![বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত](uploads/2024/02/13/1707804956.Kurigram.jpg)
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ‘গরু পাচারের সময়’ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ সময় একজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। গত রবিবার দুপুরে উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্তের ১০৫৭ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত একজনের নাম জব্বার মিয়া (৫২)। তিনি উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। আটক নবাব মিয়া (২৬) ধর্মপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে।
জানা গেছে, কাঁটাতার কেটে ভারতে প্রবেশের সময় নবাব মিয়াকে স্থানীয়রা বাঁধা দেন। পরে খবর পেয়ে তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে তাকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
দাঁতভাঙা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাজাহান আলী জানান, আহতরা কোথায় রয়েছেন বা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানি না। তিনি বলেন, ‘দুপুর এ ঘটনা ঘটে। সীমান্তের কাছে বসবাসকারীরা ১০৫৭ নম্বর পিলারের কাছে নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে পতিত জমিতে গরু-ছাগল চড়াচ্ছিলেন। তখন একদল গরু চোরাকারবারি সীমান্তের কাছে ভারতের ব্রিজের নিচ দিয়ে গরু পাচার করতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের গালাগাল দেন। ওই পাচারকারীদের সঙ্গে স্থানীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় সহিদুর রহমান (৩২) নামে একজন ধারাল কাঁচির আঘাতে আহত হন।’
ইউপি সদস্য শাজাহান আলী আরও বলেন, ‘ওই দৃশ্য ভারতের আসাম রাজ্যের মানকারচর থানার কুহুরমারা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যদের চোখে পড়ে। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন ও ককটেল বিস্ফোরণ করান। বিএসএফের ছোড়া গুলি জব্বার মিয়া নামে এক বাংলাদেশির পিঠে লাগে। পরে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। আরও একজনের কানে গুলি লাগার কথা শোনা গেলেও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
রৌমারী থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান মোবাইল ফোনে জানান, আটক নবাব মিয়ার বিরুদ্ধে বিজিবি বাদী হয়ে মামলা করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার জেরে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ সদস্যেদের টহল বেড়েছে। বাংলাদেশেও বিজিবির নিয়মিত টহলে অতিরিক্ত সদস্য লক্ষ্য করা গেছে। তবে অনুপ্রবেশের ঘটনায় একজনকে আটকের বিষয় ছাড়া বিজিবির পক্ষ থেকে অন্য কোনো বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে একই সীমান্তে ভারতীয় গরু আটক করতে গিয়ে চোরাকারবারিদের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন।