![ঋণখেলাপি-অর্থপাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের আলটিমেটাম গণসংহতি আন্দোলনের](uploads/2024/05/21/sakikk-1716302704.jpg)
ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের নামের তালিকা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এর মধ্যে তালিকা প্রকাশ না করলে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
মঙ্গলবার (২১ মে) ‘ব্যাংক লোপাট ও অর্থপাচার রুখে দাঁড়ান, ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারিদের তালিকা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, জবাবদিহিতা দিতে হবে’ এই দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এই হুশিয়ারি দেন জোনায়েদ সাকি।
এর আগে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করতে যায়। নটর ডেম কলেজের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলটি শাপলা চত্বর ওভারব্রিজের কাছে আসলে থামিয়ে দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। তারপর সেখানেই রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটি।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সমস্ত অর্থ পাচারকারী ও ঋণখেলাপিদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তা না করলে আমরা আবার আসব। আজকে আমরা যতজন আরও বেশি সংখ্যায় আসব। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আসবে। শুধু আমরা আসব না, আমাদের আরও গণতান্ত্রিক বন্ধুরা আসবে। এই অফিসে (বাংলাদেশ ব্যাংক) থাকতে হলে আপনাদের এই ব্যবস্থা নিতে হবে। হয় আপনারা এই অফিসে থাকবেন, ব্যাংকের কর্মকর্তা থাকবেন আর না হয় ছেড়ে চলে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় বাংলাদেশের ব্যাংক ও ব্যাংকের সম্পদ সুরক্ষিত থাকুক। কিন্তু যারা ব্যাংকগুলোকে ভেতর থেকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। যখন একটা দেশে ‘সরকার বৈধ’ হয় তখন ‘আইন’ মানার প্রশ্ন আসে কিন্তু এই ‘সরকার অবৈধ’, এই সরকারের সমস্ত নির্দেশ অবৈধ, এই সরকারের কোনো নির্দশ মানতে জনগণ বাধ্য নয়। এই সরকার যত আইনই দেখাক,মানুষের ভোটেও তো এরা নির্বাচিত নয়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, জনগণের সঞ্চিত টাকাকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে কতিপয় ‘চিহ্নিত’ লুটেরা। ব্যাংক লোপাটকারীদের নাম দেশের জনগণকে জানাতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ বাধ্য হবে। জনগণের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। জনগণের সম্মিলিত জাগরণের মুখে ফ্যাসিবাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লা ও আরিফ দেওয়ান প্রমুখ।