মামলা দায়ের করাই এখন দখলদার আওয়ামী সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি মামলা দায়ের করছে সরকার। ৭ জানুয়ারির ডামি ও একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট এবং ক্ষমতালোভ আওয়ামী লীগকে আরও বেশি মাত্রায় হিংস্র করে তুলেছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের কারাগারে প্রেরণ ও নতুন করে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা চিরকাল ভোগ করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে একদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে, অন্যদিকে দেশের মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত রাখতে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নানাবিধ জুলুম-নির্যাতন ও দমন-পীড়ণ চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ সরকার।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকজন নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলাল সহ ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই আওয়ামী গণবিচ্ছিন্ন সরকার বিরোধী দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনে সমগ্র দেশটাই এখন জুলুমের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তবে দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠেছে জনগণ, শাসকগোষ্ঠীর পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন থামবে না।
পৃথক বিবৃতিতে সম্প্রতি রাজধানীর জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়ীচালককে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কতৃর্ক আটক করার পরও বিষয়টি অস্বীকার এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় কোন নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরণের মনুষ্যত্বহীন কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে আটকৃকত নেতাদের জনসম্মুখে হাজির ও নিঃশর্ত মুক্তির আহবান জানাচ্ছি।
নির্বাচন থেকে সরে আসায় একজনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন থেকে ভুল স্বীকার করে সরে আসায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য রোমানা আহমেদ এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ভুল বুঝতে পেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শফিক/এমএ/