![সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিব্রত, বেসিকের হতাশ](uploads/2024/04/09/1712640038.City-bank-basic-bank.jpg)
হঠাৎ আলোচনায় এসেছে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ জালিয়াতির কাণ্ডে জড়িয়ে দুর্বল ও সমস্যা-জর্জরিত সরকারি বেসিক ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রসঙ্গ। এ নিয়ে সিটি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালনা পর্ষদপ্রধান ও সদস্যরা এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিব্রত। শীর্ষ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলাতেও বিব্রতবোধ করছেন এবং বিরত থাকছেন।
অন্যদিকে হতাশ হয়ে পড়েছেন সরকারি বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একটি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে এ ধরনের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে চাকরির নিশ্চয়তা, প্রমোশন, বেতন-ভাতা নির্ধারণ, ঋণ বা অগ্রিম, পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
একাধিক অনলাইন গণমাধ্যমে গতকাল সোমবার এ বিষয়ক খবর প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ব্যাপারে জানতেন না কিছুই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী খবরের কাগজকে এমনটিই জানিয়েছেন। বর্তমানে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নেই। গত ৩১ মার্চ শেষ কর্মদিবস ছিল এমডি পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আনিসুর রহমানের। এরপর নতুন এমডি নিয়োগ হয়নি। হঠাৎ করেই গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকে সিটি ব্যাংকের পর্ষদ চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও এমডি মাশরুর আরেফীনকে ডেকে এ বিষয়টি প্রাথমিকভাবে আলোচনা করলেও ডাকা হয়নি বেসিক ব্যাংকের কাউকেই। একাধিকবার ফোনকলে চেষ্টা করেও বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেমকে পাওয়া যায়নি। এদিকে গতকাল ফোনকলে না পেয়ে মন্তব্য চেয়ে টেক্সট মেসেজ দিলেও উত্তর দেননি সিটি ব্যাংক এমডি মাশরুর আরেফীন।
বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে সিটি ব্যাংক পর্ষদ চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডাকা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আলোচনা করছে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে। একীভূতকরণের ক্ষেত্রে কোনো বিরোধ সৃষ্টি হলে সেটির সমাধানেও কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মুখপাত্র বলেন, ‘আলোচনা মানে সিদ্ধান্ত নয়। সিদ্ধান্ত পর্যায়ের কিছু হলে গণমাধ্যমকে জানাব।’
গত ১৭ মার্চ বেসরকারি এক্সিম ব্যাংক প্রথম আরেক ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ বা একীভূতকরণের ঘোষণা দেয়। এরপর ২৫ মার্চ এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি বা এমওইউ স্বাক্ষর হয় দুই ব্যাংকের মধ্যে।
একীভূত হতে যাওয়া ব্যাংকের মন্দ ঋণ কিনতে আইন হচ্ছে
নিয়ম অনুযায়ী একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ কিনে নেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। এ জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে বলে গত মাসেই জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। তিনি বলেন, এ ব্যবস্থার ফলে মার্জার থেকে অংশীদার বা পিয়ার ব্যাংকের দুর্বল সঙ্গী নিয়ে কোনো দায় থাকবে না।