ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ এএম
মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না

বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি-সুদহার বাড়ানোর পরও কিছুতেই মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়েছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের  অর্থনৈতিক চাপ আরও বেড়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে, গত বছরের মার্চে একটি পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ হলে, এখন ব্যয় হয়েছে ১০৯ টাকা ৮১ পয়সা। অথচ খরচ বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে বেড়েছে দুর্ভোগ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এ ছাড়া পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, গ্রামের তুলনায় শহরে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে। মার্চে গ্রামে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং শহরে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশে। 

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ শতাংশ। তবে সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে। 

গত এক বছর ধরে দেশে মূল্যস্ফীতির পারদ চড়া হয়ে আছে। বিলম্বে হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি-সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিলেও কার্যত কোনো সুফল আসেনি। এ অবস্থায় নীতি-সুদহার আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

এদিকে বিশ্বব্যাংকও সম্প্রতি পূর্বাভাস দিয়েছে তিন কারণে বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে। কারণগুলো হলো, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বিদেশি মুদ্রাসংকটের কারণে আমদানি-সংকোচন ও জ্বালানিসংকট বহাল।

ঈদের আগে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:০২ পিএম
ঈদের আগে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ঠিক আগ মুহুর্তে দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে দুই হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এব লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গত ২১ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এব লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অমিয়/

চুয়াডাঙ্গায় পশুরহাট শেষ মুহূর্তে জমজমাট, হাজার কোটি বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় পশুরহাট শেষ মুহূর্তে জমজমাট, হাজার কোটি বিক্রির সম্ভাবনা
ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার ছোট-বড় আটটি কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়, দর কষাকষি আর পশু বাছাইয়ের ব্যস্ত জেলার মানুষ। এই ঈদুল আজহা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় পশু বেচাকেনায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় দুই লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। জেলার প্রয়োজন আনুমানিক এক লাখ ২৫ হাজার পশু। ফলে প্রায় ৭৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হবে।

বর্তমানে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার গরু, ১৪৫টি মহিষ, দেড় লাখ ছাগল এবং প্রায় চার হাজার ভেড়া রয়েছে। বড় গরুর চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও মাঝারি গরু এবং ছাগলের বিক্রি বেশ ভালো। মাঝারি আকারের গরু বিক্রি করে অনেকে ভালো লাভও করছেন।

আলমডাঙ্গা পশুরহাট চুয়াডাঙ্গার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাট, যেখানে সবচেয়ে বেশি পশু কেনাবেচা হয়। এছাড়া ডুগডুগি, শিয়ালমারি, গোকুলখালি, নয়মাইল ভূলটিয়া-সহ জেলার অন্যান্য হাটগুলোতেও জমজমাট বেচাকেনা চলছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশুহাট পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তারা হাটের অবকাঠামো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ও শৌচাগার, যান চলাচলের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জাল নোট শনাক্তকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও, যারা হাটজুড়ে নজরদারি এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছেন।

হাটে বিক্রেতা কালাম আলী বলেন, বড় গরুর ক্রেতা নেই বললেই চলে। একটা গরু বড় করতে প্রচুর খরচ লাগে, কিন্তু হাটে দাম ওঠে না। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।

ছাগল ক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ছাগলের দাম কিছুটা কম। পাশাপাশি পশুও অনেক বেশি এসেছে। দেখে-শুনে দামাদামি করে একটা ছাগল কিনব ভাবছি।

ছাগল বিক্রেতা হাসিবুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা ছাগল নিয়ে এসেছি। হাটে ভালোই ভিড়, ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দেব।

গরু বিক্রেতা সুমন হোসেন কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বড় গরু লালন-পালন করতে অনেক খরচ হয়। কিন্তু হাটে তেমন চাহিদা নেই। মাঝারি গরুরই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. শামীমুজ্জামান বলেন, জেলাজুড়ে ছোট বড় মিলিয়ে আটটি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। আমাদের টিম প্রত্যেক হাটে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা, নিরাপদ কেনাবেচা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরামর্শ দিতেও আমরা প্রস্তুত। এবারের মৌসুমে আমরা এক হাজার কোটি টাকার পশু বাণিজ্য আশা করছি।

মিজানুর রহমান/অমিয়/

নতুন বাজেট অনুমোদন ২২ জুন: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
নতুন বাজেট অনুমোদন ২২ জুন: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মতামত দেওয়া যাবে ১৯ জুন পর্যন্ত।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মতামত দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত তা আসতে থাকবে। এক দিনে তো আর সব মতামত আসবে না।’

সাধারণত ২৯ জুন অর্থবিল পাস হয় এবং তার পরের দিন নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। এবার যেহেতু সংসদ নেই। তাই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আগেভাগেই বাজেট পাস করা হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য সুখবর দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিমত দিয়েছেন। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুখবর আছে। বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখুন।’ এ বাজেট সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফেরাবে বলেও মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠকে পুলিশের জন্য গাড়ি কেনাসহ সার, এলএনজি ইত্যাদি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি স্থবির হওয়ার সুযোগ নেই, ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে, কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে লেনদেনের সমস্যা হবে না।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও বেশি ছুটি থাকে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড়দিনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গাপূজার সময় ৩০ দিন ছুটি থাকে।

যমুনা সেতুতে একদিনে টোল আদায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
যমুনা সেতুতে একদিনে টোল আদায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা
ছবি: খবরের কাগজ

যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং এর বিপরীত ৩৩ হাজার ৫৬৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (২ জুন) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১  হাজার ৫০ টাকা।

নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উপর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুইটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় আছে।সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে,নেই যানজট।এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক রাত-দিন কাজ করছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জুয়েল/মেহেদী/

২০২৫-২৬ বাজেট জীবনমান উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
জীবনমান উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাজেট দিতে পেরেছি যা জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে।’

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘অনেকে বলছেন আমরা আগের ধারা অনুসরণ করেছি। হুট করেই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব নয়। তবে একেবারেই ইনোভেশন নেই, সেটাও ঠিক নয়। বাজেট এখনো চূড়ান্ত নয়, এটি উন্মুক্ত থাকবে-সাজেশন নেব, তারপর ফাইনাল হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতিকূল অবস্থায় সবার সহযোগিতা চাই। কোলাবোরেটিভ ও সহানুভূতিশীল মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই-চ্যালেঞ্জের মাঝেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সামনের পথ কঠিন। তবে আমরা এনবিআরকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বিদেশি ঋণ আনার বিষয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য ও শিল্প উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এমএ/