ছবি : সংগৃহীত
আইপিএলে দল পাওয়ার আগেই স্থানীয় ক্রিকেটে পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছিলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আইপিএলে দল পেয়েও বৈভব সূর্যবংশী দিয়েছিলেন আলোচনার জন্ম। দল পেলেও অভিষেক হবে না, এমনটাই ধারণা ছিল সবার। ঠিকই সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে হয়ে গিয়েছিল অভিষেক।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে হাঁকান ছয়। একেবারে রাজকীয় অভিষেক যাকে বলে আরকি। প্রমাণ করেন তাকে দলে নেওয়া ও অভিষেক করানো মোটেও ভুল সিদ্ধান্ত নয়। ২ চার ও ৩ ছয়ে খেলেন ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।
তবে সেই ইনিংসকে ছাপিয়ে গেছেন গতরাতে (২৮ এপ্রিল) গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে খেলা বিধ্বংসী ৩৮ বলে ১০১ রানের শতকে। জয়পুরে যা করেছেন তিনি তাতে অভিজ্ঞ সকল ব্যাটারদেরও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য ছিল। অভিজ্ঞ বোলারদের তো তুলোধুনো করে সীমানা ছাড়া করেছেনই।
অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মাকে এক ওভারে ৩ ছয় ও ২ চারে আদায় করেছেন ২৮ রান। অভিজ্ঞ বোলার নিজের বলে একের পর এক ছয় দেখে হতাশ হওয়ার চেয়ে বরঞ্চ ভারতের ক্রিকেটে পাইপলাইন দেখে খুশি হয়েছেন।
গুজরাটের ২১০ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৫ বলে ঝোড়ো শতক আদায় করেন নেন বৈভব সূর্যবংশী। নিজের ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় ম্যাচেই তার করা শতকটি আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম।
আইপিএলের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ৩০ বলে ক্রিস গেইলের। দ্বিতীয়টি ছিল ৩৭ বলে ইউসুফ পাঠানের। ২ বল কম খেলে তার হাঁকানো শতকটি এখন আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম। শতরানের ইনিংস খেলার পথে ১১টি ছক্কা তোলেন এই তরুণ। চার মারেন সাতটি। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৩৮ বলে ১০১ রান করেই।
দাপুটে এই শতকে কেবল যে ইশান্ত শর্মাকেই মেরেছেন বেধড়ক তা নয়। ইশান্তকে মারার পরের ওভারেই ওয়াশিংটন সুন্দরের তিন বল খেলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি।
ম্যাচের দশম ওভারে করিম জানাতের বলে ৬ বলেই বাউন্ডারি আদায় করেন এই কিশোর। তিন ছক্কা ও তিন চার মারেন সেই ওভারে। সেই ওভারে আসে ৩০ রান। শতকপূর্ণ করেন ১১তম ওভারে রশিদ খানকে মিড উইকেটে ছক্কা মেরে।
দ্বিতীয় দ্রুততম শতকের পাশাপাশি সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএল খেলে রেকর্ড দখলে নিয়েছেন। এবার সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডও করে ফেলেছেন বৈভব।