ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘নীতি সহায়তার অভাবে বিকশিত হচ্ছে না দেশীয় কসমেটিকস শিল্প’

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
‘নীতি সহায়তার অভাবে বিকশিত হচ্ছে না দেশীয় কসমেটিকস শিল্প’
ছবি : সংগৃহীত

আমদানির বিকল্প ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকার পরও দেশীয় কসমেটিকস শিল্পে উল্টো নীতি গ্রহণ রহস্যজনক। কসমেটিকস শিল্পখাতে নীতি সহায়তার পরিবর্তে বাড়তি শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে নতুন উদ্যোগগুলো আরও বেশি অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। 

এদিকে কসমেটিকস শিল্প খাতের গুরুত্ব অনুধাবণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন এই শিল্পের নীতি প্রণয়নে চার দফার জোরালো সুপারিশ করেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সহায়তার নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে না। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই খাতকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলেন, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কোন মহলের ভূমিকা রহস্যজনক এবং দেশীয় শিল্প বিরোধী। যার কারণে স্থানীয় বিনিয়োগ প্রবল অসম প্রতিযোগিতা ও ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, কোন কোন মহলের শিল্পায়ন বিরোধী মনোভাব কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বর্তমান সরকারের যে অগ্রাধিকার নীতি রয়েছে তার পরিপন্থি।

এ খাতের বাণিজ্য সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স️ এন্ড এক্সপোর্ট️ার্স️ বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি) এর কার্যকরী সদস্য মো. মনির হোসেন বলেন, এই খাতে এখনই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। শুধু সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে শিল্পের আকার ও ব্যাপকতা আটকে আছে। আমদানি বিকল্প দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়। কর্ম️সংস্থান ছাড়াও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ️ন করা যায়। তাই নীতিনির্ধ️ারণে অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষে️ থাকা উচিত স্থানীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা।

তিনি বলেন, বর্ত️মানে কতিপয় মানহীন ও ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ির খবর প্রায়শই দেখা যায়। এসব ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। পড়ছেন বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। তাই স্থানীয় উৎপাদনকে নীতি সহায়তা দিয়ে মানসম্মত পণ্য ক্রেতাদের জন্য সুলভ করা জরুরি। দেশে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রচারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সহজলভ্য করা গেলে এবং সরাসরি কসমেটিকস পণ্যের শুল্কহার বাড়ানো হলে দেশীয় উৎপাদন ও উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যারিফ কমিশন তাদের সুপারিশে উল্লেখ করেছে যে, একজন স্থানীয় উৎপাদনকারীকে প্রতি পিসের একক মূল্যের উপর ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক প্রদান করতে হয়। যার ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারীর উপর সম্পূরক শুল্কের প্রভাব অনেক বেশি। কারণ আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন মূল্যের চেয়ে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য অনেক বেশি। ভোক্তা বাজার সবার জন্য এক হওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থায় স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ হুমকির সম্মুখীন।

বিশিষ্ট অর্থ️নীতিবিদ ও এনবিইআর এর চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, প্রায় তিনশ কোটি ডলারের কসমেটিকস বাজারের শিল্পে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বৈষম্যের কারণ হবে। কারণ এই শিল্পের বার্ষি️ক গড় প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ১২ শতাংশ। তাই দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষ️ণে নীতি সহায়তা জরুরি।

বাংলাদেশে কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার সামগ্রীর বার্ষিক বাজার ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এই খাত দেশের সম্ভাবনাময় একটি খাত হলেও আমদানিনির্ভর বিদেশি পণ্যের ভিড়ে দেশি কম্পানির পণ্যগুলো অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে। 

সরকারের পক্ষে দেশীয় এসব পণ্য জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সম্পূরক ভ্যাট, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে বলা যায় এ খাতে অন্যতম বাধা। বর্ত️মানে স্থানীয় উৎপাদন পর্য️ায়ে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের তালিকায় রয়েছে ওষ্ঠাধার প্রসাধন, চক্ষু প্রসাধন, হাত, নখ বা পায়ের প্রসাধন, পাউডার, সুগন্ধিযুক্ত বাথ সল্ট এবং অন্যান্য গোসল সামগ্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রসাধন সামগ্রী। 

এই খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্যের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক কমালে দেশীয় বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা এসব কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়।

দেশীয় পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের শুল্ক হ্রাস, বিদেশি পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, অবৈধ পথে বাজারে আসা পণ্য ঠেকানো, নকল পণ্য রোধ ইত্যাদি বিষয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশে কসমেটিকস শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

লাইট ক্যাসেল পার্ট️নারস এবং অ্যালাইড মার্কে️ট রিসার্চে️র মতো গবেষণা সংস্থাগুলোর ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের স্কিন কেয়ার বা পারসোনাল কেয়ার শিল্পের আনুমানিক বাজারের আকার ২০২০ সালে ছিল ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালের মধ্যে এর আকার ২ দশমিক ১২ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করছে তারা। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্য️ন্ত ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এই শিল্প বৃদ্ধি পাবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী

এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুননির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।

খায়রুল আলম চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ২০০১ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব উইলভার হ্যাম্পটন থেকে স্নাতক, ২০০২ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে ‘বার অ্যাট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এ ছাড়া ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

আইএফআইসি ব্যাংকের ইসলামিক সেবা চালু

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আইএফআইসি ব্যাংকের ইসলামিক সেবা চালু
ছবি: বিজ্ঞাপন

প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি পরিপূর্ণ ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আইএফআইসি ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হলো শরীয়াহ্ভিত্তিক আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ‘আইএফআইসি ইসলামিক’।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে ‘আইএফআইসি ইসলামিক’ ব্যাংকিং সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মানিত ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা, ব্যাংকের অ্যাডভাইজর শাহ এ সারওয়ার, শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লাসহ প্রমুখ।

এখন থেকে শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি এর দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ১৪০০ এর অধিক সকল শাখা-উপশাখা থেকে ইসলামি ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্থানীয় শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ জুলাই) উপজেলার দয়ারামপুর কাদিরাবাদ সেনানিবাসের স্যাপার কনভেনশন হলে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের এই সংবর্ধণা দেওয়া হয়।

নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি থেকে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

শিক্ষাই সেবা-সেবাই শিক্ষা এই স্নোগানে স্থানীয় শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজন করে। 

একই অনুষ্ঠানে বাগাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি সংসদ সদস্যকে সংবর্ধণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন আইডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা যশোর এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সরকারী অধ্যাপক মো. হামিদুল হক।

প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, দেশ ও সমাজের সব ক্ষেত্রে নিজেকে অনন্য হিসেবে গড়ে তুলতে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে হবে। মানবিক ও নৈতিক মানুষ হিসেবে ২১ শতকের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বাউয়েটের তথ্য অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষক মো. শামীম ইকবালের পরিচালনায় এবং আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অতিরিক্ত সচিব (অব.) সিদ্দিকুর রহমান, রাজশাহী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সাজেদুর রহমান, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আনেছ আলী সরদার প্রমুখ।

ক্রেস্ট ও সনদপত্র পেয়ে কৃতি শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

হিন্দু আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
হিন্দু আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মতিয়া চৌধুরী
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সম্পত্তিতে হিন্দু ও বৌদ্ধ নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। 

সোমবার (১৫ জুলাই) দেশে হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের নেতারা তার সঙ্গে দেখা করে ১১ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করার সময় তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কার পরিষদের নেতারা হিন্দু আইনের আওতাধীন নারী, লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠি, প্রতিবন্ধী এবং দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরে আইন সংশোধনের জন্য সংসদ উপনেতার সহায়তা চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

দাবির ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তবে আপনাদেরকে লেগে থাকতে হবে, সমাজের মানুষকে বোঝাতে হবে, জাগাতে হবে।’

হিন্দু আইন সংস্কারের দাবিতে জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন সদস্যের প্রত্যেকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীর উদ্বোধনী দিনে সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকার রমনায় সংসদ উপনেতার সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করে প্রথম স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।

সংস্কার পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ময়না তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক, সহ-সভাপতি সাংবাদিক সুভাষ সাহা, ভানুলাল দাস (পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি) ও গোকুল কৃষ্ণ পোদ্দার (বায়ো কেমিস্ট), সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ও মহিলা ঐক্য পরিষদের (বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নারী শাখা) সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সংস্কার পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক মুক্তা রাণী শেরপা, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. সুশান্ত বড়ুয়া (পেডিয়াট্রিস্ট), শুভ চন্দ্র দাস (নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক), অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দেব উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদে লিঙ্গবৈষম্যহীন উন্নততর হিন্দু আইন পাসের জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে কোনো ভূমিহীন রাখবেন না ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ মহৎ ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য বৈষম্যমূলক হিন্দু আইন সংশোধন করা জরুরি। কারণ বিদ্যমান আইন হিন্দু ও বৌদ্ধ নারীদের সবাইকে ভূমিহীন করেছে। 

প্রচলিত আইন সংশোধন করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের সম্পূর্ণ অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়ে সংস্কার পরিষদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘পিতামাতার সম্পত্তিতে সন্তানরা (লিঙ্গপরিচয় নির্বিশেষে) সমান অধিকার পাবেন। একই সঙ্গে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রী এবং স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামী এক সন্তানের সমপরিমাণ উত্তরাধিকার পাবেন।’

সংখ্যালঘুদের বসতভিটা সংরক্ষণের স্বার্থে শরিকদের অনাপত্তি ছাড়া হিন্দু আইনের আওতাভুক্ত নয় এমন কারও কাছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বসতভিটা ও বাড়ি বিক্রয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং ক্রেতা হিসেবে নিকটতম শরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধর্মান্তরিত ব্যক্তির উত্তরাধিকার হরণের প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ধর্মান্তরিতরা পূর্বপুরুষের ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনাচরণ ও পরিবার ত্যাগের সঙ্গে পূর্বপুরুষের সম্পত্তিতেও অধিকার ত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবেন। দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, ধর্ম, সংস্কৃতি, পরিবার এবং সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিষিদ্ধ করে সংসদে সুস্পষ্ট সংবিধিবদ্ধ আইন পাস করা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে পুরুষরা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যতগুলো ইচ্ছা বিয়ে করতে পারেন, যার কোনো আইনগত নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া একাধিক বিবাহ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

অসবর্ণ বিবাহ বৈধকরণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, “ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র ও বিভিন্ন উপবর্ণের নারী-পুরুষেরর মধ্যে অসবর্ণ বিবাহ হরহামেশাই ঘটছে। কিন্তু এসব বিয়ের আইনগত বৈধতা নেই। অবৈধ বিয়ের সন্তানরাও আইনত ‘অবৈধ’ বিবেচিত হয়। অবৈধ সন্তানের পৈত্রিক সম্পত্তিতে অধিকার নড়বড়ে থাকে। এগুলো মানুষের প্রতি অবিচারমূলক অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। তাই বৃটিশ আমলে প্রণীত Hindu Marriage Disabilities Removal Act 1946 সংশোধন করে অসবর্ণ বিবাহের আইনগত বৈধতা দেওয়া প্রয়োজন।’

হিন্দু আইনে সন্তান দত্তক নেওয়া বৈধ হলেও স্বামীর অনুমতি ছাড়া নারী ও লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর দত্তক নেওয়ার অধিকার নেই। ছেলে দত্তক নেওয়া যায়, কিন্তু মেয়ে সন্তান দত্তক নেওয়া যায় না। প্রতিবন্ধী শিশুকে এবং ভিন্ন গোত্রের বা ভিন্ন বর্ণের শিশুকে দত্তক নেওয়া যায় না। এরকম নানাবিধ বৈষম্য নিরসন করে আধুনিক, উন্নত ও মানবিক দত্তক আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে বিকলাঙ্গ, দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, যৌন ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং যক্ষা ও কুষ্ঠ রোগের মতো তথাকথিত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পত্তির অধিকার পান না। 

এর নিরসন দাবি করে বলা হয়, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সবার সম্পত্তির সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বিধান ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক সুযোগ দেওয়া জরুরি।’

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ আইন প্রণয়ন, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে  বাবা ও মায়ের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং আওয়ামী লীগের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত অঙ্গীকার অনুযায়ী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে রাষ্ট্র কারও প্রতি বৈষম্য করতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, বৃটিশ আমলে প্রবর্তিত বিভিন্ন হিন্দু আইনে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা এখনো চালু থাকায় নাগরিকরা রাষ্ট্রের কাছে বৈষম্যই পাচ্ছে। আদালতের কাছে বিচার প্রার্থী হলে হিন্দু নারীরা সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা অসাংবিধানিক।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

আইএফআইএলের অর্ধবার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আইএফআইএলের অর্ধবার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (আইএফআইএল) অর্ধবার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
এতে উপস্থিত ছিলেন আইএফআইএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কে বি এম মঈন উদ্দিন চিশ্তী, পরিচালক আবুল কাশেম হায়দার, হোসাইন মাহমুদ, মোস্তানসের বিল্যাহ, আফজালুর রহমান এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ইরতেজা রেজা চৌধুরী। 

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আইএফআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। 

আইএফআইএলের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, বিভাগীয় প্রধান এবং শাখা ব্যবস্থাপকরা অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/