![মৌলভীবাজারে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন](uploads/2024/04/19/1713519311.mowlovibazar-photo.jpg)
জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট ২০২৪ পালন করেছে মৌলভীবাজারের অর্ধশত শিক্ষার্থী।
ধর্মঘটকারীরা জানান, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে খরা, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশের ভারসাম্য।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদনীঘাট মনুব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ‘বেঁচে থাকার অধিকার, চাই জলবায়ুর সুবিচার’ স্লোগানে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের ব্যানারে এই জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানান ধর্মঘটকারীরা। এ সময় তারা তাদের দাবি-সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ সময় ধর্মঘটকারীরা জানান, বিশ্বের তাপমাত্রা আরও বাড়লে, খরা, বন্যা ও প্রচণ্ড গরমের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। যা কয়েক মিলিয়ন মানুষের ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি ও দারিদ্র্যের কারণ হবে। বিশেষ করে বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর মানুষের জন্য এটি একটি বিড়ম্বনার বিষয়। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনে এ অঞ্চলের লোকেরা সবচেয়ে কম ভূমিকা রাখলেও, সবচেয়ে বড় মূল্য তাদের দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মুখে পড়ার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করেন ধর্মঘটকারীরা।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক দ্বীপ্র ধর অর্ঘ্য বলেন, ‘আমাদের ধর্মঘট থেকে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের কাছে আমরা দাবি জানাই যে, জ্বালানি ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ চাই, ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ চাই। তাই আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে তরুণ ও সচেতন মহলের এগিয়ে আসতে হবে।’
ধর্মঘটে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জাতীয় পরিষদ সদস্য আ স ম সালেহ সোহেল বলেন, ‘এই জলবায়ু ধর্মঘটে নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আওয়াজ তুলতে সংগঠিত হতে সহায়তা করবে। আমরা মুখবুজে কষ্ট সহ্য করতে পারি না। সময় এসেছে কীভাবে পৃথিবীকে সুরক্ষিত করা যায় এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায়।’
পুলক পুরকায়স্থ/জোবাইদা/