![ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ফের যৌন হয়রানির অভিযোগ](uploads/2024/02/28/1709134138.nadir junayedkk.jpg)
নিজ বিভাগের পর এবার রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় বুধবার ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেন ওই নারী। যার একটি কপি খবরের কাগজের হাতেও এসেছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে পাঠদান করাতেন। ভুক্তভোগী শ্রেণিপ্রতিনিধি (সিআর) হওয়াতে তারা মেসেঞ্জারে/হোয়াটস অ্যাপে নানা ধরনের কথোপকথন করতেন। একপর্যায়ে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ অশ্লীল কথোপকথন, পোশাক পরিচ্ছদ, বিয়ের প্রলোভনে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই নারী। এ ছাড়া ক্লাসের অন্য মেয়েদেরও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজনের কাছ থেকে অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এই সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মূলত উপাচার্য বরাবর দেওয়া হয় এবং প্রক্টরের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়। আমি সেই অনুলিপিটা পেয়েছি।’
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ১২তম ব্যাচের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার সমন্বিত কোর্সে (লিখিত ও মৌখিক) কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ২৮ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের নম্বর কম দিয়েছেন। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাদির জুনাইদ।
এ ঘটনার তিন দিনের মাথায় যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। যদিও অধ্যাপক নাদির জুনাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন এবং ১১ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় ডেপুটি রেজিস্টার (প্রশাসন-১) জিএম মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত পাঠানো এক চিঠিতে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয় অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে। এরপর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশ দেওয়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্লাসে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।