![মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জনসচেতনতা](uploads/2024/04/04/1712205568.postoffice.gif)
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে মশার দৌরাত্ম্য। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সর্বত্রই মশার উপদ্রব। সেটা চলছে দিনরাত সমানতালে। তবে রাজধানীতেই মশার উপদ্রব বেশি। দিনরাত কয়েল জ্বালিয়ে, ওষুধ ছিটিয়ে, মশারি টাঙিয়েও যেন নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে রাজধানীবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক। আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করছে। গত বছর দেশে ডেঙ্গুতে রেকর্ড আক্রান্ত ও মৃত্যু হলো। এ বছর মশার পরিমাণ আরও বেড়েছে।
আমাদের মশকনিধন পদ্ধতি খুব বেশি একটা কাজে আসছে না। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মশকনিধনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সপ্তাহে একদিন আমরা আমাদের বাড়ির ভেতর এবং বাইরে ঘুরে দেখি কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমা আছে কি না, যদি থাকে তাহলে সেটি ফেলে দিই অথবা উল্টিয়ে রাখি অথবা সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং সম্পৃক্ততা মশা নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে পরিবার ও দেশ। তাই সচেতন হন, মশার যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকুন।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
লেখক ও গবেষক
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি
[email protected]