জ্যাকসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে জিতল বেঙ্গালুরু । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

জ্যাকসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে জিতল বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
জ্যাকসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে জিতল বেঙ্গালুরু
উইল জ্যাকস। ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্য ২০১। ব্যাট হাতে ঝড় তুললে উইল জ্যাকস। করলেন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। তাতে জিতলে বেঙ্গালুরুও। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দিনের প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দলটি।

শুবমান গিলের গুজরাট সাই সুধর্ষানের ৮৪ ও শাহরুখ খানের ৫৮ রানে করা ৩ উইকেটে ২০০ রান উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরু জেতে ৪ ওভার হাতে রেখেই। ম্যাচ সেরা অনুমিতভাবে জ্যাকস।

এবারের আইপিএলে আগে ব্যাট করলে কতো রান নিরাপদ তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে কারণে গুজরাটের ২০০ রানও নিরাপদ ছিল না। কিন্তু এতোটা সাবলীলভাবে আবার বেঙ্গালুরু অতিক্রম করবে তাও কারো ভাবনায় ছিল না। কিন্তু সেই কাজটিই কোহলির দল করতে পেরেছে উইল জ্যাকসের ৪১ বলে ১০ ছক্কা ও ৫ চারে অপরাজিত ১০০ রানের সুবাদে।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে জ্যাকস যে সেঞ্চুরি করবেন তাও ছিল ভাবনার অতীত। কারণ দলীয় ৪০ রানে উদ্বোধনী ব্যাটার ডু প্লেসিস ২৪ রান করে আউট হওয়ার পর কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে জ্যাকস ছিলেন বেশ পিছনেই। কোহলির রান যখন ৩২ বলে ৫১, তখন জ্যাকসের রান ছিল ১৬ বলে ১৬। সেখান থেকে কোহলি পরে আর ১২ বল খেলে যোগ করেন ১৯ রান, সেখানে জ্যাকস ২৫ বল খেলে করেন ৭৪ রান। ৬৩ রানের পর কোহলি মাত্র ৬ বল খেলেন। এ সময় জ্যাকসের রান ছিল ২২ বলে ২৯। এরপর জ্যাকস ১৯ বল খেলে ৭১ রান করেন। দুই দলের রান যখন সমান ২০০, তখন জ্যাকসের রান ছিল ৯৪। সেঞ্চুরি করতে হলে ছক্কার বিকল্প নেই। রশিদ খানের বলে তিনি সেই কাজটিই করে হন মুগ্ধতা ছড়িয়ে।

প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে জাকের ও রিশাদ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে জাকের ও রিশাদ
ছবি : সংগৃহীত

বড় কোনো চমক ছাড়াই ঘোষিত হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড। ইনজুরির শঙ্কা থাকলেও সহঅধিনায়ক হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। ঘোষিত ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো জায়গা হয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিক ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

নাটকীয়ভাবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষ মুহূর্তে ডাক পেয়েছিলেন জাকের আলি অনিক। যদিও, তার অভিষেক হয়েছিল ২০২৩ এশিয়ান গেমসে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ডাক পেয়ে পেয়েছিলেন পরিপূর্ণ জাতীয় দলের পরিবেশের অভিজ্ঞতা।

মূলত দীর্ঘদিন ধরেই বিপিএলে দাপুটে পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপই দলে জায়গা হয়েছিল তার। জায়গা পেয়েই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে দল ৩ রানে হারলেও খেলেন ৬টি ছয় ও ৪টি চারে ৩৪ বলে ৬৮ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস। এরপর জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টিতে ৩৪ বলে ৪৪ এবং পঞ্চমটিতে শেষদিকে খেলেন ১১ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস। এইসব ইনিংসেই জাতীয় দলে জায়গা সুনিশ্চিত হওয়ার পর এবার জায়গা মিলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও।

অন্যদিকে, রিশাদ হোসেন ব্যাট ও বল দুদিকেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছে বিশ্বকাপের দলে। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া রিশাদ দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরও করেছেন। নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জয় পায় ৫ উইকেটে। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে রিশাদ শিকার করেন ১টি উইকেট ২৪ রান খরচায়।

এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে দল ২৮ রানে হারলেও ৭ ছক্কায় তিনি করেন ৩০ বলে ৫৩ রান। যা এক ইনিংসে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছয় হাঁকানোর রেকর্ড। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও খেলেন এক বিধ্বংসী ইনিংস। ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস আর শিকার করেন ১৮ রানে ১ উইকেট। জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও।

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দুরন্ত রিশাদ হোসেন য়েবার জায়গা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বকাপেও তার স্থান। লেগ স্পিনারন নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাহাকারটা শুরু থেকেই। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত রিশাদ হয়তো সেই আক্ষেপটা এবার ভুলিয়ে দেবেন যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজে অনুষ্ঠেয়  বিশ্বকাপে।

বোলিংয়ে ১৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রিশাদের শিকার ১১ উইকেট আর ব্যাট হাতে করেছেন ১৩১.৬৬ স্ট্রাইকরেটে ৬ ইনিংসে ৭৯ রান। যেখানে ফিফটি একটি। আর জাকের ৯ ইনিংসে করেছেন ১৯৭ রান ১২৭.৯২ স্ট্রাইকরেটে। ফিফটি করেছেন একটি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা সহঅধিনায়ক হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তাসকিন

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
সহঅধিনায়ক হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তাসকিন
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সোমবার (১৪ মে) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স রুমে দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। চোটে পড়ায় তাসকিনকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও সহঅধিনায়ক হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিনি।

দুপুর সাড়ে ১২ টায় দল ঘোষণার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ঘোষণা করা হয় বিশ্বকাপের দল।

ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দলে তাসকিন আহমেদের থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিনি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকায় তাকে বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব তার কাঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

এদিকে, জিম্বাবুয়ে সিরিজে নির্বাচকদের মন কাড়তে না পারায় বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অন্যদিকে ইনজুরিতে থাকা তাসকিনের উপর ভরসা রেখেছে নির্বাচকরা। বিশ্বকাপ চলাকালে সুস্থ হয়ে উঠবেন এমন আত্মবিশ্বাস রাখছেন নির্বাচকরা।


বিশ্বকাপ স্কোয়াড-

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন,শেখ মাহেদি, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ তামিম, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার,জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম।

রিজার্ভ- হাসান মাহমুদ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ বাংলাদেশকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল যারা

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
বাংলাদেশকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল যারা
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১ জুন (বাংলাদেশ সময় ২ জুন ভোর সাড়ে ৬টা) পর্দা উঠবে ২০২৪ মেন্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টের নবম সংস্করণের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে সর্বোচ্চ ২০ দল। সরাসরি খেলবে ১২ দল। এ ছাড়া বাছাইয়ের বাধা টপকে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফ্রিকার নামিবিয়া, উগান্ডা; এশিয়ার নেপাল, ওমান; ইউরোপের আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড; আমেরিকার কানাডা এবং পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনি। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর বিশ্লেষণ নিয়ে খবরের কাগজের বিশ্বকাপের বিশেষ আয়োজন। আজকে থাকছে পাপুয়া নিউগিনি দল।

পাপুয়া নিউগিনিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের খুব ভালোভাবেই মনে থাকার কথা। ২০২১ সালে নিজেদের অভিষেক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপেই ছিল দলটি। শুধু তাই নয়, টাইগারদের জন্য ব্যর্থতার গ্লানিতে ভরা ওই আসরে যা একটু স্বত্বি, তা দিতে পেরেছিল ওশানিয়া মহাদেশের দেশটিই। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত ও প্রবল ঝাঁকুনি খাওয়া এক হারে ওই আসরটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তাতে করে তাদের প্রতিযোগিতার সুপার টুয়েলভ খেলা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়। তবে ওমানের পর ওই গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে রেকর্ডগড়া জয়ে সব শঙ্কা দূর করেছিল বাংলাদেশ। 

ম্যাচটার আগে সমীকরণ এমন ছিল, বাংলাদেশকে শুধু জিতলেই হবে না। স্কটল্যান্ড ও ওমানের মধ্যকার পরের ম্যাচের ফলও পক্ষে আসতে হবে। কিন্তু ওমানের অল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে নেয় ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে। নেট রানরেট এগিয়ে নেওয়ায় পরের ম্যাচের দিকে আর তাকাতেই হয়নি বাংলাদেশকে। আর এখন পর্যন্ত পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ওই জয়টাই টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ১৮২ রানের লক্ষ্যে ৯৭ রানে অলরাউট হয়েছিল পাপুয়া নিউগিনি। যা টি-টোয়েন্টিতে দলটির যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড।

তাই বলে তুচ্ছ নয়

পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সব ফরম্যাট মিলিয়েই বাংলাদেশ ওই একটি ম্যাচই খেলেছে। এমন কি আইসিসির পূর্ণ সদস্য অন্য দলগুলোর মধ্যে খুব কমদের বিপক্ষেই খেলার সুযোগ হয়েছে তাদের। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির যা খেলার সুযোগ মেলে, সেটা ছোট দলগুলোর বিপক্ষেই। সেই সব দলগুলোর বিপক্ষে পাপুয়া নিউগিনির সাফল্য একেবারে খারাপ নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দলটির জয়ের হার ৫৭.৩৮ শতাংশ। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও আছে দলটির। ২০২২ সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওই জয়টি পায় দলটি। ২০১৫ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে পাপুয়া নিউগিনি। এরপর এখন পর্যন্ত ৬১ ম্যাচের মধ্যে পাঁচবার দলটি দুই শর বেশি সংগ্রহ গড়েছে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ফিলিপাইনের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২২৯ রানের সংগ্রহটি টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বোচ্চ।

বাছাই পর্বে সেরা

প্রথমবারের মতো এবার ২০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০তম স্থানে থাকা পাপুয়া নিউগিনির তো বিশ্বকাপে থাকা উচিতই! হ্যাঁ, দলটি বিশ্বকাপে থাকছে। তবে এজন্য বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসতে হয়েছে তাদের। এবার ২০ দলের মধ্যে ১২ দলের বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত হয়েছিল ২০২২ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার মধ্যে দিয়েই। বাকি ৮টি দল বাছাই পেরিয়ে এসেছে। পাপুয়া নিউগিনি পূর্ব এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে। এই অঞ্চল থেকে একটি দলই বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পায়। পাপুয়া নিউগিনি যা নিশ্চিত করেছিল একম্যাচ হাতে রেখেই।  পরে শতভাগ জয়ে বাছাই শেষ করে দলটি। অবশ্য এ অঞ্চলের বাছাইয়ে অংশ নেওয়া ৭ দলের মধ্যে ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত বা পরিচিত শক্তি কেউ ছিল না। পাপুয়া নিউগিনিই ছিল ফেভারিট।


বিশ্বসেরাদের কাতারে ভালা

আসাদ ভালার নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে পাপুয়া নিউগিনি। ৩৭ ছুঁই ছুঁই ভালা একটা জায়গায় রয়েছেন বিশ্বসেরাদের কাতারে। বাঁহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফব্রেক বল করেন। ওয়ানডেতে  বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ নবি, সিকান্দার রাজা, রশিদ খান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের পাশে নাম তার। র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান চতুর্থ। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা বিশেও নেই তিনি।
এমনিতে দলটির সেরা তারকাদের তালিকা করলে ভালার পরই টনি উরার নামটা বলতে হবে। ৩৪ বছর বয়সী এই ওপেনার টি-টোয়েন্টি দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এখন পর্যন্ত ৫৬ ম্যাচে  তার রান ১৬১৮।  ৫৯ ম্যাচে ১২৪৪ রান করে তার ঠিক পরের স্থানেই ভালা। ওয়ানডেতে আবার ভালা সবার ওপরে, দ্বিতীয় স্থানে টনি উরা। তবে শুধু টি-টোয়েন্টির কথা বললে টনি উরারই জয়-জয়কার। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (১০৭), কমপক্ষে ২৫ ইনিংস খেলা ব্যাটারদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি গড়ও (৩৪.৪৩) তার। টি-টোয়েন্টিতে দলটির পক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরিও টনি উরার।

বোলিংয়ে দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ৩০ বছর বয়সী নরম্যান ভানুয়া (৬৩)। কমপক্ষে ৫০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে গড়ও সবচেয়ে ভালো তার (১৯.২৪)। তবে ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের কীর্তিটা কাবুয়া মোরিয়ার। গত বছর ফিলিপাইনের বিপক্ষে ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এদের সবাই যাচ্ছেন বিশ্বকাপে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা ১৫ জনের ১০ জনকে রেখে স্কোয়াড সাজিয়েছে দেশটি।

বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের হাতছানি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবার অংশ নিয়ে কোনো জয়ের স্বাদ পায়নি পাপুয়া নিউগিনি। এমনকি ২০২২ সালের আসরেও তাদের সুযোগ মেলেনি। তবে এবার ফের বিশ্বমঞ্চে পা রাখেছে দলটি। ‘সি’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী উগান্ডা তাদের সমশক্তির দলই। ২২তম স্থানে থাকা উগান্ডার অবস্থান তাদের থেকে দুই ধাপ পিছিয়েই। অর্থাৎ এবারের বিশ্বকাপে প্রথম জয় তুলে নেওয়ার হাতছানিও থাকছে পাপুয়া নিউগিনির সামনে। আসরের প্রথম দিনই দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে  ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের পথচলা।

টি-টোয়েন্টিতে পাপুয়া নিউগিনির অভিষেক ১৫ জুলাই ২০১৫

ম্যাচ: ৬১

জয়: ৩৫

হার: ২৫

পরিত্যক্ত: ১

আসাদ ভালা, অধিনায়ক

আমাদের দলটির শক্তি দুর্দান্ত। কিছু ছেলে আছে যারা গত বিশ্বকাপেও ছিল (২০২১ সালে)। এবার অনুভূতি অন্যরকম কারণ সবশেষ বার কোভিডের সময় ছিল এবং প্রস্তুতি তেমন ভালো ছিল না। এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করছি কারণ আমি জানি আমরা ভালো করতে যাচ্ছি।

দল

আসাদ ভালা (অধিনায়ক), চার্লস আমিনি (সহ অধিনায়ক), আলেই নাও, চ্যাড সোপার, হিলা ভারে, হিরি হিরি, জ্যাক গার্ডেনার, জন কারিকো, কাবুয়া মোরেয়া, কিপ্লিং ডোরিগা, লেগা সিয়াকা, নরম্যান ভানুয়া, সেমা কামেয়া, সেসে বাউ ও টনি উরা।

লা পারিসিয়ানের দাবি এমবাপ্পে-খেলাইফির বাকবিতণ্ডায় দেয়াল কেঁপে উঠেছিল

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:২৯ এএম
এমবাপ্পে-খেলাইফির বাকবিতণ্ডায় দেয়াল কেঁপে উঠেছিল
ছবি : সংগৃহীত

কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জন অবশেষে সত্য হতে যাচ্ছে। তিনি নিজেই ভিডিওবার্তায় নিশ্চিত করেছেন সেই খবর। সেই ভিডিওবার্তার পরই তিনি পিএসজির ঘরের মাঠে শেষবারের মতো নেমেছিলেন। ক্লাবটির আরও কিছু ম্যাচ বাকি ঘরের মাঠে আর খেলা নেই। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটা সুখকর হয়নি এমবাপ্পের, নিতে হয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। এর মাঝেই আবার চাউর হয়েছে মাঠে নামার আগে ক্লাব সভাপতি নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার খবর।

ফ্রেঞ্চ গণমাধ্যম লা পারিসিয়ান এমনটা দাবি করেছে তার প্রকাশিত খবরে, তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামার আগে ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে একটি আলাদা কক্ষে দুজনের মধ্যে এমন বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। 

প্রতক্ষ্যদর্শীর বিবরণে লা পারিসিয়ান জানিয়েছে, তারা দুজন একে অপরের ওপর চিৎকার করছিল। এর তীব্রতায় ঘটনার সময় ‘দেয়াল কেঁপে উঠেছিল’। ধারণা করা হচ্ছে, ক্লাব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাতাহাতিতেই জড়িয়েছিলেন এই  ফরাসি। যার প্রভাব পড়েছিল ম্যাচের ওয়ার্ম আপের ক্ষেত্রে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪ মিনিট পর সেদিন ওয়ার্মআপের জন্য মাঠে এসেছিলেন পিএসজির খেলোয়াড়রা। 

মূলত ঘটনার সূত্রপাত এমবাপের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে এমবাপ্পের বিদায়ী ভিডিও নিয়ে। সেই ভিডিওতে ক্লাবের সকল খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থক, সাপোর্টিং স্টাফসহ সকলেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু সেখানে কাতারের আমির কিংবা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির নাম না নেওয়ায় চটেছিলেন খেলাইফি। 

এই বিষয়ে আলাপ করতেই আলাদা ঘরে ডেকে নেওয়া হয় এমবাপ্পেকে। পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকেই শুরু হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। 

গেল ফেব্রুয়ারি থেকেই ফরাসি তারকা এবং নাসের আল খেলাইফির সম্পর্কে অবনতি ঘটেছিল। এরপর সেটার চূড়ান্ত রূপই দেখা গেল রোববার ম্যাচের আগে। 

তাসকিনের ইনজুরি, দায়টা কার?

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
তাসকিনের ইনজুরি, দায়টা কার?
ছবি : সংগৃহীত

কাঁধের ইনজুরি নিয়ে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। ওই ইনজুরি কাটিয়ে ওঠার মিশনে থাকা এই পেসার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও ফিরতি সফরে দলে ছিলেন না। লম্বা রিহ্যাব শেষে তাসকিন ক্রিকেটে ফেরেন গত জানুয়ারিতে বিপিএল দিয়ে। দীর্ঘ বিরতি তাকে অফ ফর্মে ঠেলে দেয়নি। বরং, পুরোনো তেজ নিয়ে ফেরেন ক্রিকেটে। ইনজুরিপ্রবণ হওয়ায় তার ওপর ওয়ার্কলোড কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। ফলে আইপিএলে তাসকিনের খেলা হয়নি। আইপিএলের খেলোয়াড় নিলামের আগে তাকে এনওসি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। তবে আইপিএল খেলতে না দিয়ে খুব একটা লাভ হয়নি। হয়েছে? এর উত্তর হলো- না। খুব একটা উপকার হয়নি। কারণ ক্রিকেটে ফেরার চার মাসের কম সময় ব্যবধানে ৩০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর প্রভাবটাই পড়েছে তার ওপর। বিশ্বকাপের আগে ফের ইনজুরিতে তাসকিন আহমেদ।

ইনজুরি থেকে ফিরে তাসকিন আহমেদ প্রথম ম্যাচ খেলেন গত ১৯ জানুয়ারি বিপিএলের সবশেষ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে। দীর্ঘ রিহ্যাব শেষে ক্রিকেটে ফেরার পর আবার ইনজুরিতে পড়েন গত ১০ মে। অর্থাৎ টানা ১১৩ দিন ফিট ছিলেন। এই সময়ে তাসকিন খেলেছেন ৩০ ম্যাচ। যার মধ্যে মাত্র ১০টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সিতে। বাকি ২০ ম্যাচের ১২টি খেলেছেন বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে আর ৮ ম্যাচে আবাহনীর জার্সিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ১১৩ দিনে ৩০ ম্যাচ খেলা তাসকিন গড়ে প্রতি ম্যাচের আগে বিশ্রাম পেয়েছেন প্রায় চার দিন করে। একজন পেসারের জন্য ম্যাচপ্রতি বিশ্রামের পরিমাণ যে তুলনামূলক কম সেটা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না।

১১৩ দিনের ব্যবধানে তাসকিনের খেলা ৩০ ম্যাচের মধ্যে ৫০ ওভারের ম্যাচ ছিল ১১ ম্যাচ এবং বাকি ১৯টি ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এই সময়ে ৩০ ম্যাচে বল হাতে ১৫৮.৩ ওভার বোলিং করেছেন তিনি। সম্ভবত বেশি বিপদ ডেকে এনেছে অতিরিক্ত গরমের দিনে ডিপিএলে খেলা। প্রায় প্রতিদিনই ৪০-এর বেশি তাপমাত্রায় ম্যাচ খেলেছেন। তাতে তাসকিনের ওপর বেশি চাপ পড়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আবাহনীর সহকারী কোচ রাজিন সালেহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটা দল আসলে ৯-১০ কোটি টাকা খরচ করে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইট করে। সেখানে আসলে এইভাবে চিন্তা করার সুযোগ থাকে না। আমরা সেফ জোনে যাওয়ার পর তাসকিন-শরিফুলকে বিশ্রাম দিয়েছি। শুধু তাসকিন বা শরিফুল না, এই গরমে সব খেলোয়াড়ের ওপর দিয়ে বাড়তি চাপ গেছে।’

ইনজুরি থেকে ফেরার পর ১১৩ দিনে ৩০ ম্যাচ যে কোনো পেসারের জন্য বাড়তি চাপ বলে মনে করেন রাজিন। তার কথায়, ‘নতুন কোনো পেসার হলে তাকে ৩০ ম্যাচ খেলানো যায়। কিন্তু তাসকিন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিচ্ছে। লম্বা সময় ধরে খেলা একজন আসলে এত বেশি ম্যাচ খেললে সেটা ক্ষতিকর। সামনে বিশ্বকাপের চিন্তা মাথায় রেখে ওয়ার্কলোড ঠিক করা উচিত ছিল।’ রাজিন সালেহ এর জন্য দায় দেখেন ফিজিও ও ট্রেনারদের। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড দেখার বিষয় ফিজিও-ট্রেনারদের। তারা না জানালে আসলে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বোঝা সম্ভব না। আর ডিপিএল চলাকালে বিসিবি থেকে তাসকিনের ওয়ার্কলোড নিয়ে কোনো ধরনের বার্তা আসেনি। এ জন্য তাকে যতগুলো সম্ভব ম্যাচে খেলানো হয়েছে।’

তাসকিনের এই ইনজুরির জন্য ট্রেনারদের দায় দেখেন রাজিন। তার মতে, ট্রেনাররা খুব ভালোভাবে নজরে রাখলে তাসকিনকে বিশ্বকাপের আগে পাওয়া যেত পূর্ণ ফিট হিসেবে। স্বল্প সময়ে ৩০ ম্যাচ খেলায় তাসকিনের উপর চাপ বেড়েছিল বলে মনে করেন আরেক কোচ তারেক আজিজ। তার কথায়, ‘ইনজুরির পর অল্প সময়ে ৩০ ম্যাচ খেলায় তাসকিন খানিকটা চাপে ছিল। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা ট্রেনারদের উচিত ছিল খানিকটা নজর রাখা। কারণ বিশ্বকাপ সামনে আছে। জাতীয় দলের ট্রেনাররা খেয়াল রাখলে চাপ কম পড়ত ওর উপর।’