগ ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর এক মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মো. সোহেল, মো. সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।