
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই শিক্ষার্থী। এবার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরও দুইজন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বলে দাবি ওই শিক্ষার্থীদের। ওই শিক্ষার্থীদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত না হচ্ছে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা ওই শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেছেন। একজন অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েছেন। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক ও ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের আবু সাঈদ। এর মধ্যে ওমর ফারুক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি তাদের। এছাড়া শনিবার সংহতি জানিয়ে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াহেদ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।
জানা যায়, শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের গ্রুপ শিক্ষার্থী সংসদে স্ট্যাটাস দেন পরে অনেক শিক্ষার্থীই সংহতি জানান। এর মধ্যে সাঈদও অনশনে বসার ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন। এদের সঙ্গে শনিবার ওয়াহেদ ও ফজলুরও অনসনে বসেন।
আবু সাঈদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার না করা হচ্ছে, আমরা এখান থেকে সরছি না। আমরা চাই, অবিলম্বে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবি নিশ্চিত করা। এখন পর্যন্ত শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাছাড়া কেউই আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।’
একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওমর ফারুক ভাই কিছুটা অসুস্থ। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হচ্ছে, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না দিচ্ছেন, আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাব।’
এদিকে শনিবার অনশনে বসা আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘তাদের দাবি যৌক্তিক এবং এই দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন রয়েছে। আমরা দুই বন্ধু আজ সংহতি জানিয়ে তাদের সঙ্গে অনশনে বসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হচ্ছে, আমরা কেউ এখান থেকে উঠছি না।’
আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ