![সামেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ](uploads/2024/04/02/1712048301.satkhira.jpg)
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে (সামেক) নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে জরুরিভিত্তিতে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল কুদ্দুছ বলেন, সামেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় নতুন করে সংঘর্ষ হতে পারে- এমন আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কলেজ চত্বরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। এতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রিন্স সাহাসহ কয়েকজন আহত হন।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সামেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিত, শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন হামলা চালায়। তারা আওয়ামী সমর্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও বহিরাগতদের নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা। পুরো ঘটনা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়।
পরে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটি গত ২৭ মার্চ ইন্টার্ন ডা. আব্দুল মুহিতের দুই মাসের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তানভীর আহমেদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সামেক কর্তৃপক্ষ।
পরে ২৯ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিতকে সভাপতি ও সামেক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় কমিটির বাকি সদস্যসহ পদবঞ্চিতরা।
পরে সোমবার দুপুর ১২টায় মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে আব্দুল মুহিত ও তানভীর আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপর গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এরপর দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাজমুল শাহাদাৎ/পপি/অমিয়/