![বড় মনিরের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ, পুলিশের লাঠিচার্জ](uploads/2024/04/18/1713446910.Tangail.jpg)
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলার আলোচিত আসামি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় পৃথক স্থানে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে বড় মনিরের বিচার দাবিতে টাঙ্গাইল পৌরসভা ভবনের সামনে বের করা মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়। তবে কারা এসব বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পুলিশ বলতে পারেনি।
বড় মনির শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তার ছোট ভাই সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির। তিনি টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বড় মনিরকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশ আহ্বান করে পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হকের সমর্থকরা। সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে তারা এই সমাবেশ আহ্বান করে। অপরদিকে একই দিন একই স্থানে শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে পাল্টা সমাবেশ ডাকে বড় মনিরের সমর্থকরা। তবে প্রশাসন কোনো পক্ষকেই শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যান ব্যবহার করার অনুমতি না দিলেও উভয় পক্ষই সেখানে সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় সংসদ সদস্য তানভীর হাসানের আদালত পাড়ার বাসভবনের সামনে সকাল থেকে সমবেত হতে থাকে বড় মনিরের সমর্থকরা। অপর দিকে পৌর মেয়রের সমর্থকরা পৌরসভা এবং থানাপাড়া এলাকায় জড়ো হয়। অন্যদিকে সকালে পৌর উদ্যান এলাকায় অবস্থান নেয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
এদিকে সকাল ১১টায় তানভীর হাসানের বাড়ির সামনে থেকে বড় মনিরের সমর্থকরা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। ওই সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য তানভীর হাসান, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কেন্দ্রীর যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মামুনসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, শান্ত টাঙ্গাইলকে অশান্ত করার মধ্য দিয়ে কিছু চক্রান্তকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলা কার্যক্রমকে বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
অপর দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভা ভবনের সামনে থেকে মেয়র এসএম সিরাজুল হকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌরসভা চত্বর থেকে রাস্তায় নামার পরই পুলিশ বাধা দেয়। এরপর মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ তিনজনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়। পরে মেয়রের সমর্থকরা পৌর ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন ও মানবাধিকার কর্মী মাহমুদা শেলী। বক্তারা বলেন, গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ মামলা রয়েছে। তার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানার সঙ্গে বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না বলে চলে যান।