ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ভোলায় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে র্যালি

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
ভোলায় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে র্যালি

ভোলায় ‘স্মার্ট পরিসংখ্যান, উন্নয়নের সোপান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে এসে শেষ হয়। 

র্যালিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ স্কাউটস ও রোভার স্কাউটসের সদস্যসহ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জেলা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। 

সভায় জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন,  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, উন্নত জীবনের সোপান তৈরি করে পরিকল্পনা। তাই সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে গুণগতমানের পারিসাংখ্যিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। 

শুমারি এবং চলমান বিভিন্ন জরিপ কার্যক্রমে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

সঠিক, সময়োপযোগী ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সরবরাহ করা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করা হয়।

সভায় জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান দেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যানের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন তথ্য মাথাপিছু গড় আয়, আয়ু, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার, আমদানি-রপ্তানি, দেশজ উৎপাদন ইত্যাদি পারিসাংখ্যিক তথ্য পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করে উন্নত জীবনধারার পথে এগিয়ে যাওয়ার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান অফিস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পরে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন ও অফলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছয়জনের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান, আনিছুর রহমান, উপজেলা সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা পরিসংখ্যান তদন্তকারী পঙ্কজ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।

ইমতিয়াজুর রহমান/জোবাইদা/অমিয়/

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জয়ের জন্মদিন উদযাপন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জয়ের জন্মদিন উদযাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টায় এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি শুরু হয়। 

এরপর সকাল ৯টায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহসিন উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। 

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদের দীর্ঘায়ু কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহসিন উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তারিকুজ্জামান চৌধুরী, হেলাল কাজী, অ্যাডভোকেট মফিজ, ইকরামুজ্জামান, সাজ্জাদুর রহমান, কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

পরে দেশে সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

বাদল সাহা/পপি/অমিয়/

সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
নুরুজ্জামান

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুজ্জামান নামের এক সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে শ্যামনগর থেকে নূরনগরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গোপালপুর এলাকায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে নিহত হন তিনি।

নিহত নুরুজ্জামান স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুজ্জামান রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামনগর থেকে নূরনগরগামী সড়কের গোপালপুর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তের মধ্যে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/

ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ফাইল ছবি

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের একদিন পর সিয়াম (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার শিতলী গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সিয়াম কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দি গ্রামের সায়িম রেজার ছেলে ও শিতলী রোকেয়া খাতুন নুরানী মাদ্রাসার ছাত্র।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সিয়ামসহ ৩ ছাত্র মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে দুই ছাত্র ফিরে আসলেও সিয়াম আর ফিরে আসেনি। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। 

শনিবার সকালে শিতলী গ্রামের ওই পুকুরে সিয়ামের মরদেহ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান সিয়ামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাহফুজুর/ইসরাত চৈতী/

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত রঞ্জিত চৌধুরী আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার প্রদীপ চৌধুরীর ছেলে। সে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ডগরতলী এলাকায় গোসল করতে নেমে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের সংবাদ পাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পানিতে প্রায় ৫ ঘন্টা সন্ধান চালিয়ে অবশেষে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

ইমতিয়াজ/ইসরাত চৈতী/

‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’
নিহত আব্দুল গণি। ছবি: খবরের কাগজ

‘আমার স্বামী গুলশান-২ এলাকার আবাসিক হোটেল সিক্সসিজনে কাজ করতেন। তিনি কোনো রাজনীতি করতেন না। তিনি মারা যাওয়ায় আমি দুটি সন্তান নিয়ে এখন মাঝ সমুদ্রে পড়েছি। এলাকায় এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া আছে। এখন কিস্তি দেব কী করে, খেয়ে বাঁচব কীভাবে? আর আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে।’

রাজধানীর গুলশানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া আব্দুল গণির (৪৫) স্ত্রী লাকী আক্তার শুক্রবার (২৭ জুলাই) এসব কথা বলেন। কথাগুলো বলতে গিয়ে তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। আব্দুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে। তবে কিছুদিন আগে আব্দুল গণি সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বাড়ি করেছেন। গতকাল শুক্রবার রহিমপুরের বাড়িতে আব্দুল গণির আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

লাকী আক্তার আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ২০ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করেন। আগে আমিও ঢাকায় ছিলাম। চার বছর আগে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এরপর সন্তানদের নিয়ে আমি গ্রামে চলে আসি। গত ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে আব্দুল গণি উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে বের হয়ে গুলশানে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গুলশানের শাহজাদপুর-বাঁশতলায় গেলে তিনি কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে পড়ে যান। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ১০টার দিকে আমার শ্বশুর ফোন করে জানান, গনির মাথায় গুলি লাগছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে।’

আব্দুল গণির ছেলে আলামিন শেখ বলেন, ‘এসএসসি পাসের পর বাবা আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। আমি শেফের কাজ শিখছি। বাবার সঙ্গে একই বাসায় থাকতাম। আমার ওই দিন নাইট ছিল। সকালে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকাল ১০টার দিকে মা ফোন দিয়ে বলে তোর বাবার খবর নে। মাথায় গুলি লেগেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে লাশ পেয়েছি বাবার। আমি এখনো বেকার। বাড়িতে মা আর চার বছরের বোন জান্নাত থাকে। বাবাকে হারিয়ে আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি।’

আব্দুল গণির বড় ভাই আব্দুল রাজ্জাক শেখ বলেন, ‘গত ২১ জুলাই বিকেলে ভাইয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।’