![শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়নের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার](uploads/2024/05/21/1709694695.CPB-1716311153.jpg)
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়নের ১৭ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। বহিষ্কার ছাত্রনেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি রাগীব-নাঈমও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) চিঠি দিয়ে তাদের প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ১৭ ছাত্রনেতার সবাই ছাত্র ইউনিয়ন (রাগীব-রাকিব) অংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন- তামজীদ হায়দার চঞ্চল, জয় রায়, শিমুল কুম্ভকার, বিল্লাল হোসেন, সাব্বির হোসেন রাজ, জাওয়াদুল ইসলাম, নাজিফা জান্নাত, লেনিক চাকমা, মাহমুদা দীপা, আসিফ জামান, রথীন্দ্রনাথ বাপ্পী, মেহেদী হাসান, মনীষা ওয়াহিদ, পার্থ প্রতীম সরকার, আবু বক্কর এবং নজির আমীন চৌধুরী জয়।
এই ছাত্রনেতাদের কাছে পাঠানো সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আপনি বারবার ছাত্র গণসংগঠন সংক্রান্ত পার্টির সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আপনাকে অবহিত করে পার্টির সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও আপনি পার্টির সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলেছেন।’
ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি রাগীব-নাঈমকে গঠনতন্ত্রের ১২.৫ এবং অন্যদের ১২.১ ধারা অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২০২১ সালে ছাত্র ইউনিয়নের ৪০তম জাতীয় সম্মেলনের পর থেকেই সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েন। পরে উভয় অংশ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করে আলাদাভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। বর্তমানে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ রাগীব-রাকিব ও অন্য অংশ দীপক-মাহিরের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। সিপিবির বর্তমান নেতৃত্ব দীপক-মাহির নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দীপক-মাহির নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাগীব-রাকিব নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের পার্টি সদস্যদের অন্য অংশে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিপিবির নেতারা। নির্দেশনা অমান্য করায় গত ৮ এপ্রিল বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় সিপিবি।