ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সমবায় সমিতির খপ্পরে ৫০ হাজার গ্রাহক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ এএম
সমবায় সমিতির খপ্পরে ৫০ হাজার গ্রাহক
জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহক। ছবি: খবরের কাগজ

মাদারগঞ্জ পৌর শহরের বালিজুড়ি বাজার। শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে একটি অফিস এই বাজারে রয়েছে। আগে প্রায়ই এখানে জমশেদ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে দেখা যেত। চলাফেরায় অক্ষম সত্তর-ঊর্ধ্ব এই ব্যক্তি হামাগুঁড়ি দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সমিতির অফিসে উঠতেন। জানতে চাইতেন তার টাকা কবে পাবেন। কিন্তু তাকে দীর্ঘদিন ঘোরানো হয়। এখন ওই অফিসটি তালাবদ্ধ। গ্রাহকদের টাকা না দিয়েই তারা পালিয়ে গেছেন। পেশায় ভিক্ষুক জমশেদ মিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া জমি বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। অধিক লাভের আশায় ওই টাকা রেখেছিলেন শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতিতে। ভেবেছিলেন প্রতি মাসে পাওয়া মুনাফার টাকায় জীবন কাটিয়ে দেবেন। কিন্তু এখন তিনি আসল-মুনাফা দুটোই হারিয়েছেন।

প্রবাসী ছেলের পাঠানো টাকা ও বিদেশফেরত স্বামীর সারাজীবনের জমানো ৪৫ লাখ টাকা একটি সমবায় সমিতিতে জমা রাখেন পঞ্চাশোর্ধ্ব আলিয়া বেগম। কথা ছিল সুবিধামতো সময়ে ওই টাকা তুলে তিনতলা বাড়ি বানাবেন, জীবনের শেষ সময়গুলো কাটাবেন সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে। বাড়ি করার জন্য সব প্রস্তুতি নিলেও টাকা উত্তোলনের সাত দিন আগেই উধাও হয়ে যান ওই সমিতির কর্মকর্তারা। অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা আলিয়া বেগমের চোখে এখন শুধুই হতাশার জল। অর্থের অভাবে স্বামী ও নিজের চিকিৎসা করাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। শুধু তারাই নন বিভিন্ন সমিতির গ্রাহক খোদেজা বেগম, শাহাদাত হোসেন, সুশান্ত চন্দ্র ঘোষ, শাপলাসহ আরও অনেক গ্রাহকের গল্প কমবেশি একই রকম। 

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় সমবায় কার্যালয়ের নিবন্ধন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আদলে গ্রাহকদের আমানত সংগ্রহ করে উধাও হয়ে গেছে বেশ কিছু সমবায় সমিতি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব সমিতি ব্যাংকের চেয়ে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করে। শুরুর দিকে গ্রাহকদের মুনাফা দিলেও বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকজন টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। ফলে সর্বস্ব হারিয়ে গ্রাহকরা এখন দিশেহারা। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সমিতিগুলোর অনিময় তদন্ত করে দেখা হবে।

জানা গেছে, উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক সমবায় সমিতি। এগুলোর মধ্যে মাদারগঞ্জ আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি, শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতি, স্বদেশ বহুমুখী সমবায় সমিতি, নবদ্বীপ বহুমুখী সমবায় সমিতি, জনতা শ্রমজীবী সমবায় সমিতি অন্যতম। বিভিন্ন পেশার অন্তত ৫০ হাজার গ্রাহক এসব সমিতিতে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার আমানত জমা রাখেন। সবচেয়ে বেশি টাকা হাতিয়েছে আল-আকাবা আর শতদল বহুমুখী সমিতি নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।

সরেজিমনে দেখা যায়, মাদারগঞ্জ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে বাহারি নামের বিভিন্ন সমবায় সমিতি। একটি ভবনেই পাওয়া যায় অন্তত ১০টি সমিতির কার্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে একেকজন গ্রাহক সর্বনিম্ন দুই লাখ থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত রেখেছেন। এখন প্রায় সব সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। আর গ্রাহকরা লভ্যাংশ তো দূরের কথা জমানো আমানত কীভাবে ফিরে পাবেন সেই আশায় প্রতিদিন সমিতির কার্যালয়ের সামনে এসে ভিড় করছেন।

আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির গ্রাহক শিল্পী আক্তার জানান, নিজের ও স্বামীর জমানো সাড়ে ছয় লাখ টাকা তিনি ওখানে জমা রাখেন। আমানতের বিপরীতে প্রতি মাসে ভালো মুনাফা পাওয়ায় ভাইয়ের বিদেশ যাওয়ার জন্য মা আনোয়ারা বেগমের সঞ্চিত সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা রাখেন শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতিতে। কিন্তু গত এক বছর ধরে সমিতি দুটি মুনাফা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ গত তিন সপ্তাহ আগে সমিতির অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত আল-আকাবার আমানত ৪১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, শতদলের ২২১ কোটি ৮৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ টাকা, নবদ্বীপের ২৫ কোটি ৮০ লাখ, স্বদেশের ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫১ টাকা। এ ছাড়াও আরও ১০ থেকে ১৫টি সমিতির আমানত ১ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকার মধ্যে বলা হলেও বাস্তবে এসব সমিতির মূলধন ও সম্পদের পরিমাণ সমবায় কার্যালয়ের হিসাবের চাইতেও কয়েক গুণ বেশি।

মাদারগঞ্জ কেন্দ্রীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘নিয়ম না থাকলেও সবাই যেভাবে টাকা লেনদেন করেছে, আমরাও সেভাবে করেছি। তবে টাকা নিয়ে সমিতির অন্য পরিচালকরা ঝামেলা করছে বুঝতে পেরে আমি কেন্দ্রীয় বমুমুখী সমবায় সমিতি এবং রূপসী বাংলা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি থেকে কয়েক মাস আগে পদত্যাগ করেছি।’  

জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, ‘প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এতগুলো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের আমানত আত্মসাৎ করতে পেরেছে।  এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাকদের কাছ থেকে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে।’

জেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সমিতিগুলো ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। তারা এতদিন ধরে অবৈধ লেনদেন করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খানকে শোকজ করা হয়েছে। এসব সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হবে। সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি।   

জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান বলেন, ‘আমরা সরেজমিন তদন্ত করে দেখব, কেন এতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা আইন মেনে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল কি না, সেটাও দেখা হবে।’ এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার আগে সাধারণ মানুষকে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

অর্থসঙ্কটে আটকে গেছে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
অর্থসঙ্কটে আটকে গেছে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন
ছবি : খবরের কাগজ

অর্থ সঙ্কটে আটকে গেছে দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন। মেয়াদপূর্তির তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে সংগঠনটির কার্যক্রম। 

নির্বাচন না হওয়ায় নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন আর এতে সংগঠনটির নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে সাংগঠনিক স্থবিরতা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক নেতারা।

তবে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা নেতারা সাংগঠনিক স্থবিরতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, সরকার নির্বাচনের ব্যয় বহন না করায় আটকে রয়েছে নির্বাচন। 

চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ জুন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এরপর ২০২১ ও ২০২৪ সালে আরও দুটি নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও ২০১৮ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সংগ্রাম কমিটিই গত ছয় বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছে।
 
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, ‘বর্তমান কমিটি তিন বছরের জন্য শ্রমিকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল কিন্তু এই কমিটি এখন ছয় বছর ধরে দায়িত্বে। দুই মেয়াদে নির্বাচন না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পাশাপাশি ইউনিয়নের নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের আশা আকাঙ্খা ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পুরণ করা ইউনিয়নের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। 

ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কাজ করার কথা সেগুলো করতে পারছে না। শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দুর্বল হচ্ছে। ইউনিয়ন মালিকদের কাছ থেকে সম্পুর্ণ বকেয়া মজুরি আদায় করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এখন শ্রমিকদের কাছে নেতাদের জবাবদিহিতা নেই। নেতৃত্বে থাকা অনেক নেতাই নিস্ক্রিয়, অনেকে চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। ফলে আন্দোলন বা চা শ্রমিদের জন্য কথা বলার ইউনিয়নের নেতাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি নির্বাচনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে সত্য, কিন্তু সরকারকে বুঝাতে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।’
 
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী বলেন, ‘চা শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যয়ভার মূলত চা শ্রমিকদের চাঁদা থেকে নির্বাহ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিকরা আগের মতো চাঁদাও দিচ্ছেন না। এখন তো শ্রমিকদের দাবি দাওয়া পুরণ হয় না। মজুরি বৈষোম্যর বিষয় ইউনিয়ন দেখে না। বাগানগুলোতে ছোটখাট সমস্যা দেখা দিলে নেতারা যেতে চায় না। শ্রমিকরা তাদের পায় না। নির্বাচনের জন্য অনেক টাকা লাগে। সেই অজুহাত দেখিয়ে দুই মেয়াদ ইতোমধ্যে পার করে দেওয়া হয়েছে। চা শ্রমিক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রতে কিছু ফাঁক-ফোকর রয়েছে। এজন্য কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা চেয়ার দখল করে বসে আছেন।’
 
চা জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন ফোরামের আহ্বায়ক পরিমল সিং বাড়াইক বলেন, আমরা অবিলম্বে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন চাই। চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। চা শ্রমিকদের নেতৃত্ব প্রকৃত চা শ্রমিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। আমরা চাই চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে ইউনিয়ন। সঠিক নেতৃত্ব এসে চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা খবরের কাগজকে বলেন, সবার মতো আমরাও চাই দ্রুত ইউনিয়নের নির্বাচন হোক। নির্বাচন দ্রুততম সময়ের মধ্যে আয়োজন করার চেষ্টাই আমরা করছি। আমাদের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই আইন অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করেছিলাম। সরকার আমাদের নির্বাচনের জন্য ব্যয় ধরছে ৭০ লাখ টাকা। সেখানে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছি। আগের সব নির্বাচন সরকারি খরচেই হয়েছে। ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজ করে শ্রমিকদের পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না। আমরা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই যেন আগের মতো সরকারিভাবে ব্যয় বহন করে একটি সুন্দর নির্বাচন আমাদের জন্য আয়োজন করা হোক।’

নির্বাচনের বিষয়ে জানতে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপ-পরিচালক ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইলফোনে কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

দেশের ছোট বড় মিলিয়ে ২৪১টি চা বাগানের প্রায় ৯৭ হাজার চা শ্রমিক ভোটার রয়েছেন।

হৃদয় শুভ/জোবাইদা/অমিয়/

ক্যাম্প করে জনগণকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ বিভাগীয় কমিশনারের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
ক্যাম্প করে জনগণকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ বিভাগীয় কমিশনারের
মাধবদী পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম

নরসিংদীর মাধবদীতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনঃসংস্কার ও চালু না করা পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্প করে মানুষকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মাধবদী পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে নিজেরাই তাদের ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করছে। আমরা যাচাই করে ক্ষতির পরিমান বলতে পারব। সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

এর আগে তিনি দুষ্কৃতিকারীদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত নরসিংদী কারাগার, জেলা পরিষদ কার্যালয়, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। 

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৌসুমী সরকার রাখী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাত উদ্দিন আহমেদ মনির, নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, মাধবদী পৌরসভার মেয়র হাজী মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক প্রমুখ।

শাহিন/পপি/অমিয়/

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠন: মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠন: মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী
ছবি : খবরের কাগজ

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এখন দেশকে ধ্বংস করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। 

শনিবার (২৭ জুলাই)  চকবাজার সিটি কর্পোরেশন কাঁচাবাজারে অসহায়দের মাঝে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংকট উত্তরণের এ ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষকে মনোবল না হারানো আহ্বান জানিয়ে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় আসীন করেছেন তা বিএনপি-জামায়াতের সহ্য হচ্ছে না। বিশ্বে তারা এখন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ চিহ্নিত অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাড়ায়-মহল্লায় দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ও গণশক্তির দূর্ভেদ্য মোর্চা গড়ে তুলতে হবে। 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সংকট থেকে বার বার উত্তরণ ঘটানোর হিম্মত রাখে। জনগণের সার্বিক মুক্তি অর্জনের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির কল্যাণে যে সফলতা অর্জন করেছেন তা ধ্বংস করার একটি অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এ অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের আর কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই শুধু সরকার এককভাবে সরকার নয় প্রতিটি দেশপ্রেমিক সাধারণ মানুষকে এ অপশক্তি নির্মূলে সরাসরি ও প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, উপ-প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবদুল লতিফ টিপু, বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আনসারুল হক, জামশেদুল আলম চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাহেদুল আজম সাকিল, শেখ সরওয়ারদ্দী, মোহাম্মদ মুছা, কাউন্সিলর নুরুল মোস্তফা টিনু।
 
একই সময়ে সকাল ৮টায় দেওয়ানহাট মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগৈর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য মো. জাবেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইদ্রিস কাজেমী, মো. ওহিদুল রহমান মহসীন, সাবেক যুবলীগ নেতা আবদুল মান্নান ফেরদৌস, ওয়ার্ড কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আবদুর রশিদ লোকমান প্রমুখ।

এস এম ইফতেখারুল/জোবাইদা/অমিয়/

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জয়ের জন্মদিন উদযাপন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জয়ের জন্মদিন উদযাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টায় এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি শুরু হয়। 

এরপর সকাল ৯টায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহসিন উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। 

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদের দীর্ঘায়ু কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহসিন উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তারিকুজ্জামান চৌধুরী, হেলাল কাজী, অ্যাডভোকেট মফিজ, ইকরামুজ্জামান, সাজ্জাদুর রহমান, কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

পরে দেশে সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

বাদল সাহা/পপি/অমিয়/

সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
নুরুজ্জামান

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুজ্জামান নামের এক সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে শ্যামনগর থেকে নূরনগরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গোপালপুর এলাকায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে নিহত হন তিনি।

নিহত নুরুজ্জামান স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুজ্জামান রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামনগর থেকে নূরনগরগামী সড়কের গোপালপুর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তের মধ্যে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/