ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০
ছবি : খবরের কাগজ

নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, পাঙ্গা বাজারে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেকের নির্বাচনি পথসভা চলছিল। এ সময় ওই বাজারে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনি মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা টেলিফোন মার্কার প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন।

এ ঘটনায় প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।

পরে স্থানীয়রা আহতদের ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ডোমার থানা-পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি।

লাইভে তিনি বলেন, ‘আমরা পাঙ্গায় এসেছিলাম। এখানকার প্রার্থী আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা আমাদের ওপর হামলা করবে। আমাদের দুইটা ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার ওপরেও হামলা করার চেষ্টা করেছেন। গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার। আমি শুনেছি কারও না কারও ইন্ধনে তারা এটা করেছে। অনেকে বলছে, এমপি সাহেবের ইন্ধনে তারা এটা করেছে।’

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক খবরের কাগজকে বলেন, ‘পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্বনিধারিত নির্বাচনি পথসভায় আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। এ সময় খবর আসে আমার নির্বাচনি অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমরা আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ চেক করলে সবকিছু পরিষ্কার হবে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী খবরের কাগজকে বলেন, এ বিষয়ে দুপক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওয়ালি সুমন/জোবাইদা/অমিয়/

এবি পার্টির গণপ্রতিবাদ-মিছিল আগ্রাসী ইসরায়েলকে রুখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধের আহ্বান

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
আগ্রাসী ইসরায়েলকে রুখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধের আহ্বান
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সংহতি ও আগ্রাসী ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে গণপ্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। গণপ্রতিবাদ সমাবেশ থেকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও আগ্রাসী ইসরায়েলকে রুখে দিতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। 

এবি পার্টি ঢাকা মাহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইনের সঞ্চালনায় শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় বিজয় নগরের বিজয়-৭১ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। 

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, বিএলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও কলামিস্ট রুবী আমাতুল্লাহ, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি।

বক্তাগণ বলেন, দীর্ঘ সাতমাস ধরে ইসরায়েল সরকার গাজায় সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের উপর বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, যার অধিকাংশ নারী ও শিশু। এই নির্বচার গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আজ পৃথিবীজুড়ে মানবাতাবাদী মানুষ ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে, দেশে দেশে ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে। পৃথিবী এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, একভাগে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের মানুষ আর অন্য পক্ষে অন্যায় আর জুলুমবাজ মানুষ। সমাবেশ থেকে গাজায় আগ্রাসী ইসরায়েলকে রুখে দিতে বিশ্ববাসীকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। 

বক্তব্যে ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেন, আমি ফিলিস্তিনি নই কিন্তু তার প্রতি প্রতিটি আঘাত আমার প্রতিই আঘাত বলে মনে করি। আমি গাজায় নিহত-আহত প্রতিটা শিশুর মুখে বাংলাদেশের শিশুদের মুখ দেখতে পাই। গাজার  ভূমি দখল করা হচ্ছে কারণ এই ভূমিতে প্রাচুর্য আছে। যে ভূমিতে প্রাচুর্য থাকে সেখানেই হিংস্রদের হাত পড়ে। বাংলাদেশের সাগরেও তেল গ্যাস দেখা দিচ্ছে, সামনে ক্ষমতাসীন বিশ্ব এখানে কী করবে সেটাও আমাদের দেখতে হবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন অবশ্যই একদিন মুক্ত হবে সেই সঙ্গে আমরাও মুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ। 

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, প্রতিনিয়ত ইসরায়েল গাজায় বোমা বর্ষণ করে হাজার হাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করছে। অতীতে ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের যুবকদের অংশ নেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। আমরা আবার সেই সুযোগ নিতে চাই।

মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনের মাটিতে হাজার বছর ধরে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের একসাথে বসবাসের ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু ইহুদীবাদ যখন থেকে মাথাচাড়া দিয়েছে তখন থেকেই এই বিদ্বেষ জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সকল অন্যায় যা মানুষের বিরুদ্ধে ঘটছে সবকিছুরই প্রতিবাদ করতে হবে। 

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ফিলিস্তিনের গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে বলেন, অন্যায়কে সমর্থন করে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। মানবতার কথা বলে গণহত্যার পক্ষ নিলে নেতৃত্বের আসনে থাকতে পারবেন না। 

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ইসরায়েল আজ অন্যায়ভাবে গণহত্যা চালিয়ে হাজার বছর ধরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের নিজভূমি থেকে বিতাড়িত করছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। 

মেজর (অব.) মিনার বলেন, এই সরকার মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বললেও বাস্তবে তারা ইসরায়েল দোসর। এরা পাঠ্যপুস্তকে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব বাদ দিয়ে জেরুজালেম ঢুকিয়ে দিয়েছে অথচ জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এই ইহুদিবাদী রাষ্ট্র পুরো ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে অভিযোগ করে বলেন; তারা নারী ও শিশুদের হত্যাকরে উল্লাসে মেতে উঠছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্বর প্রধানমন্ত্রী গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে আর পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অনবরত অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মানবতার কথা বলে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডে সহায়তা চলতে পারে না। 

ববি হাজ্জাজ বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি আমরা সংহতি জানাচ্ছি। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধেই আমরা সরব থাকবো। সকল অবিচার বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে লড়তে হবে। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ইসরায়েল যেভাবে ইহুদিবাদের নামে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রে এখন হিন্দু ধর্মকে কলঙ্কিত করে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাজেই ধর্মে ধর্মে বিভেদ হঠিয়ে আমাদের সাধারণ মানুষকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। মানবতার উপর যে নির্মমতা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবী এখন স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত একটি হচ্ছে শোষক, দখলদার আর জালিমের পক্ষ অন্যটি শোষিত, নিপীড়িত, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ। 

গণপ্রতিবাদে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুলতানা রাজিয়া, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মশিউর রহমান মিলু, আব্দুল হালিম নান্নু, শাহীনুর আক্তার শীলা, সিএমএইচ আরিফ, রনি মোল্লা, ছাত্রনেতা সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, সাইফুদ্দিন খালিদ, তানজিনা জুই সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 

বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে : দুদু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে : দুদু
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তকে দেশবাসী অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।  

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার পাওয়া যায় না। আর এজন্যই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এক শতাংশ ভোট গ্রহণযোগ্য। ভোট বর্জনের মাধ্যমে  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে বিএনপি অবস্থান নিয়েছে।  

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে যশোর শহরের বড়বাজারে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বর্তমান সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন‌ এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, রাজনীতি, মানুষের দাবি একেবারে পদানত, ধ্বংস করে দিয়েছে। এদের মধ্যে ন্যূনতম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধ, শহিদদের প্রতি সম্মান থাকলে সব দলকে ডেকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিত।’  

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় তাহলেই স্বাধীনতার যে লক্ষ্য তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তবে কেউ নির্বাচনি কাজে অংশ নিলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থাকবে না।’ 

এ সময় বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবুসহ  জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করে। এ সময় সবাইকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রত্যাখানের আহ্বান জানান তারা।  

এইচআর তুহিন/ইসরাত চৈতী/  

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবেন কেন,  প্রশ্ন কাদেরের

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবেন কেন,  প্রশ্ন কাদেরের
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি : খবরের কাগজ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে ঢুকতে পারে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে পারে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বলেন বাকশালি শাসন। আমি ফখরুল সাহেবকে বলব, বাকশাল কোনো এক দল নয়, ছিল জাতীয় দল। এখন সেই বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি নেতারা। ফখরুল সাহেবকে বলব, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিশিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেটার কি জবাব দেবেন? এটা আরও দু’একবার বলেছিলাম, জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাটাঘাটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।’

বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম, বিএনপির ভারত বিরোধিতার বিষয় পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিরোধিতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কি না। তাদের সামনে কোনো ইস্যু নেই। তারা আছে এটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আনে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে তাদের আসতে হলো।’ 

দেশের গণতন্ত্রের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কি কি কারণে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সেই নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন। নির্বাচনের যে বাস্তবতা, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্নআউট ৪২ শতাংশের বেশি। সংসদে বিরোধী দল সমালোচনা করছে, তাদের মুখতো আমরা বন্ধ করিনি। সংসদের বাইরে যারা বিরোধী আছে- বিএনপি যখন যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বক্তব্য দিচ্ছে, সভা-সমাবেশ করছে। ২৮ অক্টোবর তারা যা করে গেছে। নির্বাচন বয়কটের পর তাদের ওপর দমন-পীড়ন তো হয়নি।’

এ সময় র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারব। তিনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।’ 

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৭ মে সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ও স্থায়ীত্বের কারণে। এই দুই কারণে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তর হয়েছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

রাজু/সালমান/

গৌরনদীতে আ.লীগ নেতার আয় বেড়ে ৮ গুণ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:০৭ এএম
গৌরনদীতে আ.লীগ নেতার আয় বেড়ে ৮ গুণ
হারিচুর রহমান

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমানের আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় আট গুণ। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তিনি বছরে আয় করেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা। ২০১৫ সালে দাখিল করা আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী হারিচুরের বছরে আয় ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা। এ হিসাবে ১৩ বছরের ব্যবধানে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮ গুণ।

এমনকি ওই সময়ে মধ্যে নগদ অর্থও বেড়েছে আট গুণ। ২০১৫ সালে হাতে নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল ১৮ লাখ ৮ হাজার ৪৪৭ টাকা। এ বছরে তার নগদ টাকার পরিমাণ ২ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ টাকা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্প্রতি জমা দেওয়া হলফনামা এবং ২০১৫ ও ২০২১ সালে গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা ও দুই আয়কর রিটার্নের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা গেছে। 

হারিচুর রহমান গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী হারিচুর রহমানের বিরুদ্ধে আগে দুটি মামলা ছিল। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি হলফনামায় মেয়র থাকাকালীন সম্মানী ভাতা, গৃহসম্পদ ও ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। ওই সব খাত থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা।

এ ছাড়া চাকরিজীবী স্ত্রীর বছরে আয় রয়েছে ৫ লাখ ৫০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হারিচের নগদ অর্থ ২ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ টাকা। ৫০ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিকসসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। স্ত্রীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিকসসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। 

স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নামে ১৪ দশমিক ১২ অযুতাংশ কৃষি এবং ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ অকৃষিজমি রয়েছে। এ ছাড়া ৮ শতাংশ জমির মালিক তার স্ত্রী। এর আগে তার ৫০ লাখ টাকা দেনা থাকলেও এ বছর কোনো দেনা নেই। 

২০২০ সালে তার আয়কর বিবরণী অনুযায়ী বছরে ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৩ টাকা আয় করতেন হারিচুর। এর মধ্যে পৌর মেয়র হিসেবে সম্মানী ভাতা বাবদ ৪ লাখ ৮০ টাকা, কৃষি থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ টাকা এবং ব্যবসার মূলধনের লভ্যাংশ থেকে ২৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আয় করতেন তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালের আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা।

রাশেদ খান মেননের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:২৬ এএম
রাশেদ খান মেননের জন্মদিন আজ
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন। ফাইল ছবি

ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন আজ ৮১তম বর্ষে পদার্পণ করলেন। তার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

রাশেদ খান মেননের জন্ম ১৯৪৩ সনের ১৮ মে। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে। তার পিতা বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান একসময় পাকিস্তানের স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন। সুপ্রসিদ্ধ পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী রাশেদ খান মেননের ভাইবোন হচ্ছেন মরহুম সাদেক খান, কিংবদন্তিতুল্য কবি মরহুম আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান, বোন সেলিমা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শহিদুল্লাহ খান বাদল। 

রাশেদ খান মেনন ১৯৬৩-৬৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসুর ভিপি ও ৬৫-৬৭ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৭-৬৯ সালে জেলে থাকাকালীন মেনন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন। সে সময়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে বন্দি হওয়ার আগে পর্যন্ত জেলের বাইরে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ঢাকার অদূরে নরসিংদী শিবপুরকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের কাজ শুরু করেন। পরে প্রবাসে মওলানা ভাসানীকে প্রধান করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন।

বর্তমানে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও গবেষণার কাজ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, কলাম লেখায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ওই কলামগুলো একত্রিত করে এ পর্যন্ত ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে আত্মজীবনী ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয় (প্রথম পর্ব)।’

জয়ন্ত/এমএ/