![খুলল বুয়েট, দাবি আদায়ে অনড় আন্দোলনকারীরা](uploads/2024/04/18/1713415404.file-buet.jpg)
টানা ১৩ দিনের রোজা, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাস-পরীক্ষা অংশ নেননি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ছুটি শেষে বুয়েট ২১ (দ্বিতীয় বর্ষ) ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাতে ১ হাজার ২৭১ জনের মধ্যে মাত্র এগারো জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে বুয়েট ১৮ (চতুর্থ বর্ষ) ব্যাচের কোন শিক্ষার্থীই অংশ নেয়নি।
বুয়েট শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, এখন একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সকল বর্ষের ক্লাস থাকাতে আপাতত পরীক্ষা চলছে। যদিও রাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে দাবির আন্দেলনের ফলে বর্জন রয়েছে ক্লাস পরীক্ষা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (ডাব্লিউআরই) এক শিক্ষার্থী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আজকে পরীক্ষা ছিল বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। এখন আগামীতে পরীক্ষায় অংশ নেবে কি না সেটি বলা যাচ্ছে না। কারণ এটি তো আর একার সিদ্ধান্ত নয়, একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত।’
এদিকে পরবর্তী আন্দোলনের সম্পর্কে কিভাবে ভাবছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়েও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়।
গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ তুলে ছয় দফা দাবি তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেয়।
এ ঘটনায় পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি পর্যন্ত গঠন করে বুয়েট প্রশাসন।
সাদিয়া নাহার/অমিয়/