সরকারি চাকরি ছেড়ে কুল চাষে সফল শোয়েব আক্তার । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সরকারি চাকরি ছেড়ে কুল চাষে সফল শোয়েব আক্তার

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
সরকারি চাকরি ছেড়ে কুল চাষে সফল শোয়েব আক্তার
কর্মচারীরের সঙ্গে কুল চাষ করছেন শোয়েব আক্তার। ছবি : খবরের কাগজ

বর্তমান সময়ে সবাই যেখানে সকারি চাকরির আশায় থাকেন। সেখানে ব্যতিক্রম নড়াইলের শোয়েব আক্তার। সরকারি চাকরি ছেড়ে হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা। নিজে সফল হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান করেছেন অনেক যুবকের। 

২০০৮ সালে বনবিভাগের মালি পদে চাকরি পান। কিন্তু তিন মাস পর চাকরি ছেড়ে বাড়িতে এসে নার্সারি গড়ে তোলেন। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে নড়াইলে এসে বিভিন্ন প্রকার কুল চাষ শুরু করেন। 

শোয়েব আক্তার বলেন, ‘সরকারি চাকরি ভালো না লাগার কারণে তিন মাস পর চাকরি ছেড়ে চলে আসি। বাড়িতে এসে ছয় একর জমিতে নার্সারি করি। তারপর নড়াইলে এসে দুই একর ৫০ শতক জমিতে বিভিন্ন কুল চাষ করি। এখানে আমার প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কুল বিক্রি শুরু করেছি, খরচ বাদে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভ হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখানে কাজ করে ১০টি পরিবার সংসার চালাচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ 

শোয়েব আক্তারের কুল খেতে কাজ করা সোহান হোসেন বলেন, আমি কুল খেতে কাজ করি। মাস শেষে ১৫ হাজার টাকা বেতন পাই।’ 

সবুজ আলী বলেন, ‘কুল খেতে সার, ওষুধ দেওয়া, কুল তোলাসহ অন্য কাজ করি। প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা বেতন পাই।’
পাইকারি বরই ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই খেতের বরই আমরা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কেজি কিনে নিয়ে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকি।’

নড়াইল পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুবির কুমার দে বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তার বাগানে যেভাবে ফলন হয়েছে কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকোনুজ্জামা বলেন, ‘শোয়েব আক্তারের কুল খেত এখানকার বেকার যুবকদের অনুকরণীয় হতে পারে। স্বল্প খরচে অনেক বেশি লাভ করতে চাইলে কুল চাষের বিকল্প নেই। এক বছরেরও কম সময়ে জমি থেকে কুল তুলে বাজারজাত করা সম্ভব। সদর উপজেলায় এ বছর ৪২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার কুল আবাদ করা হয়েছে।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘শিক্ষিত বেকার যুবকরা লেখাপড়া শেষ করে ঘরে বসে না থেকে তারা সহজেই কৃষি উদ্যোক্তা হতে পারেন। অল্প পুঁজি এবং কম সময়ে তারা মিশ্র ফলের বাগান করে সহজেই লাভবান হতে পারেন। শোয়েব আক্তারের কুল না দেখলে কেউ বুঝতে পারবেন না ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয় করে এক বছরেরও কম সময়ে কীভাবে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় করা যায়। জেলায় এ বছর ৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার কুলের আবাদ হয়েছে। 

পাওয়ার গ্রিডের ২৫০ কোটি প্রিফারেন্স শেয়ার অনুমোদন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
পাওয়ার গ্রিডের ২৫০ কোটি প্রিফারেন্স শেয়ার অনুমোদন
প্রতীকী ছবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রায় ২৫০ কোটি প্রিফারেন্স শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রবিবার (১৯ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯১০তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কমিশন সভায় পাওয়ার গ্রিডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৫০ কোটি ৫৪ লাখ ০৪ হাজার ৯৭৬টি নন কিউমুলেটিভ প্রিফারেন্স শেয়ারের প্রস্তাব অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উক্ত প্রিফারেন্স শেয়ার সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ইস্যু করা হবে।

প্রিফারেন্স শেয়ার কোম্পানির সাধারণ শেয়ারজনিত পরিশোধিত মূলধনের অংশ হবে না

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা বাদে অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পিজিসিবি। লোকসান হওয়ার কারণে কোম্পানিটি সংরক্ষিত আয় থেকে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফলে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সংরক্ষিত আয় কমে ১০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৭৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ১৯৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ৩৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা নিট লোকসান হয়েছিল কোম্পানিটির।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে আসা পাওয়ার গ্রিডের অনুমোদিত মূলধন ১৫ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮ হাজার ৫৫৪ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

রবিবার কোম্পানিটির সবশেষ শেয়ার দর ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। 

ইউনিক্রেডিটের ৪৬ কোটি ইউরোর সম্পদ জব্দ রাশিয়ার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
ইউনিক্রেডিটের ৪৬ কোটি ইউরোর সম্পদ জব্দ রাশিয়ার

ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ইউনিক্রেডিটের ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ইউরো মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি আদালত সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের।

আদালতের নথির বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলোর অনেকেই রাশিয়া থেকে নিজেদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে নিতে শুরু করে। এরপর থেকে পশ্চিমা ব্যাংক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে মস্কো। 

সম্প্রতি ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক জানায়, ইউরোজোনের ঋণদাতা সংস্থাগুলোর উচিত রাশিয়া থেকে দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া। ইসিবির এমন ঘোষণার পরই ইতালির মিলানভিত্তিক ব্যাংকটির বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের খবর সামনে এল।
ইউনিক্রেডিটের প্রধান রাশিয়ান সাবসিডিয়ারির সর্বশেষ আর্থিক বিবরণ অনুসারে, জব্দ করা অর্থ দেশটিতে ইউনিক্রেডিটের মোট সম্পদের প্রায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রাশিয়ার ইউনিক্রেডিটের সহযোগী সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন শেয়ার ও তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত শুক্রবার রাশিয়ান তেল ও গ্যাস খাতের বড় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের একটি সহযোগী সংস্থা রুস্কিম্যালিয়েন্সের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউনিক্রেডিট রাশিয়ার বৃহত্তম ইউরোপীয় ঋণদাতাদের একটি। দেশটিতে তাদের সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি মানুষ কাজ করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইতালীয় ব্যাংকটির প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের রাশিয়ান ইউনিট প্রথম প্রান্তিকে ২০ কোটি ৩০ লাখ ইউরো নিট মুনাফা করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৯ কোটি ৯০ লাখ ইউরো। 

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ গোটা বিশ্বকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। ইউরোপেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাশিয়া ইউরোপের প্রধান প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল সরবরাহকারী। যুদ্ধের কারণে এই সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের দুটি প্রধান শস্য উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারী দেশ। যুদ্ধের কারণে শস্য উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইউরোপের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ এটি খাদ্য আমদানির জন্য অনেকাংশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।

জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিচ্ছে। ব্যবসাগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে এবং ভোক্তারা কম খরচ করছে। এটি বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষতির দিকে ধাবিত করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বেড়েছে। এটি বিনিয়োগ হ্রাস করছে এবং ব্যবসায়িক আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।

সংকটাপন্ন আবাসন খাতে বিশাল অর্থ ঢালছে চীন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
সংকটাপন্ন আবাসন খাতে বিশাল অর্থ ঢালছে চীন
চীনের নিংবোতে একটি নির্মাণধীন সাইটে কাজ করছেন এক শ্রমিক। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির আবাসন খাতে যে সংকট চলছে, তা মোকাবিলা করার জন্য চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো সামনে এনেছে। এরই অংশ হিসেবে আবাসন খাতে বিশাল পরিমাণ অর্থ ঢালছে সরকার। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমটির খবরে বলা হয়, আবাসন খাত বাঁচাতে, চীন সরকারের নতুন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- বাড়ির ক্রেতাদের জন্য প্রয়োজনীয় আমানতের পরিমাণ কমিয়ে আনা এবং অবিক্রীত সম্পত্তি কিনতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করা।

বিবিসি বলছে, চীনের আবাসন বাজারের সমস্যাগুলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব ফেলছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত শিল্পটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ছিল।

পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) বলেছে, এটি আবাসন খাতকে জনসাধারণের নাগালে নিতে ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ইউয়ানের (৪১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বা ৩২ দশমিক ৮০ বিলিয়ন পাউন্ড) একটি সুবিধা দেবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর তাও লিং বলেছেন, এই অর্থ বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হবে, অবিক্রীত বাড়ি কেনার জন্য স্থানীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোকে (প্রতিষ্ঠান) সহায়তা করা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া অনুসারে, চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লাইফেং সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকারগুলো ‘যুক্তিসঙ্গত মূল্যে’ সম্পত্তি কিনতে পারবে এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন হিসেবে সেগুলো বিক্রি করতে পারবে।

তবে কোন প্রতিষ্ঠান কতগুলো সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবে বা এই উদ্যোগটি কোন সময়কাল পর্যন্ত চলবে- তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি হে লাইফেং।

খবরে বলা হয়, দেশের (চীন) কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকরভাবে বন্ধকি সম্পত্তির ন্যূনতম সুদহার বাতিল করেছে এবং প্রথমবার বাড়ি কেনা ক্রেতাদের জন্য ন্যূনতম ডাউন পেমেন্ট ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ন্যূনতম আমানত ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

শুক্রবারের আগে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এপ্রিলে টানা দশম মাসে নতুন বাড়ির দাম কমেছে। এপ্রিল মাসের দশমিক ৬০ শতাংশ হ্রাস, ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ মাসিক পতনের রেকর্ড।

শুক্রবার পৃথক একটি পরিসংখ্যানে দেখে গেছে, ধুঁকতে থাকা চীনের রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি কান্ট্রি গার্ডেনের সম্ভাব্য লিকুইডেশ নিয়ে হংকং আদালতের একটি শুনানি আগামী ১১ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, লিকুইডেশন হলো একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি কোম্পানির কার্যক্রম শেষ করা হয়। কোম্পানিটির সম্পদ ও সম্পত্তি পুনরায় পাওনাদারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

মূলত, কান্ট্রি গার্ডেন চীনের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারে মন্দার কারণে কোম্পানিটি অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। কান্ট্রি গার্ডেনের অনেক ঋণ রয়েছে এবং তারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছে না। এ কারণে হংকং আদালত কান্ট্রি গার্ডেনের লিকুইডেশনের আবেদন বিবেচনা করছে। যদি আদালত লিকুইডেশনের আদেশ দেয়, তাহলে কান্ট্রি গার্ডেনের সব কর্মী তাদের চাকরি হারাবেন এবং কোম্পানির সব গ্রাহক তাদের অর্থ হারাতে পারেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কান্ট্রি গার্ডেনের লিকুইডেশন চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। এটির কারণে অন্যান্য রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের আরও ধুঁকতে হতে পারে এবং বাজারে আরও মন্দা তৈরি করতে পারে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, চীনের আবাসন খাতের ডেভেলপাররা ২০২১ সাল থেকে একটি বড় আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন। কারণ সে বছর (২০২১ সালে) চীনা কর্তৃপক্ষ বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ ঋণ নিতে পারে, সেটি রোধ করার জন্য ব্যবস্থা চালু করেছিল। তারপর থেকে বেশ কিছু বড় ডেভেলপার কোম্পানি ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে।

জানুয়ারিতে এভারগ্রান্ডে নামের বিশ্বের সবচেয়ে ঋণী ডেভেলপার কোম্পানিকে, হংকংয়ের একটি আদালত কর্তৃক লিকুইডেশনের আদেশ দেওয়া হয়।

চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু ২১ হাজার বেশি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু ২১ হাজার বেশি
ছবি : খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খুলনায় কোরবানিযোগ্য পশুর পরিচর্যা ও প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। এ বছর খুলনা জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৩টি। প্রস্তুত আছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮টি। বেশি আছে ২১ হাজার ৮৩৫টি। আর কোরবানির জন্য প্রস্তুতের বাইরেও মজুত পশুর মধ্যে গরু আছে ৬৭ হাজার ৫৪টি, ছাগল ও ভেড়া আছে ৯৮ হাজার ১৯৮টি। জেলায় এবার গরুর চাহিদা ৫৮ হাজার ২৫৬টি।

ইতোমধ্যে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য খুলনায় ৩৭টি হাটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি অস্থায়ী ও বাকি ৩১টি স্থায়ী হাট। খুলনার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসবে নগরীর জোড়াগেট এলাকায়।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর খুলনায় কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। ফলে কোরবানির পশুর জন্য কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি।’

জানা গেছে, এবার ডুমুরিয়া উপজেলার খামারিরা সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৪৭৯টি ষাঁড়, ১০ হাজার ৬০৭টি বলদ ও ৯ হাজার ৭৫০টি গাভি প্রস্তুত করেছেন। ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া বিসমিল্লাহ্ অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার কামাল হোসেন সুজন বলেন, ‘প্রাকৃতিক উপায়ে উৎকৃষ্ট মানের বড় ষাঁড় ও বলদ গরু লালন-পালন করা হয়। এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খামারে ৬৭টি কোরবানিযোগ্য ষাঁড় আছে। আকার ভেদে যার দাম ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।’ তিনি বলেন, ‘গরুর খাদ্যের দাম বাড়তি এতে লালন-পালনের খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আশা করি এবার কোরবানির পশুর হাটে ভালো দাম পাব।’

বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ‘২০২৩ সালে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৮টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে খুলনায় ছিল প্রায় ৯২ হাজার ৪০০টি, বাগেরহাটে ১ লাখ ২ হাজার ৩০০, সাতক্ষীরায় ১ লাখ ১৫ হাজার, যশোরে ৮০ হাজার ১০০, ঝিনাইদহ জেলায় ২ লাখ ৫ হাজার, মাগুরায় ২৬ হাজার ৮০০, নড়াইলে ৫৪ হাজার ৯০০, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৪৮, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০, মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু ছিল। খুলনা বিভাগে গত বছর ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি পশু কোরবানি করা হয়।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা খামারিদের প্রস্তুত করা পশুকে স্টেরয়েড হরমোন ও কেমিক্যাল না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছি। গবাদিপশুকে পোলট্রি ফিড বা বয়লার ফিড খাওয়ানো যাবে না। গরুর পরিচর্যায় পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। 

এ ছাড়া খুলনা মহানগরী ও ৯টি উপজেলায় কোরবানি উপলক্ষে ৩৭টি পশুর হাটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ছয়টি অস্থায়ী ও বাকি ৩১টি স্থায়ী হাট।’ খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ‘নির্দিষ্ট হাটের বাইরে এবার কোরবানির ঈদে রাস্তা বন্ধ করে পশুর হাট স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না।’

পাকেরহাটে বাড়তি টোল আদায় করলেও নেই উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
পাকেরহাটে বাড়তি টোল আদায় করলেও নেই উন্নয়নের ছোঁয়া
ছবি : খবরের কাগজ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার প্রায় ২০০ বছরের রসুন কেনাবেচার ঐতিহ্যবাহী পাকেরহাট। সপ্তাহে দুই দিন রসুন কেনাবেচা হয় এ হাটে। প্রতি হাটে কোটি টাকার বেশি কেনাবেচা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, ইজারাদার অবৈধভাবে অতিরিক্ত টোল আদায় করেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই টোল আদায় করা হয়। তবুও কোনো উন্নয়নের ছিটেফোঁটা নেই এই রসুন হাটের। এতে রসুন কেনাবেচায় পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।

দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলার অনেক বিক্রেতা রসুন বিক্রি করতে এ হাটে আসেন। প্রায় সারা দেশের ক্রেতা এ হাটে আসেন রসুন কিনতে। প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার বসে রসুনের হাট। প্রতি হাটে কোটি টাকার রসুন কেনাবেচা হয়। রসুনের মৌসুমে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় বেচাকেনা।

সিরাজগঞ্জ থেকে রসুন কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, অন্য হাটের চেয়ে পাকেরহাটে টোল আদায় করা হয় কয়েক গুণ বেশি। অবৈধভাবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই নেওয়া হয় টোল। এতে বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ হাটটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

রসুন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, হাটটিতে পর্যাপ্ত জায়গা, কোনো শেড ও টয়লেট নেই। এতে রসুন কেনাবেচায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। বর্ষাকালে দুরূহ হয়ে পড়ে বেচাকেনা।

রসুনের হাট ইজারাদার মো. মোতাহার আলী শাহ বলেন, ‘এখানে রসুন হাটের জায়গা খুবই সংকীর্ণ। গত বছর প্রায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে হাটটি ইজারা নেওয়া হয়েছে। হাটের ইজারামূল্য বেশি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে টোল আদায় করা হয়।’ 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আযম চৌধুরী বলেন, ‘পাকেরহাট ২০০ বছরের পুরোনো একটি হাট। এখান থেকে রসুন দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। রসুনের হাটের কলেবর বৃদ্ধি পেলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্য অবকাঠামো না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাট ইজারাদারের ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে টোল আদায়ের বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’