ঢাকা ৩ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
English

অযত্নে ভাষাশহিদ স্মৃতিচিহ্ন রফিক উদ্দিন আহমেদ গ্রন্থাগার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
অযত্নে ভাষাশহিদ স্মৃতিচিহ্ন রফিক উদ্দিন আহমেদ গ্রন্থাগার
ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। খবরের কাগজ

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে এলে পুলিশ গুলি চালায়, এতে রফিক উদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করেন। ২০০৮ সালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের রফিকনগর গ্রামে তার স্মৃতিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয় ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। নির্মাণের পরই সেখানে বই ছাড়া ছিল না শহিদ রফিকের কোনো স্মৃতিচিহ্ন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেখানে যুক্ত হয় ভাষাশহিদ রফিকের ব্যবহার করা কিছু আসবাবপত্র। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সিংগাইর উপজেলার রফিকনগরে অবস্থিত ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের একটি কর্নারে শহিদ রফিকের ব্যবহৃত চারটি চেয়ার, একটি টেবিল, ফুলতোলা টেবিল ক্লথ, একটি ফতুয়া ও একটি লুঙ্গি আছে। আর গ্রন্থাগারে সব মিলে বই আছে ১৫ হাজারের মতো। ২০০০ সালে বেসরকারি সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র দুটি আধা-পাকা ঘর তৈরি করে দেয়।

অপরদিকে ২০১৬ সালে শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদের বাড়ির সামনে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ। তবে, যে ঘরে রফিকের জন্ম সে ঘরটি এখন জরাজীর্ণ। বাড়িটিতে আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থীদের থাকার উপযোগী নেই কোনো ঘর। 

স্থানীয়দের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি নামেই করা হয়েছে। অন্য জাদুঘরে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও আমাদের এখানে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে তেমন কিছুই নেই। থাকার মধ্যে রফিকের ব্যবহৃত চেয়ার, টেবিল, ফতুয়া ও লুঙ্গি আর বেশ কয়েকটি আলমারিতে কয়েক হাজার বই আছে। দেশের প্রথম ভাষাশহিদ তিনি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার বাড়িসংরক্ষণসহ এখানে পর্যটনকেন্দ্র করা হলে আরও ভালো হতো।

ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরেও রফিকের পরিবারের পাশে না দাঁড়ানোয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহিদ পরিবারের।

শহিদ রফিকের ভাতিজা মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশের ভাষাশহিদরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে আজ পর্যন্ত কেউ তেমন কোনো বড় পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয়দের প্রত্যাশা ছিল গ্রামের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায়ও নানা উন্নয়ন হবে। প্রসার ঘটবে শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির। কিন্তু তা হয়নি।’

শহিদ রফিকের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস এলেই রফিকের পরিবারের গুরুত্ব বাড়ে। এ সময় অনেকে অনেক কিছু করতে চায়। ২১ তারিখ চলে গেলে যে যা প্রতিশ্রুতি দেয় তার সবই ভুলে যায়। তখন আর কেউ খোঁজ রাখেন না। শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদকে কবর দেওয়া হয় ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে। এখনো তার কবরটি চিহ্নিত করা হয়নি। জানি না আর কত সময় হলে এটি করা সম্ভব হবে।’

ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের লাইব্রেরিয়ান ফরহাদ হোসেন খান বলেন, ‘জাদুঘরে সব মিলে প্রায় ১৫ হাজারের মতো বই আছে। এখানে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার ও টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। তুলনামূলকভাবে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই কম আছে। শুরুর দিকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই শ দর্শনার্থী এলেও এখন দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব কম। গেল বছর জাদুঘরে শহিদ রফিকের ব্যবহার করা চারটি চেয়ার, একটি টেবিল, টেবিল ক্লথ ও গায়ের ফতুয়া ও একটি লুঙ্গি যুক্ত হয়েছে।’

লেখক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিয়াজান কবির বলেন, ‘রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ১৯৫২ সালের প্রথম ভাষাশহিদ। তার স্মৃতিকে জাগ্রত করে রাখার জন্য রফিকের জন্মভিটাকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণ করলে এখানে গড়ে উঠতে পারে একটি পর্যটনকেন্দ্র। এ ছাড়া রফিকনগরে নির্মিত জাদুঘরটি আরও সমৃদ্ধ করাসহ এই শহিদের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।’

বলধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাজেদ খান বলেন, ‘শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ আমাদের অহংকার। ভাষা আন্দোলনে তার আত্মদানে সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রামের মাটি ও মানুষ ধন্য। এই ফেব্রুয়ারি মাসসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন। এখানে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা। তাই দর্শনার্থীদের জন্য একটি বাংলো নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি।’

জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, ‘ভাষাশহিদ রফিকের মায়ের কবর সংরক্ষণ, জাদুঘরে রফিক কর্নার স্থাপনসহ কিছু কাজ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কাজ করা হবে।

তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদলের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদলের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়া গ্রামের একটি লিচু বাগানে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ঝিকরগাছার গদখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমান। ভুক্তভোগী বর্তমানে ঝিকরগাছা থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, মেয়েটি বেনাপোলে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে রবিবার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালির ফুল মোড়ে নামেন। সেখানে আসামিদের সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়। তারা ওই তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে পটুয়াপাড়া গ্রামে আসামি জাবেদ হোসেনের লিচু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি ফোনে ঝিকরগাছা থানা-পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা জানান, ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না।

ময়মনসিংহে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ভাই-বোনের

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ময়মনসিংহে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ভাই-বোনের

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাণীগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো শিশুরা হলো- একই গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে শিমু আক্তার (৯) ও ছেলে মো. নিজুম (৩)।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার।

তিনি বলেন, বিকেলে শিমু আক্তার তার ছোট শিশু ভাইকে কোলে নিয়ে পুকুরের কিনারায় পানিতে গোসল করছিল। কিছুক্ষণ পর শিশুদের মা সন্তানদের বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে শিশুদের মরদেহগুলো ভেসে উঠতে দেখে উদ্ধার করেন।

ওসি বলেন, এমদাদুল হকের আর কোনো সন্তান নেই। এমন ঘটনায় শোকে পরিবার স্তব্ধ হয়ে গেছে। এলাকায়ও বইছে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/মাহফুজ

 

রাজশাহীতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, অভিযুক্ত কারাগারে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম
রাজশাহীতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, অভিযুক্ত কারাগারে
অভিযুক্ত এনামুল হক

রাজশাহীতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এনামুল হক (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনামুল হকের বাড়ি রাজশাহীর কাটাখালী থানার কাপাশিয়া তালুকদারপাড়া গ্রামে। তবে তিনি রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুর বৌ বাজার হাদির মোড় এলাকায় ভাড়া থাকেন। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারও একই এলাকার ভাড়াটিয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান জানান, শনিবার বিকেলে বাড়িতেই একাই ছিল ওই শিশু। এ সময় এনামুল হক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন শিশুর চিৎকারে লোকজন এসে তাকে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।

ওসি জানান, এ ব্যাপারে রাতেই শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ

পরীক্ষা দেওয়া হল না ছাত্রলীগ নেতার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
পরীক্ষা দেওয়া হল না ছাত্রলীগ নেতার
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। এরপর তাকে ফেনী মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক ওই শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ আল নোবেল। তিনি শহরের রামপুর এলাকার এনামুল হকের ছেলে। নোবেল ফেনী পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক নোবেল ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটের টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। রবিবার দুপুরে ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে পরীক্ষা দিতে আসলে তাকে আটক করেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। পরে খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তোফায়েল নিলয়/সিফাত/

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
দুর্ঘটনার কবলে পড়া নছিমন। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ট্রাক চাপায় আল-আমিন (২৭) ও অটোরিকশার ধাক্কায় সায়েম আলী (৫) নিহত হন। 

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনুরা সড়কের আতাহার বুলনপুরে ও সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হুররুপাড়া এলাকায় এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত আল আমিন নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেটগাঁও-পরানপুরের আসাদ আলীর ছেলে এবং সায়েম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর কাদির মোল্লের টোলা গ্রামের তাইফুর রহমানের ছেলে। 

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন বাজার আড়তে সবজি বিক্রি করে নছিমন চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আল আমিন। পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনুরা সড়কের আতাহার বুলনপুরে ট্রাক ও নছিমনের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আল আমিন। এঘটনায় একই উপজেলার চকশল্লা হাট এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান মিলন আহত হন।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত মিলনকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি মতিউর বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা হবে।’

ওসি মতিউর রহমান আরও বলেন- রবিবার দুপুর ১২টার দিকে অটোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে সায়েম আলী নামে পাঁচ বছরের এক শিশু নিহত হয়। হুররুপাড়া এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। 

ওসি আরও জানান, এছাড়াও লালাপাড়া চৌধুরী মোড় এলাকায় দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান ওসি মতিউর রহমান।

মো. আসাদুল্লাহ/মাহফুজ