![পতনের বৃত্তে বন্দি পুঁজিবাজার](uploads/2024/04/02/1712042704.dhaka-stok.jpg)
দেশের পুঁজিবাজার পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। এর আগে দুই কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার (১ মার্চ) দেশের পুঁজিবাজারে ফের বড় দরপতন হয়েছে।
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহ লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম তিন কার্যদিবসেই বাজারে দরপতন হয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই মূল্য সূচক কিছুটা বাড়ে এর ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপরেই শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে সূচকও নিচের দিকে নামতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকায় সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৪৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৬১ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্য সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে শাইন পুকুর সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিকস।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিস, মালেক স্পিনিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এমারেল্ড অয়েল, আইটিসি, লাভেলো আইসক্রিম ও গোল্ডেন সন।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন অংশ নেওয়া ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা।