আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ষড়যন্ত্র করছে না, বরং আন্দোলনে একাত্ম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘ডান-বাম সবাই তারা প্রকাশ্যে বলছে এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয়েছে। সে জন্যই সরকার জনগণকে ভয় পায়। কারণ জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য শত শত বছর ধরে আন্দোলন করেছে। আবারও তারা যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে।’
শনিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত করেন বিএনপির নেতারা।
মঈন খান বলেন, ‘বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যেতে নয়, ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য। তাই বিএনপি সেই লক্ষ্যে রাজপথে আছে এবং রাজপথে থাকবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা দেশে গণতন্ত্র চায়। তারা কখনো একদলীয় বাকশাল শাসন মেনে নেবে না। একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নতুন প্রজন্মের মন থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের সেই অপচেষ্টা সফল হবে না। কারণ জিয়াউর রহমান এ দেশের সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার একটি পরিচিত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা-উত্তর তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হওয়া বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আবারও ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতার বিপ্লবে দেশের জনগণ দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কখনো ক্ষমতার জন্য লড়াই করেননি। শুধু আমরা নই, গোটা দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন।’
মঈন খান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশে ফের নতুন বাকশাল কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখানে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও নারীর স্বাধীনতা, নিরাপত্তা নেই। আমরা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ সামনে রেখে এগিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের প্রত্যয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।
গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/