ওয়ান ইলেভেনে কোন পরিচয়ে জেলে ছিলেন, আব্বাসের প্রশ্ন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ওয়ান ইলেভেনে কোন পরিচয়ে জেলে ছিলেন, আব্বাসের প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
ওয়ান ইলেভেনে কোন পরিচয়ে জেলে ছিলেন, আব্বাসের প্রশ্ন
ছবি : খবরের কাগজ

‘জেলে কোনো রাজবন্দি নেই’ আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জিজ্ঞাসা, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় আপনারা কি চোর হিসেবে জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দি হিসেবে জেলে গিয়েছিলেন? প্রধানমন্ত্রীও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কী হিসেবে জেলে গিয়েছিলেন? জনগণ জানতে চায়।’

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব’-এর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ জন অভিভাবক, স্ত্রী-সন্তান তার বাসায় আসেন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে আমার স্বামী জেলে, কেউ বলে আমার ছেলে জেলে, কেউ বলে আমার ভাই জেলে। কতজনের জন্য কথা বলব, কতজনের জন্য সান্ত্বনা দেব।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কত বার বলেছি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অথবা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠান। ওনার অবস্থা বেশি ভালো নয়। কিন্তু তারা বলছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না। অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে চায়। এমনভাবেই করতে হবে, যাতে কেউ কিছু বলতে না পারে। এক সময় রাশেদ খান মেনন ও আ স ম আব্দুর রবকে কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গ্রেপ্তার করে পৃথিবীর কোনো আন্দোলন কোনো স্বৈরশাসক থামাতে পারেনি। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই।’

সরকারকে উৎখাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা তো সরকারই দেখি না। সুতরাং এ সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে, তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দেবে। তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির বাড়ি পড়তে থাকে, তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকব। প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেক হাবিবুর রশিদ হাবিবদের কারাগার যেতে হবে; প্রতিকার পাওয়া যাবে না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শহীদ তালুকদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম সান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, জয়দেব জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ বকুল, জাকির হোসেন, মো. ইব্রাহীম, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব সজীব রায়হান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ পরাণ, ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম মিশু প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/

বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে : দুদু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে : দুদু
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তকে দেশবাসী অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।  

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার পাওয়া যায় না। আর এজন্যই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এক শতাংশ ভোট গ্রহণযোগ্য। ভোট বর্জনের মাধ্যমে  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে বিএনপি অবস্থান নিয়েছে।  

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে যশোর শহরের বড়বাজারে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বর্তমান সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন‌ এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, রাজনীতি, মানুষের দাবি একেবারে পদানত, ধ্বংস করে দিয়েছে। এদের মধ্যে ন্যূনতম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধ, শহিদদের প্রতি সম্মান থাকলে সব দলকে ডেকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিত।’  

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় তাহলেই স্বাধীনতার যে লক্ষ্য তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তবে কেউ নির্বাচনি কাজে অংশ নিলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থাকবে না।’ 

এ সময় বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবুসহ  জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করে। এ সময় সবাইকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রত্যাখানের আহ্বান জানান তারা।  

এইচআর তুহিন/ইসরাত চৈতী/  

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবেন কেন,  প্রশ্ন কাদেরের

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবেন কেন,  প্রশ্ন কাদেরের
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি : খবরের কাগজ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে ঢুকতে পারে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে পারে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বলেন বাকশালি শাসন। আমি ফখরুল সাহেবকে বলব, বাকশাল কোনো এক দল নয়, ছিল জাতীয় দল। এখন সেই বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি নেতারা। ফখরুল সাহেবকে বলব, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিশিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেটার কি জবাব দেবেন? এটা আরও দু’একবার বলেছিলাম, জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাটাঘাটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।’

বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম, বিএনপির ভারত বিরোধিতার বিষয় পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিরোধিতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কি না। তাদের সামনে কোনো ইস্যু নেই। তারা আছে এটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আনে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে তাদের আসতে হলো।’ 

দেশের গণতন্ত্রের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কি কি কারণে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সেই নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন। নির্বাচনের যে বাস্তবতা, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্নআউট ৪২ শতাংশের বেশি। সংসদে বিরোধী দল সমালোচনা করছে, তাদের মুখতো আমরা বন্ধ করিনি। সংসদের বাইরে যারা বিরোধী আছে- বিএনপি যখন যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বক্তব্য দিচ্ছে, সভা-সমাবেশ করছে। ২৮ অক্টোবর তারা যা করে গেছে। নির্বাচন বয়কটের পর তাদের ওপর দমন-পীড়ন তো হয়নি।’

এ সময় র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারব। তিনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।’ 

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৭ মে সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ও স্থায়ীত্বের কারণে। এই দুই কারণে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তর হয়েছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

রাজু/সালমান/

গৌরনদীতে আ.লীগ নেতার আয় বেড়ে ৮ গুণ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:০৭ এএম
গৌরনদীতে আ.লীগ নেতার আয় বেড়ে ৮ গুণ
হারিচুর রহমান

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমানের আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় আট গুণ। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তিনি বছরে আয় করেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা। ২০১৫ সালে দাখিল করা আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী হারিচুরের বছরে আয় ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা। এ হিসাবে ১৩ বছরের ব্যবধানে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮ গুণ।

এমনকি ওই সময়ে মধ্যে নগদ অর্থও বেড়েছে আট গুণ। ২০১৫ সালে হাতে নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল ১৮ লাখ ৮ হাজার ৪৪৭ টাকা। এ বছরে তার নগদ টাকার পরিমাণ ২ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ টাকা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্প্রতি জমা দেওয়া হলফনামা এবং ২০১৫ ও ২০২১ সালে গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা ও দুই আয়কর রিটার্নের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা গেছে। 

হারিচুর রহমান গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী হারিচুর রহমানের বিরুদ্ধে আগে দুটি মামলা ছিল। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি হলফনামায় মেয়র থাকাকালীন সম্মানী ভাতা, গৃহসম্পদ ও ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। ওই সব খাত থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা।

এ ছাড়া চাকরিজীবী স্ত্রীর বছরে আয় রয়েছে ৫ লাখ ৫০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হারিচের নগদ অর্থ ২ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ টাকা। ৫০ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিকসসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। স্ত্রীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিকসসামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। 

স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নামে ১৪ দশমিক ১২ অযুতাংশ কৃষি এবং ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ অকৃষিজমি রয়েছে। এ ছাড়া ৮ শতাংশ জমির মালিক তার স্ত্রী। এর আগে তার ৫০ লাখ টাকা দেনা থাকলেও এ বছর কোনো দেনা নেই। 

২০২০ সালে তার আয়কর বিবরণী অনুযায়ী বছরে ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৩ টাকা আয় করতেন হারিচুর। এর মধ্যে পৌর মেয়র হিসেবে সম্মানী ভাতা বাবদ ৪ লাখ ৮০ টাকা, কৃষি থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ টাকা এবং ব্যবসার মূলধনের লভ্যাংশ থেকে ২৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আয় করতেন তিনি।

এর আগে ২০১৫ সালের আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা।

রাশেদ খান মেননের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:২৬ এএম
রাশেদ খান মেননের জন্মদিন আজ
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন। ফাইল ছবি

ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন আজ ৮১তম বর্ষে পদার্পণ করলেন। তার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

রাশেদ খান মেননের জন্ম ১৯৪৩ সনের ১৮ মে। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে। তার পিতা বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান একসময় পাকিস্তানের স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন। সুপ্রসিদ্ধ পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী রাশেদ খান মেননের ভাইবোন হচ্ছেন মরহুম সাদেক খান, কিংবদন্তিতুল্য কবি মরহুম আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান, বোন সেলিমা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শহিদুল্লাহ খান বাদল। 

রাশেদ খান মেনন ১৯৬৩-৬৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসুর ভিপি ও ৬৫-৬৭ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৭-৬৯ সালে জেলে থাকাকালীন মেনন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন। সে সময়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে বন্দি হওয়ার আগে পর্যন্ত জেলের বাইরে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ঢাকার অদূরে নরসিংদী শিবপুরকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের কাজ শুরু করেন। পরে প্রবাসে মওলানা ভাসানীকে প্রধান করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন।

বর্তমানে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও গবেষণার কাজ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, কলাম লেখায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ওই কলামগুলো একত্রিত করে এ পর্যন্ত ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে আত্মজীবনী ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয় (প্রথম পর্ব)।’

জয়ন্ত/এমএ/

নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির কমিটি গঠন
মো. আব্দুস সাত্তার সভাপতি (বামে) ও মো. দেলোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক। ছবি : সংগৃহীত

নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মো. আব্দুস সাত্তার সভাপতি ও মো. দেলোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে পলাশ উপজেলা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউন্সিল মাধ্যমে নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়। 

কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন ঘোড়াশাল পৌর বিএনপি।সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলম মোল্লা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। এতে বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্য আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন ও নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।

কমিটি অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি মো. আলম মোল্লা, মো. হুমায়ুন কবীর মাস্টার, আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম, ইমরান আহাম্মেদ, প্রফেসর আলতাব হোসেন, মো. শাহরিয়ারুল ইসলাম সাকু, মো.  সামসুল হক সরকার, মো. এনামুল হক এনাম, মো. বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, মো. মহিউদ্দিন চিশতিয়া, মো. সানোয়ার হোসেন মিঞা, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. ইসমাইল দেওয়ান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাছান সুজন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিউলী বেগম প্রমুখ।

শফিক/এমএ/