ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইস্যু না পেয়ে বিএনপির নেতারা পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
ইস্যু না পেয়ে বিএনপির নেতারা পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি নেতাদের ভারতবিরোধী বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, যখন দেশবিরোধী সব ইস্যু বিএনপির নাগালের বাইরে চলে গেছে, তখন তাদের নেতারা পাগলের প্রলাপ বকছে। এ দেশে পাকিস্তানের চিন্তা-চেতনা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। কিন্তু তখনো এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছিল। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) আয়োজিত ‘বহুমুখী পাট পণ্যের একক মেলা’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন পাটমন্ত্রী। 

এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। পাটপণ্যের উৎপাদন খরচ যেসব দেশে সবচেয়ে কম, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পাটের তৈরি গৃহসজ্জার পণ্যের চাহিদার পাশাপাশি পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ, জিও টেক্সটাইল ও ফ্লোর কভারের চাহিদাও বাড়ছে। এ ছাড়া পাটকাঠির তৈরি চারকোলের চাহিদাও রয়েছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে। এ ছাড়া পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারের আকার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এসব সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’ 

মন্ত্রী নানক বলেন, ‘আমরা পাটের উৎপাদনের দিকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি, তেমনি মূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদনে আরও জোর দিচ্ছি। এ জন্য  জেডিপিসি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব সোনালি আঁশ পাট বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাট খাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হচ্ছে।’ 

মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান এবং সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ রকম মেলার আয়োজন করে পাট পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য জেডিপিসিকে নির্দেশনা দেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জেডিপিসি পাটপণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। 

বস্ত্র ও পাটসচিব মো. আব্দুর রউফ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) গোপাল চন্দ্র দাশ প্রমুখ। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা ২৩ এপ্রিল শুরু হয়, যা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জাগপার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জাগপার
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। ফাইল ছবি

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সারা দেশে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাগপা কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় এ আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। 

তিনি বলেন, ‘শুধু তা-ই নয়, কোটাবিরোধী আন্দোলনে হত্যা নিয়ে সরকার জঘন্য মিথ্যাচার করছে। সরকার মূলত কূটনীতিকদের বিভিন্ন স্থাপনার ধ্বংসযজ্ঞ দেখিয়ে লাশের সঠিক পরিসংখ্যান এড়িয়ে গেছে।’ 

কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেছেন, “আন্দোলনে ‘গণহত্যা’ সরকারের ইঙ্গিতেই হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী বাহিনী দিয়ে সরকার সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হত্যা চালিয়ে নিজেদের রক্ষার্থে কারফিউ দিয়েছে।”

জাগপা মুখপাত্র বলেন, ‘এখানেই শেষ নয়! ফ্যাসিস্ট সরকার গণহত্যার লাশের হিসাব গায়েব করার জন্য সরকারি স্থাপনায় নিজেরা (আওয়ামী লীগ) আগুন দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য বিএনপি, জামায়াত, ১২-দলীয় জোট, বিজেপি, গণ অধিকার পরিষদসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নাটক শুরু করেছে।’ 

‘জাতীয় ঐক্যের ডাক’কে স্বাগত এবং সমর্থন জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার রক্ষার প্রয়োজনে বিএনপি ঘোষিত ‘জাতীয় ঐক্য’ ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ মজলুম জনগণ অচিরেই বিজয় লাভ করবে।’ 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, হাজী মো. হাসমত উল্লাহ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বাবুল, মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

শফিক/এমএ/

সহিংসতাকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার চান রওশন এরশাদ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
সহিংসতাকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার চান রওশন এরশাদ
রওশন এরশাদ। ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি ‘সন্ত্রাসী চক্র’ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের দাবিদার প্রবীণ রাজনীতিবিদ রওশন এরশাদ। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার হামলায় ওই চক্রটিকে দায়ী করে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে তাদের বিচার দাবি করেছেন তিনি। 

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনা পরিদর্শন করেন রওশন এরশাদ। এদিন বেলা ১২টার দিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী টোল প্লাজায় আসেন রওশন এরশাদ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তার নেতৃত্বাধীন দলের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদসহ অন্যান্য নেতারা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে রওশন এরশাদ যান ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবনে। রওশন এরশাদ তখন গাড়িতে বসেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। 

রওশন এরশাদ বলেন, ‘কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সন্ত্রাসী গ্রুপের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনা। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি। যারা দেশের এত বড় ক্ষতি করেছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা প্রয়োজন। কোনো দেশের নাগরিক রাষ্ট্রের সম্পদ এভাবে ধ্বংস করতে পারে না। যারা করেছে তারা দেশের শত্রু।’

সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া সেতু ভবন দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই নিজের চোখে ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে এসেছি। আমার এই বয়সে দেশের এমন ছবি দেখতে হবে, তা ভাবতেও পারিনি। এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে কষ্ট হবে কিন্তু মনের ক্ষত আমরা মুছতে পারবো না।’ 

দেশব্যাপী চার দিনের সহিংসতায় নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় শোকার্ত রওশন এরশাদ বলেন, ‘ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায়, আন্দোলনে সহিংসতা দেখা দেয়। সে কারণে অনেক শিক্ষার্থীর অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। অনেকে আহত অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।’ সহিংসতায় সব ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন রওশন এরশাদ। তিনি নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানান। 

রওশন এরশাদ তার অনুসারী নেতাদের নিয়ে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন, মিরপুর ১০ পুলিশ বক্সসহ রাজধানীতে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরে মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে ভাঙচুর চালানো কাউন্সিলর কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। 

জয়ন্ত/এমএ/

জাতীয় ঐক্যে যোগদানের ঘোষণা কর্ণেল অলির

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
জাতীয় ঐক্যে যোগদানের ঘোষণা কর্ণেল অলির
এলডিপি'র প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ (বীর বিক্রম)। ফাইল ছবি

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিএনপির পক্ষ থেকে যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে, সেই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল থাকার ঘোষণা প্রদান করছি। সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দলগুলোর ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। দুর্নীতিবাজ ও জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করার এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ কায়েম করার পদক্ষেপ নিতে হবে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

কর্ণেল অলি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিয়েছিল, সেটিকে সশস্ত্র সহিংসতার মাধ্যমে দমন করতে গিয়ে অবৈধ সরকার দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের উপর অমানবিক অত্যাচার এবং গভীর রাতে অসহায় ছেলে-মেয়েদেরকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে হল থেকে বের করে দিয়ে রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কয়েক হাজার আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার এবং ছাত্রলীগ কীভাবে দায় এড়াবে? 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইন, নিয়ম নীতি হল শুধু সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু বর্তমানে সরকার ও তাদের দলকে কোন নিয়ম-নীতি বা আইন মানতে হয় না। তারা যাকে ইচ্ছা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে, যাকে ইচ্ছা দোষারোপ করে, কারণ তারা পথভ্রষ্ট এবং সরকারের সেবাদাস। ঘটনা ঘটায় সরকার, আর দোষারোপ করা হয় বিরোধী দলগুলোকে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, ধামাচাপা দিয়ে কখনো সমস্যার সমাধান হবে না।

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, বিগত সময়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ড, হেফাজত হত্যাকাণ্ড এবং কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গোলাগুলি জনগন কখনোই ক্ষমা করবে না। সময় লাগতে পারে, তবে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। ঘটনাগুলোকে যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় নতুন নতুন নাটক করা হোক, এতে কিছু আসে যায় না। প্রকৃত ঘটনা দেশের জনগণ দেখেছে এবং সমগ্র পৃথিবীর মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সুতরাং বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই।

সরকারের উদ্দেশে অলি আহমেদ বলেন, মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যুক্তিসঙ্গত, তাদেরকে হয়রানি বন্ধ করুন। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুন, ইন্টারনেট চালু করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের বা দেশের মানুষদের সমস্যার সমাধান আপনারা দিতে পারবেন না। জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় দ্রুত পদত্যাগ করে জনগণকে মুক্তি দিন।

শফিক/এমএ/

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেক না কেটে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
কেক না কেটে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের জাঁকজমক অনুষ্ঠান করেনি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেক না কেটে সারা দেশে মিলাদ-দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (২৭ জুলাই) গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ৩১ বছরে পদার্পণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু খবরের কাগজকে বলেন, সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার কারনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের কেক কাটা হয়নি। বরং দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় সারা দেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১/১১-এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কতৃর্ক শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর সংগঠনের নেতাকর্মীরা নেত্রীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন। ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জীবন দেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা। আহত হন অনেক নেতাকর্মী। করোনার সময়ে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, লাশ সৎকার, অসহায় কৃষকের ধান কেটে গোলায় তুলে দেওয়াসহ গত ৩০ বছরে সবধরনের দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মানুষের পাশে ছিল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ১১টায় কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দোয়া মাহফিলের ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ছাড়াও সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়নে এবং সংগঠনের বৈদেশিক শাখাগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিপুলসংখ্যক আহত নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

জিয়াউদ্দিন রাজু/অমিয়/

দেশবিরোধীদের রুখে দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
দেশবিরোধীদের রুখে দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৮, ২০২৩ সালে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সব উন্নয়নকে টেনে ধরার জন্য একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে। তারা আমাদের চেতনা, অস্তিত্ব, রাষ্ট্রযন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্সকৃতির ওপর আঘাত হেনেছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দিনাজপুরে সম্প্রতি দুষ্কৃতকারীদের ভাঙচুর করা জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করব। সাধারণ মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। দুষ্কৃতিকারীরা শুধু দিনাজপুরে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে আঘাত করেছে। এ আঘাত বাংলাদেশের ওপর আঘাত। ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ক্ষতবিক্ষত করেছে। দল ভাঙার জন্য বিভেদ সৃষ্টি, দলকে দুর্বল করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর পরও ইস্পাতকঠিন ঐক্য নিয়ে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে আছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তারা হামলা করেছে। একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে - এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

পরে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ সভায় উপস্থিত হন।

অমিয়/