অলিম্পিকে আর্জেটিনা ও মরক্কোর ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ। দর্শকদের অনুপ্রবেশের কারণে ঘন্টাদুয়েক বন্ধ থাকার পর মাঠে খেলা ফিরলেও বাতিল হয়ে যায় আর্জেন্টিনার গোল। বাকি ৩ মিনিটের খেলায় গোল করতে না পারায় ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ নিয়ে পর ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৫ জুলাই) সেঁত এতিয়েনে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল মরক্কো। সেই অবস্থা থেকে যোগ করা সময়ের ১৬তম মিনিটে ক্রিস্তিয়ান মেসিনা গোল করে সমতায় ফেরান আর্জেন্টিনাকে।
সেই গোলের পরই মরক্কোর দর্শকরা মাঠে বোতল, প্লাস্টিকের কাপ ও অগ্নিশিখা ছুড়ে মারতে শুরু করেন। কিছু উচ্ছৃখল দর্শক ঢুকে পড়েন মাঠেও। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ স্থগিত করেন সুইডিশ রেফারি গ্লেন নাইবার্গ। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে প্রায় দুইঘন্টা। এরপর রেফারি নাইবার্গ খেলোয়াড়দের আবারও মাঠে ডেকে পাঠান।
খেলোয়াড়েরা মাঠে নামতেই আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি ভিএআর যাচাইয়ের পর অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়। সেখানেই জন্ম নেয় বিতর্কের। ম্যাচের বাকি ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড খেলা চললেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাপিয়া এক্সে লিখেছেন, ‘সেঁত এতিয়েনে আর্জেন্টাইনরা যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেল, সেটা আক্ষেপের বিষয়। দুই ঘণ্টা লকার রুমে অপেক্ষা করে ফুটবলারদের মাঠে যাওয়া, অনুশীলন করে আবার এমন একটা ম্যাচ শুরু করা, যেটি মরক্কো–সমর্থকদের মাঠে ঢোকার কারণে রেফারির খেলা স্থগিত করা উচিত ছিল। সহিংসতার কারণে আর্জেন্টাইন প্রতিনিধিরা ভুগেছে, এর কোনো মানেই হয় না। এটা টুর্নামেন্টের নিয়মের বরখেলাপ।’
তাপিয়া আরও লেখেন, ‘দুই দলের অধিনায়ক চেয়েছিল ম্যাচটা যাতে আর মাঠে না গড়ায়। কিন্তু তাদের মতামত শোনা হয়নি। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা এরই মধ্যে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছি, যেন যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়, যারা দায়ী তাদের যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।’