অফিস, বাড়ির কাজ সব সামলে ডায়েটিং করা সত্যিই বেশ ঝামেলার। বাড়িতে থাকলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানা রকম রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু অফিসে তা করা বেশ কঠিন। তবে সুস্থ থাকতে অফিসেও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস করা সম্ভব।এ জন্য দরকার কার্যকরী ডায়েট প্ল্যান।জেনে নেওয়া যাক অফিসে ডায়েট করার কিছুকৌশল। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সৈয়দ শিশির
অফিসে ডায়েটিং করার ক্ষেত্রে আপনি যেসব নিয়ম ও পরামর্শ মেনে চলবেন সেগুলো হলো-
বাসার খাবার অফিসে খান
বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। কারণ এসব খাবার কখনোই খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বাসার তৈরি খাবার অফিসে নিয়ে যাওয়া। এটি শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি অযথা খরচের হাত থেকেও আপনাকে বাঁচাবে। আর সেই সঙ্গে মেদ-ভুঁড়িরও বিস্তার ঘটবে না।
নিয়মিত পানি পান করুন
অনেকেই আছেন অফিসে কাজের চাপে ঠিকমতো পানি পান করেন না। এজন্য অফিসে আপনার ডেস্কের পাশেই পানির বোতল রাখুন এবং নিয়মিত পান করুন। মনে রাখবেন, নিয়মিত পানি পান আপনাকে দূরে রাখবে বিভিন্ন রোগ থেকে।
বাদাম রাখুন সঙ্গে
কাজের ফাঁকে প্রায় সবারই আচমকা ক্ষুধা লাগে। কিন্তু হাতে বেশি কাজ থাকায় আবার অনেকেরই খেতে ইচ্ছা করে না। তবে হাতের নাগালে বাদাম রাখলে ঝটপট চিবিয়ে খাওয়া সম্ভব। ফলে তাৎক্ষণিক ক্ষুধা মিটবে। পাশাপাশি পেটে গ্যাস জমবে না। যা আপনাকে ফিট রাখতে সহযোগিতা করবে।
নিয়মিত ফল খান
ওজন কমানোর জন্য ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কাজের ফাঁকে চাইলেই আপনি ফল খেতে পারেন। কারণ কাটা ফল খেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যও ভালো রাখে এটি। তাই ডায়েটিং চলাকালীন যে খাবারই খান না কেন- সঙ্গে একটি ফল খেতে ভুলবেন না। সারা দিন যদি খুব ভারী কোনো খাবার খাওয়ার সুযোগ না-ও পান, সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন তরতাজা টাটকা কোনো ফলে। মনে রাখবেন, নানা রকম স্বাস্থ্যকর উপাদান-সমৃদ্ধ ফল আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
টোস্ট এবং অমলেট রাখুন সঙ্গে
সাবধান, ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাইরের খাবার খাওয়ার উপায় নেই! আর এমন বাস্তবতায় কিন্তু আপনার ভরসা হতে পারে টোস্ট আর অমলেট। তাছাড়া এ খাবারটি যে শুধু সকালের নাশতায়ই থাকবে, তার কোনো মানে নেই। গোলমরিচের গুঁড়া ছড়ানো ডিমের অমলেট আর টোস্টে কামড় বসালে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
অঙ্কুরিত ছোলামাখা খান
খাবারের তালিকায় অনায়াসেই রাখতে পারেন অঙ্কুরিত ছোলামাখা। টক, ঝাল ও মিষ্টি স্বাদের এ খাবার আপনার একঘেঁয়ে স্বাদে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনবে। তাই অফিসের টিফিনেও নিয়ে যেতে পারেন। তবে তার জন্য আগের দিন রাতে ছোলা ভিজিয়ে রাখা চাই। তারপর বিট লবণ, মরিচ, শসা, পেঁয়াজ কুচি ও টমেটো দিয়ে ছোলা মেখে নিন। চাইলে পাতিলেবুর রসও ছড়িয়ে দিতে পারেন। খেতে অবশ্যই ভালো লাগবে।
দই খান
ওজন ঝরাবেন অথচ পাতে দই রাখবেন না, তা হয় না। নিয়ম করে খেলে তো ভালো, যদি এমনটি সম্ভব না হয় তা হলে মাঝে মধ্যে হলেও দই খেতে পারেন। তাতে ওজন কমবে সহজেই। আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই নিশ্চিন্তে অফিসে নাশতার তালিকায় রাখতে পারেন টক দই।
এড়িয়ে চলুন জাংক ফুড
এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে জাংক ফুড ও কোল্ড ড্রিংকস এড়িয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই।
কাজের ফাঁকে এবং অফিসের পর হাঁটুন
সম্ভব হলে অফিসে কাজের ফাঁকে অবশ্যই কিছুটা সময় হলেও হাঁটবেন। আবার অফিস ছুটির পরও কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। যাদের বাড়ি ও অফিসের দূরত্ব কম তারা হেঁটেই যাওয়া আসা করতে পারেন। এমন অভ্যাস আপনাকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখবে।
কলি