বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তারলাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃবিতে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বেশ কয়েকজনকে নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কতৃর্ত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্নমত ও পথের মানুষদের ওপর দমন-পীড়ণের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার।
তিনি বলন, এরই ধারাবাহিকতায় গত বরিবার ও সোমবার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত সভাপতি যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রাজনৈতিক বানোয়াট মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির, গত রবিবার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল আহমেদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন বুলেট এবং রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় চলমান আওয়ামী দমন-পীড়নেরই ধারাবাহিকতা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবিলম্বে যুবদল সভাপতি টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল নাসিরসহ উল্লেখিত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।
শফিক/এমএ/