![ঠাকুরগাঁও নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ যান, নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স](uploads/2024/05/21/Thakurgaon-1716260779.jpg)
মহাসড়কে ট্রাক্টর এবং নসিমন অবৈধ যানবাহন হিসেবেই পরিচিত। ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ির নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন। কোনো রকম প্রশিক্ষণ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই এসব গাড়ি চালান অধিকাংশ চালক। তবে নির্বাচনের মালামাল আনা-নেওয়া করার সময় বৈধ হয়ে যায় এই ট্রাক্টর ও নসিমন।
আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ে হতে যাচ্ছে সদর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাচন। এ কারণে নির্বাচনি এলাকায় পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী। তবে এসব সামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিসের এখন প্রধান ভরসা ট্রাক্টর ও নসিমন। আর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পাওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবৈধ এসব পরিবহনে রওনা দিচ্ছেন নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে। জেলার দুই উপজেলার ২৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে পাঠাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে ফিটনেসবিহীন এসব বাহন।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আসলাম নামে আনসার সদস্য বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্বাচন অফিস যদি ভালো কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা করত, তাহলে আমাদের জন্য নিরাপদ হতো। সরকারের এরকম গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের পাঠানো হচ্ছে এসব যানে। এসব পরিবহনে যাতায়াতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’
এ বিষয়ে সাংবাদিক মজিবর রহমান খান বলেন, ‘মহাসড়কে নসিমন, ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ। ভোট এলেই এসব অবৈধ যানবাহন বৈধ হয়ে যায়। এসব যানবাহন ঠিকমতো ব্রেক হয় না, যারা চালাচ্ছেন তাদের ঠিকমতো দক্ষতাও নেই। আর চালকদের লাইসেন্স, সেটাও নেই। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।’
লাইসেন্সবিহীন এসব যান এখানে কেন নিয়ে এসেছেন এমন প্রশ্নে ট্রাক্টরচালক মতি রহমান বলেন, ‘আমাদের গাড়ির লাইসেন্স হয় না আর আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।’ সরকারি কাজে এমন অবৈধ গাড়ি কেন আপনারা নিয়ে এসেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনের সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার কাজে ট্রাক্টর এবং নসিমন ব্যবহার করা হয়। প্রশাসন থেকে আমাদের ডাকা হয়েছে, তাই আমরা এসেছি।’
সরকারি কাজে এ ধরনের ‘অবৈধ যান’ ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন অফিসার মনজুরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৫০০-এর ওপরে গাড়ি লাগবে। জেলায় যেসব বাস-ট্রাকসহ অন্য গাড়ি রয়েছে, সেগুলো দিয়ে আমরা নির্বাচন করতে পারব না। তাই বাস্তবতায় আমাদের অনেক কিছু মানতে হয়।’