![প্রার্থীর ঋণখেলাপের তথ্য দিতে ছুটি ও অফিস সময়ের পরেও ব্যাংকগুলোকে কাজ করার নির্দেশ](uploads/2023/12/01/1701434050.1701103340.bbkk.jpg)
জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংকলন ও সরবরাহ করতে প্রয়োজনে সরকারি ছুটির দিনেও কাজ করতে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে গত ২৮ নভেম্বর জারি করা 'সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার' শিরোনামের পরিপত্রটিও সংযোজন করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জারি করা নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে ‘সব ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন হতে বাছাই সম্পন্ন না য়া পর্যন্ত সময়কাল (সরকারি/সাপ্তাহিক ছুটি এবং অফিস সময়ের পরে হলেও) ক্ষেত্রমতে নিজ নিজ দপ্তরে কিংবা রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকবেন এবং রিটার্নিং অফিসার কোনো তথ্য কিংবা সহায়তা চাইলে তা সরবরাহ করবেন।’
নির্দেশে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর শাখা পর্যায় থেকেই প্রার্থীদের ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তৎপূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে দেবেন।
এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যাবস্থাপক/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সব হিসাব হালনাগাদ করে খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন।
শাখা ব্যবস্থাপক বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অথবা অন্য কোনো উৎস হতে প্রাপ্ত প্রার্থী তালিকার সাথে শাখাসমূহে হালনাগাদকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা মিলিয়ে দেখবেন এবং তার শাখাভুক্ত কোনো ঋণ খেলাপি হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র অফিসারের নিকট থেকে প্রার্থীদের (পিতা, মাতা, স্বামীর নাম ও ঠিকানাসহ) তালিকা সংগ্রহ করবেন। প্রাপ্ত তথ্যসহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সিইও, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর নিকট মেইলযোগে পাঠাবেন।
কোনো খেলাপী ঋণগ্রহীতা মনোনয়নপত্র দাখিল করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা পর্যায়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অবিলম্বে ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে ব্যবস্থা নেবেন। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য ও কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকবেন। যে সব প্রার্থী নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তে অন্যত্র ব্যাংক হিসাব অথবা ঋণ হিসাব পরিচালনা করে আসছেন, তাদের ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে সরবরাহ করতে বিশেষ দূত পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শাখা পর্যায় থেকে ওইসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের 'ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো-(সিআইবি)' তে আপডেট করার নির্দেশটি আগেই দেওয়া হয়েছিলো। সিআইবি ওই তথ্যও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের এবং নির্বাচন কমিশনের নিকট সরাসরি বা বাহক মারফত বা ফ্যাক্স কিংবা ই-মেইলযোগে পাঠাবে। ঋণ খেলাপ সম্পর্কিত তথ্যের নির্ভুলতার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপর বর্তাবে।
ভুল তথ্য পরিবেশন বা ঋণ খেলাপ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপনে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য হন না। ফলে খেলাপি হলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না।
এমএ/