![সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে জাদুঘরের ভূমিকা ব্যাপক](uploads/2024/05/24/postoffice-1716530331.gif)
পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত ইতিহাস জমা হচ্ছে, তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘরের ইংরেজি মিউজিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মিউজয়ন থেকে, যার অর্থ কাব্যাদির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দির। বাংলায় জাদুঘর কথাটির অর্থ হলো, যে গৃহে অদ্ভুত পদার্থসমূহ সংরক্ষিত আছে এবং যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। তাই বরাবরের মতো জাদুঘরের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়- যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং নাগরিকরা তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন। জাদুঘর এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর সংগ্রহ সংরক্ষিত থাকে। এতে বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তুগুলো সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়।
আর পৃথিবীতে একটি টেকসই, নির্মল, সবুজ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ আবাসস্থল বিনির্মাণে জাদুঘর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি জাদুঘর নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান দ্বারা দর্শকদের গ্যালারি পরিদর্শনের ব্যবস্থা করে থাকে। নিয়মিত দর্শক/বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, পথশিশু থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি ভিআইপি ইত্যাদি পর্যায়ে নিয়মিত গাইড সেবা প্রদান করে থাকে। তাই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে জাদুঘরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস, ঐতিহ্য, শুদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে জাদুঘর সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ঝুঁকি নিয়েও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে জাদুঘরের ভূমিকা রয়েছে।
ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ
[email protected]