ঢাকা ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
English

রেস্তোরাঁ ব্যবসায় সফল তাহমিনা পারভীন

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
রেস্তোরাঁ ব্যবসায় সফল তাহমিনা পারভীন
তাহমিনা পারভীন শ্যামলী

তাহমিনা পারভীন শ্যামলী, বগুড়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম। যারা এ শহরের বাসিন্দা বা বগুড়ায় যাওয়া-আসা করেন তাদের অনেকেই তাকে চেনেন সদালাপী একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকায় তিনি রোচাস হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছেন প্রায় ৫ বছর ধরে। বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদসহ আরও কয়েকজন এ হোটেলটি প্রতিষ্ঠা করলেও রোচাস পরিচালনার দায়িত্বে আছেন শ্যামলী। 

তিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড (বিটিইবি) ও ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএ) থেকে রান্না করা, খাদ্যমান ও পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও কোর্স শেষ করেছেন। এখন তিনি পড়ালেখা করছেন প্রশিক্ষক ও পরীক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। ১৯৯২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে। বগুড়া শহরে সবচেয়ে মানসম্পন্ন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ভিএম বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল হিসেবে পরিচিত। হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করেন  ‘সূর্য তোরণ’ নামে সাপ্তাহিক একটি পত্রিকা। সাংবাদিকতাতেও ভালো করতে চান শ্যামলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়ালেখা করছেন সান্ধ্যকালী মাস্টার্স কোর্সে। ইতোমধ্যে প্রথম সিমেস্টার শেষ করেছেন।  

কেন হোটেল মোটেল ব্যবসায় আসা এ প্রশ্নের জবারে শ্যামলী বলেন, ‘বাবা তাইফুল ইসলাম তোফা ১৯৭৯ সালে বগুড়ায় প্রথম শুরু করেন চাইনিজ রেস্তোরাঁর ব্যবসা। সে সময় ওই ব্যবসায় যে জৌলুস ছিল তাই আমাকে হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় আকৃষ্ট করে। আমার বাবা তাইফুল ইসলাম তোফা বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকায় বগুড়ায় প্রথম চাইনিজ রেস্টুরেন্ট বৈকালী প্রতিষ্ঠা করেন। একটা সময় রেস্টুরেন্টি বন্ধ করে দেন। পরে শহরের সাতমাথা এলাকায় সপ্তপদী মার্কেটে ১৯৮৬ সালে শুরু করেন ম্যান্ডোলিন হোটেল অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পারিবারিক ঐতিহ্য হওয়ায় আমি তা ধরে রাখার চেষ্টা করছি।’  

হোটেল-মোটেল আর রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন এ প্রশ্নের জবাবে তাহমিনা পারভীন শ্যামলী বলেন, ‘প্রথম বাধা আসে পরিবারের পক্ষ থেকে এরপর অর্থনৈতিকসংকট মোকাবিলা করতে হয়। ব্যাংক কম সুদে সহজ শর্তে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলেও আমাদের মতো নারীদের ঋণ পাওয়া সহজ ছিল না। মানসিক শক্তি আর কাছের মানুষদের প্রেরণায় সকল সংকট দূর করেছি। আর্থিকসংকট মোকাবিলার জন্য পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করেছি।’

১৯৯৪ সালে বাবা তাইফুল ইসলাম তোফা মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ম্যান্ডোলিনেই তার হাতেখড়ি। টানা কয়েক বছর ম্যান্ডোলিন পরিচালনার পর শহরে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলে ম্যান্ডোলিন হোটেলের কিছু অংশ হুকুমদখল করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় তার প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে রানার প্লাজা বিপণিবিতানে ম্যান্ডোলিন ক্যাফে নামে নতুন আরেকটি রেস্তোরাঁ দেন। সেখানে তিনি বিক্রি করেন চাইনিজ ও ফাস্ট ফুড। তিনি একই সঙ্গে পরিচালনা করেন ম্যান্ডোলিন ক্যাফে ও  রোচাস। 

শ্যামলী তার পাশাপাশি অন্য নারীদের উদ্যোক্তা করতে প্রায়ই আয়োজন করেন নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও মেলার। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে কী কী করছেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত তিন বছরে অন্তত ২৫টি কর্মশালার আয়োজন করেছি। পিঠা আর গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে আয়োজন করেছি অন্তত ১২টি মেলার। এসব মেলায় যারা এসেছেন তাদের অনেকেই এখন সফল উদ্যোক্তা, যেমন এনএস ফুড কর্নার ও রিদিস ডাইন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এসব আয়োজনের উদ্দেশ্য নারীদের সাবলম্বী করার পাশাপাশি গ্রামীণ সাংস্কৃতির বিকাশ আর ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা। এ ছাড়া রেসকিউ আওয়ার পিপল এভার (রোপ) নামে একটি বেসরকারি  উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। প্রতিষ্ঠানটি নারীদের উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ এবং সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ নিয়েও কাজ করছে। রোপ ইতোমধ্যে বগুড়ায় কর্মরত ৩০ জন সাংবাদিক নিয়ে এক দিনের মৌলিক সাংবাদিকতাবিষয়ক  একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।’

নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা নিয়ে  কাজ শুরু করেছে রোপ। সমাজসেবা ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে নিবন্ধন করা বেসরকারি এ উন্নয়ন সংস্থা আর্থিকসংকটের কারণে লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব কিছুর পাশাপাশি পরিবেশ নিয়েও কাজ করছেন শ্যামলী। আরও নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য কী প্রয়োজন এ প্রশ্নের জবাবে শ্যামলী বলেন, ‘নারীদের আরও সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেন বারবার সুযোগ-সুবিধা না পায়। নারীদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এসব কাজ তার পক্ষে অনেকটাই করা সম্ভব যদি রোপকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করা যায়। একা ভালো থাকার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই, অন্যকেও ভালো রাখা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব তাই অন্যকে ভালো রাখতে তাদের দায়িত্ব নিতে চাই।’ 

রোচাস রেস্টুরেন্টে কী ধরনের খাবার পাওয়া যায় এ প্রশ্নের জবাবে শ্যামলী বলেন, ‘দেশীয় সব ধরনের খাবারের পাশাপাশি পাওয়া যায় চাইনিজ, ইতালিয়ান, আমেরিকান ও কন্টিনেন্টাল খাবার। তবে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবারের মধ্যে সামুচা ও কালাভুনা খিচুরি সুনাম অর্জন করেছে রোচাস। বগুড়ার মতো একটি শহরে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সহজ ছিল না। পদে পদে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। হোটেল রেস্তোরাঁর ব্যবসায় নারীদের সম্পৃক্ততা আমাদের সমাজ সহজভাবে নেয় না, এটি একটি বড় সমস্যা। তবে এ সমস্যা আমি পার করতে পেরেছি রাজনীতিবিদ বাবার সুনাম ও প্রভাব পতিপত্তির কারণে। কিন্তু সাধারণ নারীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই এ বাধা ডিঙানো সহজ হয় না। সে কারণে তারা ব্যবসা শুরু করলেও টিকে থাকতে পারে না।

মিউচুয়াল ফান্ডের ৭৫ শতাংশ ইউনিটিহোল্ডার সম্মতি দিলেই মেয়াদ বাড়বে

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১২:২১ পিএম
মিউচুয়াল ফান্ডের ৭৫ শতাংশ ইউনিটিহোল্ডার সম্মতি দিলেই মেয়াদ বাড়বে
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ( পাবলিক ইস্যু) এর চূড়ান্ত সুপারিশমালা হস্তান্তর

মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে উপস্থিত ৭৫ শতাংশ ইউনিটিহোল্ডার সম্মতি দিলেই কেবল সেই মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়বে। নয়তো পরিবর্তী তিন মাসের মধ্যে সেই মিউচুয়াল ফান্ড বিলুপ্ত হবে বলে ধরে নেওয়া হবে। 

সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস-এর বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশমালা জমা দিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএসইসি কর্তৃক গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স। 

বিএসইসির কমিশনার মো. আলী আকবরের উপস্থিতিতে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ ওই সুপারিশমালা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে হস্তান্তর করেন। 

সুপারিশসমূহ হস্তান্তরের সময় টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের (বিয়াক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কে এ এম মাজেদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালার বিষয়ে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, সব মেয়াদি ফান্ডকে অবশ্যই ট্রাস্ট ডিডে নির্ধারিত প্রাথমিক মেয়াদ শেষে অবসায়ন করতে হবে। তবে যদি কোনো বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) উপস্থিত ইউনিটহোল্ডারদের তিন-চতুর্থাংশ (ইউনিটের মালিকানার শতাংশের ভিত্তিতে) ফান্ডটি ওপেন-এন্ড ফান্ডে রূপান্তরের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে ওই ফান্ড রূপান্তরিত হতে পারবে। 

যেসব মেয়াদি ফান্ডের মেয়াদ ইতোপূর্বে বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সংশোধিত বিধিমালার কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে একটি ইজিএম আহ্বান করতে হবে, যেখানে ইউনিটহোল্ডারদের রূপান্তরের বিষয়ে ভোট নেওয়া হবে। যদি ইউনিটহোল্ডারদের ৭৫ শতাংশ রূপান্তরের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে ফান্ডটি রূপান্তরিত হবে; অন্যথায় ওই সময় থেকে তিন মাসের মধ্যে ফান্ডটি মেয়াদ শেষ বিবেচনায় অবলুপ্ত করতে হবে।

গ্রোথ, ব্যালান্সড, শরিয়াহ-অনুবর্তী, ফিক্সড ইনকাম ও মানি মার্কেট ফান্ডের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বাধ্যতামূলক সম্পদ বরাদ্দ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

বিনিয়োগসংক্রান্ত সীমাবদ্ধতায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে টাস্কফোর্স বলছে, একক শেয়ারে বিনিয়োগের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং একক শিল্প খাতে বিনিয়োগের সীমা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে; তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো ইক্যুইটি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করা যাবে না। তবে শুধু মেইন বোর্ডে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ড বা প্রেফারেন্স শেয়ারে বিনিয়োগ করা যাবে।

মেয়াদি ফান্ডের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট বছরে অর্জিত লাভের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ইউনিটহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করতে হবে। বেমেয়াদি বা ওপেন-এন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে ন্যূনতম লভ্যাংশ হবে ওই বছরের অর্জিত লাভ অথবা ভার আরোপিত গড় আয় এই দুটির মধ্যে যেটি কম তার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ।

আইপিও অনুমোদন-প্রক্রিয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাথমিক অনুমোদন প্রদান করবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের ভিত্তিতে বিএসইসি চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে।

আইপিও বা পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যারা নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের উপযুক্ত ও সঠিক মানদণ্ড সুপারিশমালায় দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে আইপিও অনুমোদন-প্রক্রিয়ায় নিরীক্ষা কার্যের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
আইপিও ভ্যালুয়েশন বা প্রাইসিংয়ের জন্য সুগঠিত মডেল তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী কোম্পানিসমূহের ন্যায্য প্রাইসিং নিশ্চিত হবে। এর ফলে আগামীতে ভালো ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে।

আইপিও অনুমোদন-প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজারদের সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্ব ও ভূমিকার বিষয়ে সুপারিশমালায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে তাদের জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে।

বিআইসিএম-এর উদ্যোগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১২:০২ পিএম
আপডেট: ২২ মে ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
বিআইসিএম-এর উদ্যোগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ)-এর বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুধবার (২১ মে) ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ)-এর বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে।  

বুধবার( ২১ মে) সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দ, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক নাঈমা মাসউদ নীলা ও বিআইসিএম-এর উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল কবির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘পুঁজিবাজারের ওপর এ ধরনের প্রশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরও শাণিত করবে। তারা এখান থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবে। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দ তার বক্তব্যে বিআইসিএম ও এসআইইউ কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এ ধরনের প্রশিক্ষণ থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন নাঈমা মাসউদ নীলা। বিআইসিএম-এর উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এসআইইউ-এর শিক্ষার্থীদের মাঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিআইসিএম-এর এ আয়োজন।

বিআইসিএম-এর সহকারী অধ্যাপক এস এম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার ও প্রভাষক মো. আদনান আহমেদ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামটির বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।

এ বছর চামড়ার দাম বেশি হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১০:১০ এএম
এ বছর চামড়ার দাম বেশি হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন

এবারের কোরবানি ঈদে চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘চামড়া গরিবের হক। এর ন্যায্যদাম নিশ্চিত করা হবে।’

গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানি-সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। চামড়ার যথাযথ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘এ বছর চামড়ার দাম যতক্ষণ ন্যায্য না হবে, ততক্ষণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এতিমদের হক চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠক করেছে। যেখানে বড় সিদ্ধান্ত হলো, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ৩০ হাজার টন লবণ দেবে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি নির্দেশনামূলক ভিডিও তৈরি করব। সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। ঈদের পরের দিন এ কমিটি আবার বসবে, দাম ঠিক রাখতে সব সময় কাজ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে সারা দেশে একসঙ্গে কাঁচা চামড়া আসত। চামড়া পচে যাবে সে কারণে দাম না পেলেও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার সেটা হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা চান গরিবের এই হক যেন ন্যায্যমূল্য পায়। কমিটি আজ আবারও বৈঠকে বসবে। তখন চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে। এ বছর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।

বৈঠকে আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে পশু কেনা-বেচা যেন না হয়। হাসিল ৫ শতাংশ থেকে কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়া সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা।’

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণীর ওপর যেন কোনো নৃশংসতা না হয় এবং কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণীকে হৃষ্টপুষ্ট না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এ কমিটি গঠন করা হয় গত মঙ্গলবার।

উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রয়েছেন ১৭ সদস্য, যার আহ্বায়ক বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শিল্প সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিনিধি (সরকার মনোনীত)। কমিটিতে সদস্যসচিব থাকবেন বাণিজ্যসচিব।

কমিটি সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এ জন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।

এ ছাড়া চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং চামড়া শিল্প নগরী, সাভারসহ সারা দেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এ কমিটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

জাতীয় চা পুরস্কার পেল ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
জাতীয় চা পুরস্কার পেল ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
জাতীয় চা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ

জাতীয় চা দিবসে পুরস্কার পেয়েছে ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান:

প্রথম ক্যাটাগরিতে একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগানের পুরস্কার পেয়েছে ডিনস্টন চা বাগান। সর্বোচ্চ গুণগতমান সম্পন্ন উৎপাদনকারী বাগান হয়েছে মধুপুর চা বাগান। শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক হয়েছে দি কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কো. বাংলাদেশ লিমিটেড। শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী হয়েছেন পঞ্চগড়ের এ বি এম আখতারুজ্জামান। শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান হয়েছে মির্জাপুর চা বাগান।

বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের সেরা প্রতিষ্ঠান হয়েছে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড। দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কেরভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির পুরস্কারও জিতেছে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড। শ্রেষ্ঠ চা-পাতা চয়নকারী (শ্রমিক-সম্পর্কিত পুরস্কার) পেয়েছেন নেপচুন চা বাগানের চা শ্রমিক জেসমিন আক্তার।

এদিকে, এ বছর সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী বটলিফ চা কারখানা ক্যাটাগরি এবং সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বটলিফ চা কারখানা ক্যাটাগরিতে দুটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ওই দুটি প্রতিষ্ঠান হলো সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বটলিফ চা কারখানা ক্যাটাগরিতে সুপ্রিম টি লিমিটেড ও সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বটলিফ চা কারখানা ক্যাটাগরিতে মরগেন টি ইন্ডাস্ট্রিজ।

রাজনৈতিক সরকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চলমান রাখবে: প্রত্যাশা গভর্নরের

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
আপডেট: ২২ মে ২০২৫, ০৯:২৬ এএম
রাজনৈতিক সরকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চলমান রাখবে: প্রত্যাশা গভর্নরের
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে পুরোপুরি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা হয়তো ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের কাছে একটি আংশিকভাবে পুনর্গঠিত অর্থনীতি দিয়ে যাব। তবে ভবিষ্যতে যে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান রাখবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

বুধবার (২১ মে) গুলশানের এক হোটেলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

‘বাংলাদেশে আর্থিক খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘যত দিন আমরা রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে না পারব, তত দিন অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণও সম্ভব হবে না। যদিও এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২৪ সালের হিসাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ ব্যাংক হিসাবধারীর কাছে আছে। তাদের প্রত্যেকের হিসাবে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি অর্থ জমা আছে।

পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান বলেন, ‘এ তথ্য ইঙ্গিত দেয়, বাংলাদেশের সম্পদ ব্যাপকভাবে পুঞ্জীভূত হয়েছে। দেশের খুব অল্পসংখ্যক মানুষের হাতে সম্পদের বড় অংশ আছে।

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা সিস্টেম থেকে বের হয়ে গেছে। এ টাকাগুলো এখন দেশের বাইরে। এ কারণে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। তাই আমাদের অর্থনীতিকে সেই খেসারত দিতে হচ্ছে।’

গভর্নর আরও বলেন, ‘এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রিজার্ভ পুনর্গঠন করা। প্রবাসী আয়, রপ্তানি ও বৈদেশিক অর্থায়নের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অর্থনীতিকে আবার চাঙা করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৭ বিলিয়ন ডলার। এটি শিগগিরই ৩০ বিলিয়ন ডলারের দিকে যাবে।’

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা ক্যাশলেস (নগদবিহীন লেনদেন) তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির দিকে এগোতে চাই। ইতোমধ্যে ২০ হাজার এজেন্ট কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা শিগগিরই ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এই ধারাকে জোরদার করা গেলে ক্ষুদ্রঋণে বড় পরিবর্তন আসবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আনিস উর রহমান, পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক খুরশিদ আলম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।