অগোছালো ফরিদপুর বিএনপি । খবরের কাগজ
ঢাকা ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

অগোছালো ফরিদপুর বিএনপি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫২ এএম
অগোছালো ফরিদপুর বিএনপি
বিএনপি

পদ্মার ওপারের পাঁচ জেলা নিয়ে গঠিত বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ ফরিদপুর। বছরের পর বছর এসব জেলা চলছে আহ্বায়ক কমিটিতে। উপজেলা, পৌর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোর অবস্থাও নাজুক। এর মধ্যে নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিভক্তিও প্রকাশ্য। আন্দোলনের সময় গা বাঁচাতে কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশেও। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় নানা সংকট যেন পিছু ছাড়ছে না। সব মিলিয়ে অগোছালোভাবেই চলছে ফরিদপুর বিএনপি।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বিগত আন্দোলনের সময় বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সরকার ও প্রশাসনের প্রচণ্ড চাপে পড়েছিল। এখানে দল বেশি শক্তিশালী বলেই নির্যাতন-নিপীড়নও হয়েছে বেশি। আন্দোলন চলাকালে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও রাজপথে সক্রিয় হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘টানা এক-দেড় বছর আমাদের আন্দোলন ও কর্মসূচিতে মনোযোগ ছিল বেশি। সরকার ও প্রশাসন তাদের সম্মেলন করার মতো জায়গা দেয়নি। তার পরও উপজেলা-পৌর কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে হয়েছে। হাইকমান্ডের নির্দেশ রয়েছে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। ঘরোয়া কমিটি দিতে চাইলে আরও আগেই দিতে পারতাম।’

গ্রুপিংয়ের বিষয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, জেলা বিএনপিতে গ্রুপিং নেই। একটি বড় দলের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকে, এটাকে গ্রুপিং বলা যাবে না। দল ও দেশের জন্য কাজ করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। শামা ওবায়েদের পাশাপাশি ফরিদপুর বিভাগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও খন্দকার মাশুকুর রহমান।

ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি

বিএনপির জন্মলগ্ন ১৯৭৮ সাল থেকেই দুই ভাগে বিভক্ত ফরিদপুর বিএনপি। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে বর্তমান প্রজন্মও। সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন তার মেয়ে ফরিদুপর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি মাহমুদুল ইসলাম পিংকু। আর প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের গ্রুপে রয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাদা মিয়া, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে ও মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর দুই গ্রুপই কর্মসূচি পালন করেছে একত্রে।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে। ১০ বছর পর ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল জেলা ও মহানগরের আংশিক কমিটি গঠিত হয়। এরপর দুই ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ও সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন। তারা কামাল ইবনে ইউসুফের অনুসারী। আরেকটি অংশের নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন খান পলাশ ও সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। তারা শ্যামা ওবায়েদের অনুসারী।

স্থানীয় সূত্রমতে, এক দফার আন্দোলনে নগরকান্দা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা বিএনপির পারফরম্যান্স ছিল ভালো। আর ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি তুলনামূলক দুর্বল। নগরকান্দা ও সালথা বিএনপি শামা ওবায়েদ এবং শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভক্ত। ভাঙ্গায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন ও জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা শাহরিয়ার ইসলাম শায়লার মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট। বর্তমানে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক। কোতোয়ালি থানা বিএনপিও ভাঙনের মুখে। শহরের কাঠপট্টি এলাকার কার্যালয় থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয় রাজনীতি। আট উপজেলার বেশির ভাগই চলছে আহ্বায়ক কমিটিতে। অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। তাই নতুন নেতৃত্ব গঠনের দাবি নেতা-কর্মীদের।

সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, বৃহত্তর আন্দোলনের জন্যই উপজেলা-অঙ্গসংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন হয়নি। তবে সাংগঠনিক কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। শত শত নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ফেরারি জীবনযাপন করছেন।’

শরীয়তপুর: জেলায় এক দফার আন্দোলন ছিল ‘সুপার ফ্লপ’। শীর্ষ নেতারা ছিলেন আড়ালে। তবে নড়িয়া উপজেলা যুবদলের শীর্ষ দু-একজন নেতা সক্রিয় ছিলেন। বর্তমান সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালুর নেতৃত্বে এক গ্রুপ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব তালুকদারের আলাদা বলয় এবং তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নুরুদ্দীন অপু ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কর্নেল ফয়সালের আরেক গ্রুপ। এই তিন বলয়ে চলছে জেলাটির রাজনীতি। পৃথকভাবে পালিত হয় কর্মসূচি।

সভাপতি কিরণ দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তিনি ২৮ অক্টোবরের আগেই দেশ ছেড়েছেন এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে শফিকুর রহমান কিরণ দাবি করেন, বিদেশে থেকেও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

কিরণ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হলে নির্দেশনা দিতাম কীভাবে?’ তিনি বলেন, সবাই জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক। গ্রুপিং নয়, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে।

২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর গঠিত ১৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে শরীয়তপুর জেলা বিএনপি। উপজেলা, থানা ও অঙ্গসংগঠনের অবস্থা নড়বড়ে। ২০১৭ সালের সুপার ফাইভ কমিটি দিয়ে চলছে জেলা যুবদল এবং তিন গ্রুপে বিভক্ত। কমিটি ছাড়াই চলছে ছাত্রদল এবং ভুগছে নেতৃত্বের খরায়। অন্য সংগঠনগুলোর একই অবস্থা। উপজেলা-পৌর কমিটির মেয়াদ নেই। বিএনপির কার্যালয়ও নেই।

সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কালু বলেন, শরীয়তপুরে প্রকৃত অবস্থা খারাপ। একদিকে সরকারদলীয় ক্যাডার, অন্যদিকে প্রশাসন। কর্মসূচি পালন করা ছিল বেশ কঠিন। এখনো নেতা-কর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন।

রাজবাড়ী: দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপিতে মতবিরোধ-দ্বন্দ্ব চলছে। এতে দুই ধারায় বিভক্ত নেতা-কর্মীরা। পৃথকভাবে পালিত হয় কর্মসূচি। গ্রুপিং-হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে ক্রমেই শক্তি কমছে। শীর্ষ নেতাদের গ্রুপিংয়ে বিরক্ত তৃণমূল। নেতা-কর্মীদের দাবি, দ্বন্দ্ব-বিভক্তি যেকোনো মূল্যে দূর করতে হবে। এতে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে।

জানা গেছে, এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বতর্মান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। তারা তাদের অনুসারীদের নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে কর্মসূচি পালন করেন। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। তার অনুসারীরা পার্টি অফিসে আসেন না, খৈয়মের বাসভবনে পালিত হয় কর্মসূচি। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দুই ধারায় বিভক্ত। খৈয়ম গ্রুপে রয়েছেন যুবদলের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কৃষক দলের আহ্বায়ক আইয়ুব আলী। আর লিয়াকত গ্রুপে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, যুবদলের সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, কৃষক দলের সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম।

২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলীকে আহ্বায়ক এবং অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৪৭ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। দুই বছর পর মঞ্জুরুল ইসলামকে সরিয়ে কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর পরও জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। কালুখালী, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী উপজেলা ও পৌর বিএনপি চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। ছাত্রদল চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিও কয়েক বছর আগের। বাকি সংগঠনগুলোর বেশির ভাগের নেই মেয়াদ। সদরের বাইরে কর্মসূচি পালিত হয় না।

অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, ‘আন্দোলন বেগবান করতে যা যা করার প্রয়োজন ছিল সবই করেছি। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করেছি।’

মাদারীপুর: ১৯৭৯ সালের পর মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে এখনো জয়ী হতে পারেনি বিএনপি। ২০০৬ সালের পর থেকেই কার্যালয়বিহীন চলছে দলীয় কার্যক্রম। মাঝে সাড়ে তিন বছর আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। নেতাদের মধ্যেও আছে দ্বন্দ্ব-বিভক্তি। কেউ কেউ ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। নেতা-কর্মীরা বলছেন, এতে বিএনপি আরও দুর্বল হচ্ছে। গত আন্দোলনে মাদারীপুর সদর, কালকিনি ও শিবচর উপজেলার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য হাইকমান্ডকে দায়ী করছেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৯ জুন অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া আহ্বায়ক ও জাহান্দার আলী জাহানকে সদস্যসচিব করে ৪৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। ইতোমধ্যে কমিটির তিনজন মারা গেছেন। ২০২০ সালের ২৯ মার্চ এই কমিটি স্থগিত করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১২ সেটেম্বর সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। পৌর-উপজেলা কমিটি কেন্দ্রের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদল, যুবদল চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। বর্তমানে সদস্যসচিবের বাড়িতে চলছে দলীয় কার্যক্রম।

সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‘জেলার সম্মেলন ও কর্মসূচি পালনের মতো জায়গা সরকার ও প্রশাসন দেয়নি। তার পরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেছি।’

গোপালগঞ্জ:দেশের রাজনীতিতে আলোচিত নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। এই কারণে এখানে বিএনপির কর্মসূচি পালন করা অনেক কঠিন। কোনো রাজনৈতিক কার্যালয়ও নেই। নেতা-কর্মীরাও শহরে আসতে পারেন না। জাতীয় দিবস বা মিলাদ মাহফিলের মতো কর্মসূচিও পালন করতে পারেন না বলে জানান নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবি, ঘরোয়াভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করলেও রাজপথে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের বাধা বেশি।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে জেলা বিএনপি। কমিটির সদস্যসচিব এম মনসুর আলীসহ পাঁচজন মারা গেছেন। গোপালগঞ্জ সদর পৌর ও উপজেলা কমিটি রয়েছে। বাকি উপজেলা চলছে ২০১৯ সালের কমিটি দিয়ে। অঙ্গসংগঠনের মেয়াদ নেই। জেলাজুড়ে প্রভাব বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের।

আহ্বায়ক শরীফ রফিকউজ্জামান বলেন, ‘কালো পতাকা বা মিলাদ মাহফিলের মতো কর্মসূচি পালনেও প্রশাসন বাধা দেয়। তার পরও শহরের বাইরে ঝটিকা আকারে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেছি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এতদিন কমিটি দেওয়া যায়নি।’

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জনগণ কারো ওপর নির্ভর করে না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জনগণ কারো ওপর নির্ভর করে না: মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের জনগণ কারো ওপর নির্ভর করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের জনগণ কারো ওপর নির্ভর করে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবে বলে আমরা মনে করি না। বাংলাদেশের জনগণ সবসময় নিজের শক্তি, নিজের পায়ের ওপর ভর করে ৭০ সালের আগে ও পরে আন্দোলন করেছে, ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এবং পরবর্তী সময়েও জনগণের শক্তিতেই ভর করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও অংশ নেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্ব অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান খান, মো. রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান প্রমুখ। 

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক একটা সংকট সৃষ্টি করেছে বর্তমান অবৈধ সরকার। তারা বিনা মান্ডেটে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের ৬৩ রাজনৈতিক দল যুগপৎভাবে লড়াই-সংগ্রাম করে আসছে। এরমধ্যে দমন-নিপীড়ন করে একটা ডামি নির্বাচন করে আবারও জবরদখল করে ক্ষমতায় এসেছে।

বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার বিশ্লেষণ- সেই সঙ্গে কর্মসূচি নির্ধারণে আমরা প্রাথমিক কিছু আলোচনা করেছি। সবাই একমত হয়েছি- যেকোন পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তরুণ, যুবক এবং ছাত্র সমাজ। সেক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী, গণঅধিকার পরিষদে সবাই তরুণ এবং ছাত্র সমাজ থেকে উঠে এসেছেন। এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত জোরালো ছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী দিনে একই ধারা অব্যাহত রাখবে, একই সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে তারা তাদের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন বলেও আশাবাদী।   

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনের আন্দোলনে সফল হওয়ার জন্য যুগপৎ ধারার বাইরে থাকা ডান-বাম ভোটবর্জনকারী সব দলকে এক ব্যনারে আনার পরামর্শ দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। পাশাপাশি ছাত্র ও তরুণ সমাজকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত বলেছে কেউ কেউ। আবার জামায়াতকেও  যুগপৎ আন্দোলন ধারায় সংযুক্ত করার কথা বলেছেন। নেতারা বলেন, জামায়াত থাকলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যেকোন মানুষ ও দল যোগ দিতে পারে। ভারত-চীন ও রাশিয়ার আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে হবে। জনবান্ধব কর্মসূচি মাধ্যমে আন্দোলনের কৌশল নিধারণ করতে হবে। 

নুরুল হক নুরু বলেন, আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত থাকলেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সরকার দমন-পীড়ন চালিয়েছে। আইন-আদালত ব্যবহার করে বিরোধী দল নির্মূলের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েমের সরকারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা সর্তক আছি। এই স্বৈরাচার শাসন পতন না হওয়া পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলন চলবে। সরকারের ষড়যন্ত্র ও শয়তানি মোকাবেলা করে সব দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে নিয়ে আবারও আন্দোলনে প্রস্তুতি নিতে হবে। অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও ছাত্র-যুব সমাজ এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেব। 

পরে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে অংশ নেন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পিডিপি মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী। 

শফিক/এমএ/

আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বহিষ্কৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা মল্লিক; সাটুরিয়া উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলার সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুন্নি আক্তার; খুলনার খানজাহান আলী থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন; নওগাঁর সাপাহার থানা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক সুমি আক্তার; বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা এবং জেলা মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সখিনা বেগম। সবাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

নির্বাচনি ব্যবস্থার ফাঁকফোঁকর গলে ক্ষমতায় থাকছে আ.লীগ : চুন্নু

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
নির্বাচনি ব্যবস্থার ফাঁকফোঁকর গলে ক্ষমতায় থাকছে আ.লীগ : চুন্নু
মুজিবুল হক চুন্নুর হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোদ দেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। ছবি : খবরের কাগজ

দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনি ব্যবস্থার ফাঁকফোঁকর কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকছে আওয়ামী লীগ। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় এসে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে চায় না। বিএনপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থার ফাঁকফোঁকর কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকছে।’

স্বাধীনতার পর ১২টি জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে দাবি করে চুন্নু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দাবি করে তারা স্বাধীন। আসলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা নেই। আইনে লেখা আছে নির্বাচনকালীন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচন কমিশনের কথা মানতে বাধ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কথা না শুনলে কী হবে তা লেখা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে হবে।’

আনুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন,  ‘বর্তমান ব্যবস্থায় শতভাগ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেওয়া ফর্মুলা অনুযায়ী, আনুপাতিক হারে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। যে দল যত ভাগ ভোট পাবে তারা শতকরা তত ভাগ এমপি পাবে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচন চায় না। কারণ নির্বাচনি ব্যবস্থায় জালভোট দেওয়া যায়, কারচুপি করা যায়।’ 

মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে চুন্নু বলেন, ‘দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সম্পদ করছে একটি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন চালকরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে, তাই সড়কে দুর্ঘটনা কমছে না।’

শেখ রুনার নেতৃত্বে মুজিবুল হক চুন্নুর হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। এ সময় জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে আ.লীগ অস্থিরতায় ভুগছে : রিজভী

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে আ.লীগ অস্থিরতায় ভুগছে : রিজভী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণের সময় কথা বলছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার অস্থিরতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘তার (ডোনাল্ড লু) সফর ঘিরে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা খুব উত্তেজনার ভেতরে আছেন। তাদের উত্তেজনা কোনোভাবেই প্রশমিত হচ্ছে না। ভয়ে তারা প্রলাপ বকছেন, মনে হয় বড় ধরনের মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন।’ 

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে সাধারণ জনগণ ও দোকানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণের সময় এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। সুষ্ঠু ভোটে তারা বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা। তাদের প্রতিটি কাজ অবৈধ।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার অংশগ্রহণ নির্বাচনের কথা বলে, অথচ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিবসহ ২৫-২৬ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিরোধী কোনো দল অংশ নেয়নি। জনগণও তাদের ভোট দিতে যায়নি। গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করে এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নানা কথা বলছেন।’

লিফলেট বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কাজী রফিক, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি ইমতিয়াজ বকুল, সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা করবে শ্রমিকদল

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা করবে শ্রমিকদল
মূল্যায়ন সভায় বিএনপি ও শ্রমিকদলের নেতারা। ছবি : খবরের কাগজ

কেন্দ্রীয়সহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দেশব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মূল্যায়ন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতি ও টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নের ফলে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি হ্রাস পাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের ওপর অবিলম্বে সরকারের দমন-নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

এ ছাড়া প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ সফল করায় নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান শীর্ষ নেতারা।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/