![শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার আহ্বান উপাচার্যের](uploads/2023/12/01/1701428907.dukk.jpg)
মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য ওই বিজয় র্যালি বের হয়। এসময় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য এই র্যালির উদ্বোধন করেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই র্যালি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্ত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা এখনও সক্রিয় রয়েছে। এখনও জাতীয় জীবন থেকে ত্যাগের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চায়। পাকিস্তানি ভাবধারার কিছু রাজনৈতিক দল যেন সেই ভাবধারায় চলে, সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে চায়। সামনে নির্বাচন, সেটিকে কেন্দ্র করে সকল দলের অংশগ্রহণে উৎসবের আমেজের থাকবে সেখানে হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মহোৎসব চলছে। আজকে যে বিজয় র্যালি তাৎপর্য হলো যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের এই মহোৎসব করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায় তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মাধ্যমে দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁরই নিরলস প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এখন এই তরুণদেরকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলছেন। সেখানেও এই অপশক্তি বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই অপশক্তির ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সেই সঙ্গে এই অপশক্তিকে পরাজিত করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। এই হলো আজকের আমাদের বিজয় র্যালির প্রত্যয় ও অভিব্যক্তি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।