নামাজ ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। এই নামাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে নির্ধারিত। ওয়াক্ত আসার আগে নামাজ পড়লে তা আদায় হয় না। সুতরাং প্রত্যেক নামাজ আদায়কারীর জন্য আবশ্যকীয় হলো এই সময়গুলো জেনে নেওয়া।
ফজর: ফজরের সময় সুবহে সাদিকের (রাতের শেষ দিকে পূর্ব দিগন্তের উভয় দিকে ক্ষীণ প্রশস্ত আকারে যে আলো প্রকাশ পায়, তখন থেকে সাহরির সময় শেষ হয়ে যায় এবং এরপর থেকেই ফজরের সময় শুরু হয়, ফিকহের পরিভাষায় এই সময়টির নাম সুবহে সাদিক) পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। (মুসলিম, হাদিস: ১৪৫৬; হেদায়া, ১/৮০)
জোহর: দ্বিপ্রহরে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিটি বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের সময়। ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর জোহরের সময় শেষ হয়ে যায়। (বুখারি, হাদিস: ৭১৭; মুসলিম, হাদিস: ৯৬৯; কিতাবুল ফাতাওয়া, ৩/২৩৮)
আসর: জোহরের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আসরের সময়। (বুখারি, হাদিস: ৭১৭; ফাতাওয়ায়ে শামি, ২/১৪-১৫)
মাগরিব: সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিমাকাশে শুভ্র আলো বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাগরিবের সময়। (মুসলিম, হাদিস: ৯৬৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৫১)
এশা: আকাশ থেকে শুভ্র আভা বিদায় নেওয়ার পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত এশার সময়। (বুখারি, হাদিস: ৫০৮; তিরমিজি, হাদিস: ১৫১)
এই সময়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে নামাজ আদায় করতে হবে। সময় আসার আগে নামাজ পড়লে যেমন নামাজ হবে না। আবার সময় গড়িয়ে যাওয়ার পর নামাজ পড়লেও হবে না।
লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক