![রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দিলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: পুলিশ সুপার](uploads/2024/04/04/1712207495.Taknaf-police.jpg)
উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে বাসা বা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কাছে ভাড়া দেওয়া বাসা ছাড়িয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেন পুলিশ সুপার।
বুধবার (৩ এপ্রিল) টেকনাফ রঙ্গিখালী মাদ্রাসা মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামে উদ্যোগে অপরাধ দমনে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গারা মাদক কারবার, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধের পাশাপাশি একটি চক্রের ইন্ধনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টাও করছে তারা। টেকনাফ যেসব অপহরণ হচ্ছে সব ঘটনার পেছনে রোহিঙ্গারা জড়িত। আমরা অপরাধীদের শিকড় সন্ধান করে তাদের শিকড় কেটে দেব। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।’
এ সময় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে অবাধ বিচরণের কারণে উখিয়া টেকনাফে অপহরণ বাড়ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরও ভয়াবহ হবে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বাঙালিদের টার্গেট করে। পরে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। টেকনাফে পুলিশের আরও জনবল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।’
শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন ২৭ কিলোমিটার এলাকা গহীন পাহাড়। এখানে পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্র গড়ে উঠেছে। আমাদের এলাকায় একটি মাত্র পুলিশ ফাঁড়ি। যেখানে পুলিশের সংখ্যা মাত্র ৭-১০ জন। এগুলো দিয়ে অপরাধ দমন সম্ভব নয়। তাই পুলিশের জনবল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।’
টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জুম চাষে গেলে সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে। এখন জুম চাষিরাও ভয়ে আর যায় না। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এজন্য পাহাড়গুলোয় যৌথ অভিযানের দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওসমান গনী, টেকনাফ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি বাহাদুর ও উখিয়া-টেকনাফের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ স্থানীয়রা।
শহীন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/