কিশোরগঞ্জে মধ্যরাতে ঘরে হামলা চালিয়ে এক গর্ভবতী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের গাইটাল ব্যাংক কলোনি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইটাল ব্যাংক কলোনি রোডে জেসমিন তার স্বামীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন হিমেলের বাসায়। সেখানে পাশের বাসার কুদ্দুস মিয়ার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ছিল। এর জেরে মধ্যরাতে বাসায় ঢুকে কুদ্দুস মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন জেসমিন ও তার স্বামী আলমের উপর হামলা করে। এ সময় জেসমিনের ভাগিনা রিফাত মিয়াকেও মারধর করে ও ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী মো. আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় বাসার সামনে দোকানদার আলী আকবরের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল আমার স্ত্রীর। এরপর মাঝরাতে কেউ দরজায় ইট দিয়ে পেটাতে থাকলে আমি দরজা খুলি। এরপর কুদ্দুসের পরিবারের সবাই লাঠিসোঠা নিয়ে আমার ও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর উপর আক্রমণ করে। কুদ্দুসের মেয়ে মরিয়ম আমার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে কয়েকটা লাথি মারে। ডাক চিৎকারে কারও সাহায্য না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা এখানকার স্থানীয়। ভাড়াটিয়া বাড়িতে থেকে আমাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। তাই ঘরের ভেতরে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছি।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাসলিমা আক্তার/অমিয়/