রাজশাহীতে পানির স্তর নামছেই । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

রাজশাহীতে পানির স্তর নামছেই

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
রাজশাহীতে পানির স্তর নামছেই
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় রাজশাহীর অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে গেছে। এতে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। ফলে নারীরা দল বেঁধে দূরদূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করছেন। তানোর উপজেলার মাহালিপাড়া এলাকা থেকে তোলা/ খবরের কাগজ

রাজশাহীতে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে খাল-বিল, মাঠ-ঘাট, জলাশয় শুকিয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষকের খেতসহ সবখানে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অগভীর-গভীর অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। সেচের জন্যও ভোগান্তিতে পড়েছেন চাষিরা। বৃষ্টির আশায় বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙের বিয়ে। তবুও দেখা নেই বৃষ্টির, এমনকি তাপপ্রবাহের পারদ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। পাশাপাশি আম, লিচু, বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খরা মৌসুমে পানিসংকটের আলোচনায় এত দিন উত্তরাঞ্চলে শুধু রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত তানোর উপজেলার নাম শোনা যেত। তবে গত বছর থেকে রাজশাহীর প্রায় সব উপজেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বরেন্দ্র অঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত ও তিনটি মৌসুমের পুরো চাষাবাদে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারকে দায়ী করা হচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, বৃষ্টির অভাবে বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিক না হওয়া ও নির্বিচারে পানি তোলায় এ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সময়সীমা বেড়েছে। এতে কৃষিকাজ ও খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

তারা আরও বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সবুজ প্রকৃতি ও জলাধার হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বৃষ্টিপাতও কমে এসেছে। যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, সেটুকুর পানিও কোনো কাজে লাগছে না। ফলে প্রতিবছর রাজশাহী অঞ্চলে ৪ ফিট করে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে তাপমাত্রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, খরায় বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর সর্বত্র পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি দেখা দিয়েছে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নে। পানি সংকটের কারণে এখানকার বাসিন্দারা প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করছেন তাদের গৃহস্থালি কাজ ও খাওয়ার জন্য। একই চিত্র বাঘা উপজেলার কয়েকটি গ্রামেও। টিউবওয়েল ও ডিপ-টিউবওয়েলেও উঠছে না পানি। এসব গ্রামের মানুষকেও পানি সংগ্রহের জন্য ছুটতে হচ্ছে দূরদূরান্তে।

এদিকে পানির অভাবে ও তীব্র তাপপ্রবাহে রাজশাহী অঞ্চলে কৃষিজমি ফেটে চৌচির হয় গেছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচ দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

তাপপ্রবাহে ধানের জমিতে সেচের খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানান তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কৃষক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, রাতে জমিতে সেচ দিলে দুপুরের পর তা শুকিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হতে হতে ধানের খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এখন ধান রক্ষাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সেচ ছাড়া বোরো ফসল বাঁচানো কোনোভাবে সম্ভব নয়।

তানোরের মাহালিপাড়ার বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে পানি পাওয়া যায় না। পাশে যাদের ডিপ (গভীর নলকূপ) আছে, ট্যাংক আছে তাদের কাছে থেকে খাবার পানি নিয়ে আসছি। প্রতিদিন সময় করে ৪-৫ বার পানি আনতে হচ্ছে।’

বাঘা উপজেলার চক রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মোস্তাকিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিনই খাবার পানির জন্য অন্য এলাকায় ছুটতে হচ্ছে। আসলে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। ফলে আমাদের এখানে পানি উঠছে না। তাই বাধ্য হয়েই পাশের এলাকা থেকেই পানি আনতে হচ্ছে।’

পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) তথ্য বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কম বৃষ্টিপাত, দীর্ঘস্থায়ী খরা ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নামছে। গত গ্রীষ্মে রাজশাহীর তানোর এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমেছে ১১৩ ফুট পর্যন্ত। ভূগর্ভস্থ পানির পুনর্ভরণ (স্বাভাবিক) না হওয়ায় গড়ে এ অঞ্চলে চার ফুট করে নেমেছে পানির স্তর। সেইসঙ্গে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে তাপমাত্রা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, অনাবৃষ্টি, তাপপ্রবাহ, প্রচণ্ড খরায় রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামছে দ্বিগুণ হারে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২৫-৪০ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে মাটির নিচে পানি থাকবে না।

সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টির পানির অপচয় না করে এই পানিকে কার্যকরভাবে মাটির নিচে পৌঁছে দিতে হবে। আর নদীনালার পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেচে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য নদীনালা, খালবিল খনন করে পানির ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া অধিক সেচনির্ভর বোরোর পরিবর্তে কম সেচের ফসল আবাদ করতে হবে। বরেন্দ্র এলাকায় প্রচুর বৃক্ষরোপণ করতে হবে, তাহলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত বাড়বে। বৃষ্টিপাত বাড়লে পানির স্তর স্বাভাবিক থাকবে।

মধুখালীতে দুই ভাই হত্যা: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
মধুখালীতে দুই ভাই হত্যা: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল
মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। 

রবিবার (১২ মে) জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. সিদ্দিক আলী গত ৭ মে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

পরে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের সম্পৃক্ততা ছিলো। এটি বিভিন্ন ভিকটিমদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। তবে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে দুই ভাই জড়িত কিনা সে বিষয়ে কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্দিরে কে আগুন দিয়েছে সেটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। দুই ভাই কিংবা অন্য কোন শ্রমিক আগুন লাগিয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বেশকিছু বিষয় উঠে এসেছে। তবে যেহেতু এটি একটি আদালতে বিচারাধীন বিষয় তাই এ বিষয়ে আমরা বেশি কিছু বলতে পারছিনা।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অনেকগুলো অবজারভেশন দিয়েছে। এসব স্থানে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাতে সিসি ক্যামেরা থাকে এবং অগ্নি নির্বাপকের যাতে ব্যবস্থা থাকে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এ ধরনর কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে কারো নিকট থেকে কোন প্রমাণস্বরুপ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’ 

গত ১৮ এপ্রিল রাতে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে দুই ভাই ও নির্মাণ শ্রমিক আরশাদুল খান (১৯) ও আশরাফুল খানকে (১৫) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন শ্রমিক ও পুলিশ আহত হন।

এ ঘটনার পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. সিদ্দিক আলীকে প্রধান করে প্রথমে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সাত সদস্যে উন্নীত করা হয়।

সঞ্জিব দাস/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে: সিসিক মেয়র

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে: সিসিক মেয়র
ছবি : খবরের কাগজ

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। 

রবিবার (১২ মে) দুপুর ২টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে অ্যাসেসমেন্ট/রি-অ্যাসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর কর নিরূপণক্রমে তালিকা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ২৭টি ওয়ার্ডে রিভিউ বোর্ড গঠন করা হবে। পূর্বনির্ধারিত সময় বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবেদন রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের অ্যাসেসমেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’   

সংবাদ সম্মেলনের আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সিসিক মেয়র।

মেয়র বলেন, ‘চলমান অ্যাসেসমেন্ট/রি-অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। সিলেটের সচেতন নাগরিক ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের পরিষদের আলোচনা হয়েছে। সর্ব সম্মতিক্রমে সহনীয় মাত্রায় ট্যাক্স নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

মেয়র জানান, করারোপ নিয়ে যারা আপত্তি করেছেন তাদের আবেদন শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে রিভিউ করা হবে। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণের স্বার্থ প্রাধান্য বিবেচনা করে আমরা কাজ করব। এখানে কারও প্রতি অবিচার করা হবে না। যেকোনো বিষয় নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে সিসিক। ইতোমধ্যে যারা অভিযোগ ও স্মারকলিপি দিয়েছেন তাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে স্বচ্ছতার মাধ্যমে দেখা হবে। সবার সহযোগিতায় এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। 

তিনি বলেন, ‘অনেক প্রভাবশালী কোনোদিন কর পরিশোধ করেননি। অনেকে আবার অনেক বছর ধরে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন না। এভাবে চললে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কীভাবে হবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

২০১৯-২০ সালে ফিল্ড সার্ভে করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট পরিষদের বিশেষ সভায় সেটি পাস হয়। কর ধার্য সন ধরা হয় ২০২১-২২ অর্থবছর। মোট ৭৫ হাজার ৪৩০টি হোল্ডিংয়ে ১১৩ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ৪৪৫ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেটি অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তী ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেটি অনুমোদন করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ এপ্রিল অ্যাসেসমেন্ট/রি-অ্যাসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর কর নিরূপণক্রমে তালিকা প্রকাশ করা হয়। করারোপের ওপর তালিকা দেখে আপত্তি জমার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ মে পর্যন্ত।

রবিবার (১২ মে) পরিষদের সাধারণ সভায় সেটি বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ৯ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের বুথ থেকে তথ্য নিয়েছেন মোট ২৪ হাজার ৪৬৭ জন, আপত্তি ফরম নিয়েছেন ২২ হাজার ৪৪০ জন। মোট বকেয়া আদায় হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। 

এর আগে বেলা ১১টায় সভাকক্ষে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাধারণ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/

রাজবাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ২০

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:১১ পিএম
রাজবাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ২০
ছবি: খবরের কাগজ

রাজবাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে কল্যাণপুর নতুন রাস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, কুষ্টিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটিতে ৩৫ থেকে ৪০ জন যাত্রী ছিল। পথে কল্যাণপুর নতুন রাস্তা এলাকায় এলে বাসের সামনে থাকা একটি ভ্যান ও একটি ইজিবাইককে ওভারটেক করতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে বাসটি উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠান।

বাসের যাত্রী আমেনা বেগম বলেন, ‘আমি রাজবাড়ী মুরগির ফার্ম থেকে বাসে উঠি। নতুন রাস্তার এখানে আসার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই উল্টানো দিয়ে বাস রাস্তার পাশে পড়ে গেল। নিজেই জানালার কাচ ভেঙে বের হই। হাত দুই জায়গায় কেটে গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে চালক, হেলপার সবাই পলাতক।’

আরেক যাত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমি পাংশা থেকে বাসে উঠি গোয়ালন্দ যাওয়ার জন্য। চালকের পেছনে বসে ছিলাম। অনেকক্ষণ ধরে চালক আর হেলপার গল্প করছিল। সামনে একটা ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে বাস উল্টে যায়। স্থানীয়রা জানালা ভেঙে আমাকে বের করে। আমার মাথা কেটে গেছে।’

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আহ্লাদিপুর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সার্জেন্ট মাহমুদ-উন-নবী জানান, দুর্ঘটনার পরেই বাসটির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। ফরিদপুর থেকে রেকার এনে বাসটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

সুমন বিশ্বাস/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার রোগী

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১১:৫২ এএম
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার রোগী

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে (৫০) ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হক (৫৫) নামে এক রোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১২ মে) বিকেলে এ ঘটনায় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তার পরিচয় বলতে পারছে না। মাসখানেক আগে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে গেলে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই থেকে ওই নারী কখনো হাসপাতালে বারান্দায় আবার কখনো হাসপাতালে চত্বরে ঘোরাঘুরি করেন।

শনিবার (১১ মে) রাত ৩টায় সুযোগ বুঝে মোজাম্মেল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে পাশের অ্যাম্বুলেন্সচালকরা এসে মোজাম্মেলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল গত ১০ মে থেকে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) রঞ্জু আহমেদ বলেন, ‘একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আমরা মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি। থানায় মামলা হয়েছে, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে৷ ওই নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

রনি মিয়াজী/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

‘উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে’

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১১:৫১ এএম
‘উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে’
ছবি : খবরের কাগজ

কৃষকদেরকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করলে হয়তো দাম কমে যাবে। কিন্তু এসব পণ্য আমদানি করলে আমাদের দেশের কৃষকরা ভাল দাম পাবেন না। এতে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। তাই এসব পণ্যের মৌসুম আসলেই আমরা পণ্যগুলো আমদানি অনুমতি বন্ধ করে দিই। কাজেই কৃষকদেরকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। এটাই সরকারের পলিসি।’

রবিবার (১২ মে) নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ক্রেতা চাইবে কম দামে পণ্য কিনতে। কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে লাভ করতে হবে। কিন্তু কেউ যাতে অতি মুনাফা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ব্যবসা শুরু করতে কিছু সার্টিফিকেট লাগে। আবার আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রেও নানা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। আমদানির অনুমতিপত্র লাগে। আবার কোনো কোম্পানি বা সমিতি খুলতে গেলে রেজিস্ট্রার বা জয়েন রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে যেতে হবে। আমাদের যে ব্যক্তিতান্ত্রিক অর্থনীতি তা এসব কোম্পানির ওপর ভর করেই দাঁড়িয়ে যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো কোম্পানিগুলো ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে পারে। তবে বড় ব্যবসা করতে গেলে কোম্পানি খুলতে হবে। আগে একটা কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তি লাগতো। ২০২০ সালের আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তিও একটি কোম্পানি খুলতে পারবেন। রপ্তানিকারক কোন কোন দেশে পণ্য রপ্তানি করলে ব্যবসায়ী লাভবান হবেন তা পরামর্শ দেওয়ার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো রয়েছে।’  

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব জসিম উদ্দিন, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক নাছরিন আক্তার, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম আকতার হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

তারেক মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/