![প্রফেশনালিজম যেভাবে অর্জন করবেন](uploads/2024/03/18/1710741038.kor-jabe2.jpg)
ক্যারিয়ারে সাফল্য পাওয়ার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো প্রফেশনালিজম। যেকোনো কাজের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কাজটি ঠিকমতো করে দেওয়াকেই সহজ ভাষায় প্রফেশনালিজম বলে। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক ব্যাপার রয়েছে।
প্রফেশনালিজম একক কোনো গুণ নয়। বরং বেশ কয়েকটি গুণের সমষ্টি। আপনি যে ধরনের পেশাতেই যান না কেন, আপনার কাছ থেকে নিয়োগদাতা ও সহকর্মীরা প্রফেশনালিজম প্রত্যাশা করবেন। নিয়মিত চেষ্টা করলে এটি আয়ত্ত করা সম্ভব।
প্রফেশনালিজম বলতে যা বোঝায়
কোনো ব্যক্তির কাজ সম্পর্কিত চিন্তাভাবনা ও সামগ্রিক আচরণকে এক কথায় প্রফেশনালিজম বলে। আপনার অফিসে আসার সময় থেকে শুরু করে সহকর্মীদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করছেন– সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মনীতি এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে সব সময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটি নিয়ন্ত্রিত হয় না। বরং ব্যক্তিগত সচেতনতা এখানে বেশি জরুরি।
আপনার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান, সহকর্মী কিংবা কাস্টমার- সবার সামনে নিজেকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য প্রফেশনালিজমের গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি কাজের বেলায় কতটা দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য সেটা প্রকাশ পায়। এ ছাড়া আপনার আন্তরিকতা, কাজ ও প্রফেশনাল চিন্তাভাবনা সম্পর্কে অন্যদের কাছে পরিষ্কার ধারণা পৌঁছে যায়।
প্রফেশনালিজম কীভাবে অর্জন করবেন?
প্রফেশনালিজমের জন্য সর্বজনীন কোনো নিয়ম বা মানদণ্ড নেই। তবে বেশ কিছু কাজের মাধ্যমে আপনার প্রফেশনাল আচরণ প্রকাশ পায়। যেমন-
সহকর্মীদের কাজে সাহায্য করুন: সব কাজ সবাই সঠিকভাবে করতে পারবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার সহকর্মীরা কাজের বেলায় অনেক সময় সমস্যায় পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আপনি তাদের কাজে সহযোগিতা করতে পারেন। এতে করে আপনার ওপর তাদের আস্থা বাড়বে।
ঠিক সময় কাজে উপস্থিত থাকুন: যেকোনো কাজেরই নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে। সেটা আপনি অফিসে কাজ করুন বা বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করুন। আপনার কাজের নির্দিষ্ট সময় আপনার উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। এর অর্থ হলো আপনি আপনার কাজ ও সময়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই সময়ের কথা খেয়ালে রাখুন। প্রয়োজনে অ্যালার্ম ব্যবহার করুন।
ভুল হলে স্বীকার করুন: কাজের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ভুল হতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে অন্যের ওপর দায় চাপানো থেকে বিরত থাকুন। বরং নিজের ভুল স্বীকার করুন। সঙ্গে কীভাবে সে ভুলকে সংশোধন করা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিন। আপনার ভুল স্বীকার করা দেখে আপনার ওপর অন্যদের বিশ্বাসের ভিত শক্ত হবে।
যথাযথ আচরণ ও ভাষা ব্যবহারে মনোযোগ দিন: আপনার বস ও সহকর্মীদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিরক্তির উদ্রেক করে বা অস্বস্তিতে ফেলে দেয়, এমন কোনো আচরণ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের আলাপ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন: নিজের কাজ ও দায়িত্ব নিয়ে বিরক্ত না হয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন। কারণ ইতিবাচক মনোভাবে আপনার কাজের পারফরম্যান্স ভালো করতে সাহায্য করে। তাই যথাসম্ভব ধৈর্য সহকারে কাজ করুন এবং মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।
দায়িত্বশীলভাবে কাজ করুন: প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আপনার কাজ সম্পন্ন করুন। ঠিক সময়ে ঠিকভাবে কাজ জমা দিতে পারলে আপনি নিজেও মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারবেন। যদি কাজ নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়েন, তাহলে সহকর্মীদের সাহায্য চান।
পোশাক-পরিচ্ছদের দিকে খেয়াল রাখুন: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পোশাক-পরিচ্ছদ পরার ব্যাপারে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। সে নিয়ম মেনে চলুন। পরিষ্কার পোশাক পরুন। কারণ পরিষ্কার পোশাক আপনার মনকে ভালো রাখবে।
কলি