![বাগেরহাটে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত : বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি](uploads/2024/05/26/bagerhat-photo-1716706205.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। থেমে থেমে বাতাস ও কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ বলেন, রিমাল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করায় এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারির পর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের প্রতিটি স্টেশনসহ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের বণ্য প্রাণীদেরও।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিন হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিলের পাশাপাশি উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকাগুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে মোংলা বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট নম্বর ‘থ্রি’ জারি করা হয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজসহ অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ। মোংলা বন্দরের জেটিসহ পশুর চ্যানেলে নোঙর করা দেশি-বিদেশি ছয়টি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ নোঙ্গরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরের অপারেশনাল সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
রিফাত মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/